নিকারাগুয়াতে শিশু শ্রম বন্ধ করা বা বন্ধের চেষ্টা করা মোটেই কোন সহজ কাজ নয়। নিচের ভিডিওতে দেখান হয়েছে যে কেন নতুন আইন সত্বেও এখনও অনেক শিশু কেন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। যদিও শিশুদের শিক্ষাদান এবং সচেতনতামূলক প্রচারনার বিষয়ে প্রদানে অনেক পরিবার সাড়া প্রদান করেছে কিন্তু অনেকেরই পরিবার চলে শিশুদের শ্রমের উপর।শিশুদের মানসিক ও দৈহিক বিকাশের এবং যেগুলো তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক কাজ সেগুলোর বিষয়ে সরকার শিশুশ্রম বন্ধের লক্ষে বিভিন্ন সিন্ডিকেট ও পরিবার ভিত্তিক কর্মসূচী গ্রহন করেছে। কিন্তু তার পরেও নিকারাগুয়ার পরিবার গুলো করুন অর্থনৈতিক অবস্থা মোকাবিলার জন্যে তাদের সন্তানদের বাইরে কাজ করতে দিচ্ছে অথবা তাদের ঘরেই উপার্জন করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
জারনিম্যান তার কষ্টের শ্রম ছবিগুলোতে তুলে ধরেছেন কিভাবে শিশুরা বিপদজনক কাজে লিপ্ত, কিন্তু তার পরেও কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারি নেই। হয় তারা শিশুটির শ্রমে নিয়োজিত থাকার কথা অস্বীকার করছেন অথবা তারা শিশুটির উপার্জন তার পরিবারের জন্য কতখানি গুরুত্বপূর্ণ সে বিবেচনায় তারা নিরুপায় বলে জানিয়েছেনঃ
উড়ে আসা পাথর কুচির কারনে অন্ধত্বের ঝুকি থাকা সত্বেও কিছু শিশু পাথর ভাঙ্গছে । সরকারি ভাবে নিকারাগুয়াতে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ এ বিষয়ে সমবায় নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা সেখানে শিশুশ্রমের বিষয়টি দ্রুত অস্বীকার করেন। “পাথর ভাঙ্গার শ্রমিক হিসেবে শিশুদের নিয়োগ নিষিদ্ধ। কারন এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শিশুরা স্কুলে যাবে কাজে নয়” কিন্তু আনিবাল নামের ১০ বছরের শিশুটি বলছে অন্য এক গল্প। পাথর কাটার শ্রমিক থাকাকালে আহত হবার পর সে প্রায় এক বছর হাসপাতালে ছিল।“বিরাট একটি স্তুপ অনেক উপর থেকে ধ্বসে আমার উপর পড়ে এবং আমার পা আহত হয় । সান্দিনিস্তা সরকারের কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞার পরেও নিকারাগুয়ার পরিবারগুলো তাঁদের শিশুদের কাজে পাঠাতে বাধ্য। সেভ দা চিলড্রেন এর স্থানীয় প্রতিনিধি ডায়ানা এস্পিনজা স্বীকার করেন “সেখানে বিভিন্ন স্তরের শিশু শ্রমের বাজার রয়েছে”।
তারপরেও কিছু পরিবর্তন হয়েছে বিশেষ করে কফি উৎপাদনের ক্ষেত্রে । যে সকল কৃষক তাদের কফি “ফেয়ার ট্রেড পিলিসির” আওতাভুক্ত করতে চান তাঁদের গ্যরান্টি প্রদান করতে হয় যে তাঁদের কফি তোলার কাজে কোন শিশু শ্রমিক নিয়োজিত নেই এবং তাঁদের শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে। কফি উত্তোলনকারীরা নিজেরাই ছিলেন শিশুশ্রমিক, তাঁরা নিজেরা শিশুশ্রমের প্রভাব সম্পর্কে অবগত, বিভিন্ন বাধা ও অভাব থাকা সত্ত্বেও তাঁরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। একজন মহিলা বলেন এটি একধরনের উৎসর্গ শুধুমাত্র সন্তানের ভবিষ্যতের জন্যে যা খুবই প্রয়জনীয় । যদিও একটি ঝরে পড়া শিশুকে আবারো স্কুলে ফেরত পাঠানোর আশা করা খুবই কঠিন, ফাবিওলা বলেন, যখনি তিনি তার সন্তান হোশেকে কাজ থেকে সরিয়ে স্কুলে ভর্তি করতে চেয়েছেন তখনি তিনি কোন না কোন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। যদি হোশে কোন স্কুলে ভর্তি হয় তার পরেও তাকে শিশুশ্রমিক হওয়ার অপমান বহন করতে হবে।
নিকারাগুয়ার শিশুশ্রম নিয়ে পরের দুটি ভিডিও চিত্রে কিছু মতামত প্রদান করা হয়েছে। নিকারাগুয়ার জিনোতেগা এলাকার একটি এক্সচেঞ্জ পারস্পেক্টিভ এর ওই বিষয়ের প্রতিবেদনের ভিডিও ট্রেনিং এ দেখান হয়ঃ
নিকারাগুয়ার উত্তর অংশে মাতাগাল্পার বিষয়টি নিয়ে আব্রে তুস ওজোস নিকারাগুয়াটিন এজাররা [স্পেনীশ] কিছু মন্তব্য করেন। যদিও শিশুশ্রম বন্ধে করতিপক্ষ ও কিছু সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে তারপরেও শিশুশ্রমিকদের সাক্ষাতকার থেকে জানা যায় যে শিশুশ্রমের পিছনে কারনগুলো মোটামুটি একই রকমের। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর জন্যে অথবা কেও অসুস্থ হলে শিশুদেরকেই উপার্জনের হাল ধরতে হয়।অনেক সময় পিতামাতাই সন্তানকে কাজে পাঠান যাতে তারা কিছু শিখতে পারে এবং অলস বসে না থাকে। এই সকল শিশু ও কিশোররা সারাদিন কাজ করে খুবই ক্লান্ত থাকে কিন্তু তার পরেও তাঁদের পরিবারদের সাহায্য করে গর্বিত, তারা এটাকে “কাজ” বলে গন্য করে না এবং এটাকে তাদের নিজেদের অধিকার বলে মনে করে। শিশু ও কিশোরদের অধিকার রক্ষার্থে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যেখানে শিশুরা সকালে স্কুলে যাবে এবং তারপর তাঁদের পরিবারের অর্থনৈতিক সাহায্যের জন্যে কাজে যাবে। এই বিষয়ে শিশু ও কিশোরদের তাঁদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে।