- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

দক্ষিণ এশিয়া: প্রথম পাকিস্তান-ভারত সোশ্যাল মিডিয়া সামিট

বিষয়বস্তু: দক্ষিণ এশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, নাগরিক মাধ্যম, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা

গত বছর নানা কার্যক্রম, অনলাইন প্রচারণা ও আলোচনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান অতিমাত্রায় সক্রিয় একটি সামাজিক মিডিয়া কমিউনিটিকে দেখতে পেয়েছে। আর এ ধারায় পাকিস্তান ও ভারতের নেটিজেনরা মিলে সোশ্যাল মিডিয়া সামিট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। ‘সোশ্যাল মিডিয়া মেলা ২০১২’ [1] শিরোনামের সামিটটি ১৩-১৪ জুলাই ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। সোশ্যাল মিডিয়া মেলা ২০১২ এর লক্ষ্য হচ্ছে, নিজস্ব গণ্ডি ছাড়িয়ে এই মেলা উদ্যোক্তা, সাংবাদিক, কর্মী এবং সৃজনশীল মানুষদের মাঝে সংলাপ, নেতৃত্ব ভাবনা এবং মেলামেশার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। সামিটে আলোচনার মাধ্যমে সৃজনশীল শিল্প, মিডিয়া এবং রাজনীতির অভিমুখের পরিবর্তন, পপ সংস্কৃতি, নিষ্ক্রিয়তা বনাম সক্রিয়তা, শিক্ষা, রুদ্ধ অর্থনীতির উদ্ভাবন, ক্রাউড ফান্ডিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবসায় ঘুরে আসা হবে।


পিস নিচের পরিচালক “সাবীন মাহমুদ”

পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া কমিউনিটিতে এই সামিট বা মেলা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। মাত্র ৩০০ আসনের ব্যবস্থা থাকায় অনেকের বঞ্ছিত মনে করছে। নেট নাগরিকেরা দ্বিধাবিভিক্ত হয়ে গেছেন। একপক্ষ সামিট করার চেষ্টা করছেন। আরেক পক্ষ চাইছেন এটা ভণ্ডুল করতে।

তাইমুর মালিক এই সামিটের একটি সেশনের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে টুইট করেছেন:

@তাইমুর মালিক [2]: #জিবিএফকে এখানে “দিল কি ভারাস” নামে একটি উন্মুক্ত আলোচনা হবে। মজাদার কিছু আশা করছি। #এসওসিএমএম১২

আবদুল্লাহ সুমরো তার টু্ইটারে জানিয়েছেন সামিটের আইডিয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ:

@সুমরো_আবদুল্লাহ [3]: দুই দেশের সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধিতে সংলাপ এবং সহযোগিতার উদ্যোগকে উৎসাহ দেয়া উচিত। জিবিএফকে #এসওসিএমএম১২

সাজ শিরাজী টুইটারে আগের অভিজ্ঞতা থেকে সম্মেলনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন:

@সাজশিরাজী [4]: আমি গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে #এসওসিএমএম১২ ব্যাপারে দারুণ উত্তেজিত।

[1]

সোশ্যাল মিডিয়া মেলা ২০১২ এর লোগো

সামরা মুসলিম তার টু্ইটারে জানান তিনি মিডিয়া মেলা নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন:

@সামরামুসলিম: সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান ও ভারতের সফল গল্পগুলো শুনতে এবং লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ সত্যিই আকর্ষণীয় হবে। #জিবিএফকে

যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া সামিটের মূল উপাদান হলো লাইভ স্ট্রিমিং এবং কাভারেজ। যদিও পিস নিচে জানিয়েছেন, টুইটারে তাত্ক্ষণিক তথ্য প্রদানের সাথে সাথে ফ্লিকার স্ট্রিম থাকবে। তবে ভারতীয় বন্ধুদের নিরাপত্তার জন্য এই সামিটের লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত করে জানানো হয় নি।

ইসলামাবাদের পুরেষ চৌধুরী অবশ্য লাইভ স্ট্রিমের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেছেন:

@পুরেষ (পুরেষ চৌধুরী) [5]: ভারতীয়দের তরফ থেকে শোনায় আশায় আছি। #জিবিএফকে। এটা কি ওয়েবকাস্ট করা হবে? # এসওসিএমএম১২

আর মাত্র ৩ দিন বাকি। আমন্ত্রণপত্র বিলি শেষ। পিস নিচের নামের সংগঠনটি বন্দরনগরী করাচিতে এই সামিটের আয়োজন করেছে।

দুই দেশের প্যানেলিস্টরা সামিট নিয়ে তাদের আবেগকে আটকাতে পারছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা শোনাও যাচ্ছে।

ভারতের ইন্ডিপেনডেন্ট সিনেমা পরিচালক অনির বলেন:

@আইএমঅনির [6]: অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি… অনেকদিন ধরেই স্বপ্ন দেখছি আপনাদের শহরে, দেশে যাওয়ার।

ভারতের অন্য আরেকজন প্যানেলিস্ট, সাব্বাহ হাজিও একই রকম উচ্ছ্বসিত। তিনি টুইট করেছেন:

@আইএমসাব্বাহ [7]: ফাসলা না রাখেন… পেয়ার হোনা দিন… *আমি ফিকফিক করে হাসছি* করাচির #এসওসিএমএম১২ এর স্পিকার হওয়ায় গর্ব বোধ করছি।

নিঘাত সবার একতা কামনা করে টুইট করেছেন:

@নিঘাতড্যাড [8]: হ্যাঁ! আরটি! @ফয়সালকাপাডিয়া: @নিঘাতড্যাড #পাকিস্তানইন্ডিয়া ভাই ভাই 🙂 এই সামিটে আমরা বিশ্ববাসীকে দেখাতে পারবো ভারত পাকিস্তান সহযোগী হতে পারে। #এসওসিএমএম১২

সোশ্যাল মিডিয়া মেলার সিডিউল এখানে [9] দেয়া আছে। এই সামিটের মাধ্যমে পাকিস্তানের নতুন মিডিয়া নিয়ে কথাবার্তা উঠে আসবে। এই মিডিয়া মেলা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন হতে পারে। আবার বিতর্কিতও করতে পারে। এমনকি এতে অল্প কিছু সংখ্যক নেটিজেন উপস্থিত থাকলেও। লাইভ আপডেট টুইটারে অনুসরণ করতে এই #এসওসিএমএম১২ হ্যাশট্যাগের সাথে থাকুন।