- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

কিউবা: হাভানাতে সামাজিক নেটওয়ার্কিং উৎসব

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, কিউবা, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, বাক স্বাধীনতা

গত সপ্তাহে কিউবার হাভানাতে ফেস্টিভাল ক্লিক [1] বা “উৎসবে ক্লিক করুন” অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বীপটির ব্লগারদের – বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য জেনেরাসিওন এ [2] (প্রজন্ম ওয়াই)-এর [স্প্যানিশ ভাষায়] লেখক এবং কিউবার ব্লগার অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ইয়োয়ানি  সানচেজের – আয়োজনে।

এই ঘটনাটি সংঘটনে স্প্যানিশ সামাজিক ওয়েব ইভেন্ট এবে [3] [স্প্যানিশ ভাষায়] এবং সাধারণভাবে সরকারী নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে কিউবার ভবিষ্যত এবং এর গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সম্পর্কে বিতর্ক, সম্মেলন এবং উপস্থাপনার আয়োজনকারী কিউবার স্বাধীন সংগঠন এস্তাদো দে সাতস [4]-এর  [স্প্যানিশ ভাষায়]  সমর্থন ছিল।

ইয়োয়ানি সানচেজ তার ব্লগের একটি পোস্টে [5] [স্প্যানিশ ভাষায়], আয়োজনটির লক্ষ্য উপস্থাপন করেন। তিনি মনে করেন না যে এটি  পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক বরং এর দৃষ্টি সাধারণভাবে ব্লগিং কমিউনিটির দিকে নিবদ্ধ:

বিভিন্ন ধরনের সংগঠন, সুশীল সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং ব্যক্তিবর্গ আয়োজনটি চালনা করলেও তাদের বিশেষ কোন স্বার্থের পক্ষ নেয়নি। এটির বৈশিষ্টই প্রযুক্তিগত, ভাবাদর্শগত নয়।

ক্লিক করুন উৎসবের লোগো

এই উৎসবটির মাধ্যমে উদ্যোক্তারা সামাজিক মিডিয়াকে ঘিরে কিউবার শাসকগোষ্ঠী এবং সরকারের পিছু পিছু চলা সাংবাদিক ও ব্লগারদের  সংঘটিত অন্যান্য ঘটনাবলী প্রতিহত করার আশা করে। সানচেজ লিখেছেন:

অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা কোন প্রকারের রাজনৈতিক পৃথকীকরণ কিংবা ভাবাদর্শগত নির্ণায়ক বা ব্যবহার করি না – এবং বর্জনীয় যুদ্ধকৌশল ব্যবহৃত হয় কিউবার এমন কোন ব্লগার এবং টুইটার সম্মেলনে আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করি না।

বিশেষভাবে উদাহরণ না দিয়ে সানচেজ ব্লগাজো এক্স কিউবা: প্রিমের এনকুইন্তেরো দে ব্লগুয়েরোস এন রেভুলোসিয়ন [ব্লগারদের প্রথম বিপ্লবের সভা] এর প্রতি নির্দেশ করেন, যেটি মাতাঞ্জাস এলাকায় সরকারপন্থী ব্লগ কালেক্তিভ লা হভেন কিউবা উদযাপন করেছিল।

আয়োজনটির চূড়ান্ত ঘোষণা [6]টি উদ্যোক্তাদের রাজনৈতিক বিষয়সূচি খোলাখুলিভাবে স্পষ্ট করে দেয়। সরকারপন্থী সম্প্রদায় শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনাকারী ব্লগারদের সম্পর্কে প্রতিকূল মতামত এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের “ভাড়াটে” আখ্যা দেয়। এছাড়াও আয়োজনটি শাসকগোষ্ঠীর সহ্য করা ব্লগারদের মধ্যে তীব্র বিতর্কে [7]র সৃষ্টি করে।

ক্লিক উৎসবটি ২১শে জুন থেকে ২৩শে জুন পর্যন্ত চলে এবং এতে টুইটার, নেটনাগরিকদের অধিকার উপর এবং কিউবাতে ডিজিটাল প্রকাশনার বর্তমান পরিস্থিতি অন্তর্ভূক্ত [8] ছিল। এছাড়াও আলাদাভাবে শুধু প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।