ইস্রায়েল বা মার্কিন যুক্তরাস্ট্র আজকাল ইরানী মিডিয়ার গরম খবর নয়। গরম খবর হলো মুরগী। মুরগী এবং এর ঊর্ধমুখী দাম।
গত কয়েক মাসে মুরগীর দাম লাফ দিয়েছে শতকরা ৮০ভাগ এবং মনে হচ্ছে মুরগীর দাম মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। দোকানদারদের প্রতি কিলোগ্রাম মুরগী পরিবেশনের জন্যে দাম রাখতে হচ্ছে ৭০,০০০ রিয়াল (প্রায় ৪৬০ টাকা), যা গত বছরের দামের তুলনায় তিন গুণের কাছাকাছি।
খাদ্যের জন্যে লাইনের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর প্রধান এসমাইল আহমাদি-মোঘাদ্দাম সতর্ক করে দিয়েছেন এই বলে যে সিনেমাতে মুরগীর দৃশ্য দেখানো হলে সুবিধা-বঞ্চিত শ্রেণী ধনীদের আক্রমণ করে বসতে পারে।
আহমাদি-মোঘাদ্দামের কথার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরানের শীর্ষস্থানীয় কার্টুনিস্ট মানা নেয়েস্তানি “মুরগীর গল্প” (উপরে) নামে একটি কার্টুন প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখছেন:
“কতবার আমি তোমাকে মুরগীওয়ালা কোন সিনেমা না দেখতে বলেছি।”
মানুষকে একটা মুরগী পাওয়ার জন্যে দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এখানে ইউটিউব থেকে মুরগী পাওয়ার জন্যে হন্যে হওয়ার দাবি করা একটি ভিডিও রয়েছে:
http://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=zXcTsg8tvvs
এছাড়াও ইরান আজাদ মুরগী কেনার জন্যে দোকানগুলোর সামনে ইরানী জনতার ছবি প্রকাশ করেছে। ব্লগার বলেছেন, এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে মুরগী বিতরণের এই পদ্ধতিটি ইরানী জনগণকে অপমান করার সামিল।
ওস্তা মোরাদ লিখেছেন:
বৃহস্পতিবার আমি একটা মুরগী কিনতে গিয়েছিলাম। বিক্রেতা শনিবারে এটি পেতে আমার নাম লিখে রেখে যেতে বলেছে। দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলে আমাকে তাড়াতাড়ি আসতে বলেছে।