চ্যালেঞ্জটি হলো বিশ্বজুড়ে পানি ও স্যানিটেশন সংকট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনগণের জন্যে নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণে অর্থ সংগ্রহ। চ্যালেঞ্জ ২১-এর প্রতিষ্ঠাতা জেক নর্টন প্রতিটি মহাদেশের ৩টি সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণ করে এটা করতে চেয়েছেন এবং তিনি কীভাবে এই কাজটি করছেন সেটা আমাদের দেখাচ্ছে পরের কয়েকটি ভিডিও।
সম্প্রতি তিনি উত্তর আমেরিকার ৩য় সর্বোচ্চ শিখর মেক্সিকোর পিকো দে ওরিযাবা’য় আরোহন করেছেন। প্রথমবারের মতো এই আরোহণটি একটি ভিডিও তথ্যচিত্রের মাধ্যমে নথিবদ্ধ করে গ্যাডলিং ভ্রমণ ব্লগে পোস্ট করেছেন।
আমার সাম্প্রতিক সবচেয়ে দু:সাহসিক কাজটি আমাকে উত্তর আমেরিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ (১৮,৫০০ ফুট) এবং মেক্সিকোর সর্বোচ্চ চূড়ায স্তরীভূত লাভার তৈরী আগ্নেয় পর্বত পিকো দে ওরিযাবার শিখরে চড়ার চেষ্টা করার জন্যে মেক্সিকোর পুয়েব্লা এবং ভেরাক্রুজ প্রদেশের সীমান্তে নিয়ে এসেছে।
এটা কোন সাধারণ পর্বতারোহণ নয়। এ ছাড়াও উচ্চতাও একটি ব্যাপার। পর্বতারোহণে উৎসাহী জেক নর্টন এবং চ্যালেঞ্জ ২১ দলটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জন্যে পরিষ্কার পানি ও স্যানিটেশনের নামে বিশ্বের সর্বোচ্চ ২১টি শিখরে আরোহণের চেষ্টা করছে। এটা আমাদের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার নিজেকে এগিয়ে নিতে এবং একটা ভালো কারণের জন্যে সেটা করতে মেক্সিকোতে জেকের সঙ্গে যোগদানের জন্যে স্বাক্ষর করেছি।
ইতোমধ্যে এভারেস্ট, কিলিমাঞ্জারো এবং স্ট্যানলি চূড়ার পাশাপাশি উত্তর আমেরিকার ৩টি চূড়াসহ ৭টি চূড়া জয় করে ৩ থেকে ৪ বছরের এই প্রকল্পটি বেশ ভালভাবেই এর লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। চ্যালেঞ্জ ২১’এর ইউটিউব চ্যানেলে এভারেস্ট অভিযানে এর বেস ক্যাম্পে স্যানিটেশন সুবিধা দেখানোসহ বেশ কয়েকটি ভিডিও রয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে জনগণের জন্যে পানি সংগঠনে অনুদান দেয়ার এবং সামাজিক মিডিয়া প্রকল্পের অগ্রগতি অনুসরণ করার জন্যে লিংকসহ অভিযান সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
সম্পূর্ণভাবে বাইরের উৎস জেক নর্টন এবং চ্যালেঞ্জ ২১’এর নেয়া অভিযানগুলোতে অর্থায়ন করছে। অন্য কথায়, জনগণের জন্যে পানি’র জন্যে দান করা করা ১০০% জনগণের জন্যে পানি এবং বিশ্বব্যাপী তাদের কর্মসূচীতেই যাচ্ছে। মাধ্যমে জনগণের জন্যে পানি’কে দান করা কোন অর্থ অভিযানের অথবা চ্যালেঞ্জ ২১-এর কোন ধরনের খরচের ব্যয় হবে না।