এই পোস্টটি আমাদের সিরিয়ার বিক্ষোভ ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ।
মিশরীয়রা টুইটারে সিরীয়দের জন্যে উপদেশ বিতরণ করছে। নিবেদিত হ্যাশ ট্যাগের মাধ্যমে উপদেশগুলো “ট্যাংকের সঙ্গে ছবি তুলবেন না” থেকে “অন্য কারো কাছ থেকে পরামর্শ নিন” পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বিকেলে দামেস্কে একটি বোমা বিস্ফোরণে সিরীয় রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ট মহলের তিনজন মারা গিয়েছে – দামেস্ক থেকে এই খবর আসার পর বিষয়টি শুরু হয়েছে। তারা উত্তরাধিকারী ঘোষণা করার পর থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নামও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
ইউসরি সালামা উল্লেখ করেছেন:
ইব্রাহিম এলগারহি উপদেশ দিয়েছেন:
এসরা মাহফুজের কাছে আরো রয়েছে:
@এসরামাহফুজ: বাশারের স্ত্রীর কথা ভুলবেন না। তাকেও তার সঙ্গে কবর দেয়া উচিৎ। তাকে আমার জানা কিছু মূর্খের মতো কিছু করার জন্যে ছেড়ে দিবেন না।
এবং গুরুতর একটি নোট দিয়ে টুইট করেছেন সালমা মুবারক:
@ফুটোমহিমা: আশা করবেন না যে সংগ্রামটি দেড় বছরেই শেষ হয়ে গিয়েছে, এটাকে বেশি শুদ্ধও আশা করবেন না, (তবে) আশা ছেড়ে দিয়ে (অনর্থক) বিলাপ করবেন না।
অনেক নেটনাগরিক যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেছেন কেন হ্যাশট্যাগটি তৈরি হয়েছে।
মামদুহ জালাল ব্যাখ্যা করেছেন:
@শেষআইন: এই হ্যাশ ট্যাগটি আসলে আমাদের প্রতিই মজা করছে… কারণ বাস্তবে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা অস্ত্র নিয়ে তাদের দেশকে মুক্ত করে চলছে – তারা আমাদের মতো টুইটারে বসে নেই।
ইসরা এলসাক্কা একই ধরনের অনুভূতি ভাগাভাগি করেছেন:
@ইসরাএলসাকা: যেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে মিশরীয়রা সিরীয়দের উপদেশ দিচ্ছে… তাতে মিশরীয়রাই হতাশ প্রতিপন্ন হচ্ছে। “শান্তিপূর্ণ বিপ্লব” নিস্তরঙ্গ, আবেগহীন
এই তথাকথিত আরব বসন্তে একনায়ক উৎখাতে – ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ তারিখে হোসনি মুবারকের ৩২-বছরের শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে – মিশরীয়রা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তিউনিসীয়রা হলো প্রথম। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়া জাইন আল আবেদিন বেন আলী তিউনিসিয়াতে লৌহমুষ্টির শাসন চালিয়েছেন ২৩ বছর। লিবীয়রা নিজেদের কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফীর ৪০ বছরের শাসন থেকে নিজেদের মুক্ত করেছে ২রা অক্টোবর, ২০১১ তারিখে। এবং ইয়েমেনিরা ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে আলী আব্দুল্লাহ সালেহকে ফিরে আসতে দেখেছে ৩৩ বছরের শাসনামলে করা অপরাধ থেকে তার নিজেকে দায়মুক্তি দেয়ার পর। সিরীয়রা আসাদ এবং তার বাথ শাসনকে উৎখাতে সফল হলে তারা হবে পাঁচ নম্বর বিজয়ী আরব দেশ।
এই পোস্টটি আমাদের সিরিয়ার বিক্ষোভ ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ।