আকর্ষণীয় সব বিশৃঙ্খলা স্বত্ত্বেও কিছু চলচ্চিত্র নির্মাতার জন্যে কারাকাস একটি অনুপ্রেরণা। এইসব চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাদের কাজে কিছু উপাদানের মাধ্যমে শহুরে জীবনের নন্দনতত্ত্বকে তুলে ধরেছেন যেগুলো অধিকাংশ মানুষকে বিহ্বল করে আর ধন্দে ফেলে দেয়। এভাবে তিনজন শিল্পী ওয়েব ২.০ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের কাজের প্রচার করেছেন এবং ভেনেজুয়েলার ভেতরে ও বাইরের নেটনাগরিকদের কাছে কারাকাসের একটি দৃষ্টিকোণ প্রদর্শন করেছে।
হোর্খেন লেথ-এর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “নিখূঁত মানব” অনুপ্রাণিত “লা সিউদাদ পারফেক্তা” (নিখূঁত নগর) কারাকাসের বিভিন্ন অংশ এবং (দৃষ্টি)কোণ প্রদর্শন করে। সভেন মেথলিং, রিকার্ডো বম্বিন, ক্লডিও সেনেদিজ, এংঘেল এনতুনিস, আলফ্রেডো কাস্তিলো এবং হোসে ইগ্ন্যাসিও বেনিতেস নির্মিত চলচ্চিত্রটি এই বছরের কাডিজ দ্বিবার্ষিকে পুরস্কার পেয়েছে।
আরেকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “ত্রান্সগ্রেসিওনেস” (অতিক্রমণ) দেখায় শহরে মানুষের পায়ে-চলা পথগুলো কীভাবে সতত পরিবর্তনশীল দৃশ্যপট তৈরী করে। এই চলচ্চিত্রটিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িগুলোতে জায়গা করে নেয়া কতগুলো পরিবারের দৈনন্দিন জীবন থেকে সংক্ষিপ্ত বিভিন্ন দৃশ্য নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে এই চিত্রগুলো শহরের নন্দনতত্বের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে।
http://www.youtube.com/watch?v=tx9rseRHKiY&feature=plcp
এই একই সামাজিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেলিক্সে ডেভিডের টাওয়ার (স্তম্ভ) – যে পরিত্যক্ত ভবনে অনেকগুলো লোকের বাসস্থান গড়েছে – নিয়ে তার কর্ম ভাগাভগি করেছেন। এই ভবনটির গল্প দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত এবং প্রতিবেদিত। সেলিক্সে একটি টাওয়ারটিকে “নগরের মধ্যে একটি নগর” হিসেবে বর্ণনা করেছেন:
[…] ২০ বছরেরও বেশি আগে একটি আকাশচুম্বী ভবন আয়ন [কথিত] কারাকাসের নির্মাণকাজ থেমে গেলে কেউ কোনদিন অনুমান পর্যন্ত করেন নি যে এই ভবনটিই কোন একদিন পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা বেঁটে হবে। প্রাত্যহিক জীবনের প্রতি একটি অভিজ্ঞতালব্ধ চির ভগ্ন দৃষ্টিভঙ্গী [কথিত], এর বাসিন্দাদের [কথিত] কাঠামো এবং চিন্তা স্তম্ভটির স্থাপত্যের সঙ্গে কথা বলে – যাকে একসময় একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র ভাবা হয়েছিল সেটাই এখন আশ্রয় দিচ্ছে একটি সমান্তরাল সমাজকে।
http://vimeo.com/45302064