বাহামা: কলোরাডোর গোলাগুলি বিষয়ক মন্তব্য

মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী কলোরাডো মুভি থিয়েটারে গোলাগুলি নিয়ে ক্যারিবীয় ব্লগমণ্ডলে তেমন একটি প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি – তবে সংবাদটি বাহা্মার দু’জন ব্লগারের কাছে বাড়ির কাছাকাছি (ঘটনার মতো) আঘাত করেছে। ক্যারিবীয় জাতিগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পূর্বে) খুব নিকটে অবস্থিত হওয়ায় কমনওয়েলথ মর্যাদা সত্ত্বেও বাহামা দ্বীপপূঞ্জ তার পর্যটন শিল্প এবং সমুদ্র উপকূলের দূরবর্তী অর্থায়ন সতেজ রাখার জন্যে মার্কিন অর্থনীতির উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল এবং প্রায়ই মার্কিন মিডিয়া, সংস্কৃতি ও নীতি দ্বারা প্রভাবিত।

দেশের নতুন ব্লগগুলোর অন্যতম বিশুদ্ধচাতূরী বলেছে যে হত্যাকাণ্ড গুলো সম্পর্কে মূলধারার মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া পক্ষপাতমূলক এবং একটি ছবি পুনঃপ্রকাশ করেছে যেটি ফেসবুকে ঘোরাফেরা করছে। (ছবিটির শিরোনামে ধারণা দেয়া হয়েছে যে সন্দেহভাজনের শুধু চামড়ার রংয়ের কারণে মিডিয়া তাকে অনুকূলভাবে চিত্রায়িত করেছে):

আমি এই ছবিটি ফেসবুকে প্রচারিত হতে দেখেছি এবং আমি জানতাম আমাকে এটা ভাগাভাগি করতে হবে। এটা মর্মস্পর্শীভাবে মিডিয়ার প্রকাশ্য পক্ষপাত তুলে ধরেছে। এটা নিজে নিজেকেই প্রকাশ করছে এবং এই বার্তাটির প্রতি নীরবতা কান ফাটানো!

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো ঘটনাটি ব্লগবিশ্বের জন্যেই উত্থাপিত, যদিও (এক্ষেত্রে) বন্দুক নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নটি এসে পড়ে। নিউ ইয়র্কবাসীতে “বন্দুকপাগল” আমেরিকা বিষয়ে কথা বলা নিয়ে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক নিবন্ধকে উল্লেখ করে ব্লগবিশ্বের নিকোলেতে বেথেল মন্তব্য করেছেন:

এবং এই বাহামাতে আমাদের কেউ কেউ সত্যি সত্যিই আলোচনা করছে যে বাহামাবাসীদের আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার অনুমতি দেয়া উচিৎ। (কারণ) আমাদের হয়তো কখনো সেই বিশ্বে বাস করতে যেতে হতে পারে যা এই ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে যে সেখানে কিছু লোকের একটি মহাসাগর পাড়ি দিয়ে অন্য সব জনগোষ্ঠীকে মানচিত্র শূন্য এবং নির্মূল করে দিয়ে সে সব দেশে অন্য মানুষদের আমদানী করে বসতি স্থাপন করে এই প্রক্রিয়ায় ভাগ্য গড়ার ঈশ্বর-প্রদত্ত অধিকার রয়েছে। আমরা সভ্যতা নির্মাণে সংগ্রামরত সেই ইতিহাসের ভঙ্গুর নারী ও পুরুষ। তবে আমরা এটা করতে পারি না কারণ একটি দর্শন থেকে আমাদের সৃষ্টি যা মানুষের জীবনকে পবিত্র একটা কিছু হিসেবে দেখে না বরং দেখে ব্যয় করার মতো কিছু হিসেবে – যা মুনাফার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ অথবা গণহত্যার চেয়েও। সেই গণহত্যা এবং দাসত্ববন্ধনের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত এই ‘নতুন’ বিশ্ব গণহত্যার যে উত্তরাধিকারটি রেখে গিয়েছে সেটা বারবার অভিনীত হয় এবং তা বিশ্বের কাছে স্বাধীনতা হিসাবে উপস্থাপিত।

এছাড়াও তিনি (অতি) সহজেই চরমভাবাপন্ন চিন্তার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন:

এবং আমরা (এখন) বাহামাতে সে সব বাজে কথা বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি যে প্রকৃত স্বাধীনতা অন্য মানুষদের হত্যা করার অধিকারে নিহিত। আমরা বিশ্বাস করি যে কিছু মানুষ ‘খারাপ’ এবং বাকিরা ‘ভালো’ এবং ‘ভাল’ লোকদের নিজেদেরকে অস্ত্রধারী করে ‘খারাপ’ মানুষদের সমূলে উৎপাটনের অধিকার রয়েছে। আমরা নিজেরা সবসময়ই ভালো মানুষ। তাহলে, ‘খারাপ'টা কে?

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .