এই প্রবন্ধটি মিশরের নির্বাচন ২০১১/২০১২-এর বিষয়ে করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
মিশরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রার্থী মোহাম্মদ মোরসিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, যিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হোসনি মোবারকের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিককে পরাজিত করেছেন, আজ কায়রোর সময় বিকাল ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা প্রদান করা হয়। আহমেদ শফিকের মুখপাত্র এর জবাবে জানান যে শফিক ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে নিজেকে বিজয়ী দাবী করেছে। এই দুই প্রার্থী প্রায় সমান সমান ভোট পেয়েছে এবং বৃহস্পতিবারে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোটের ফলাফলের ঘোষণা প্রদান করা হবে। নেট নাগরিকরা উভয় প্রার্থীর উপর অসন্তুষ্ট, তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করার জন্য টুইটার ব্যবহার করছে।
রাশা আবদুল্লাহ উল্লেখ করছে:
@রাশাআবদুল্লাহ: আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে শফিক পরাজিত হয়েছে। কিন্তু মোরসির জয় খুব খারাপ !!:)
তিনি এর সাথে যোগ করেছেন:
@রাশাআবদুল্লাহ: যদি মোরসি জিতে যায়, তাহলে তার অর্থ কেবল এই নয় যে জনতা মোরসিকে যতটা ঘৃণা করে শফিককে তার চেয়ে বেশী। এটা জনপ্রিয়তার লক্ষণ নয়। উভয়ে ছিল বাজে ধরনের পছন্দ।
বাসেম সাবরি একমত:
@বাসেম_সাবরি: শফিকের পরাজয়ের আনন্দকে যে একটি মাত্র বিষয় মাটি করে দিয়েছে, তা হচ্ছে মোরসির জয়…।
এবং আইয়াদ এল-বাগদাদী পরিষ্কার করছে:
@আইয়াদ_এলবাগদাদি : আরব নয় এমন অনেকে মুসলিম ব্রাদারহুডের জয়ে শোকার্ত–আমরা এই জয় উদযাপন করছি না, আমরা শফিকের পরাজয় উদযাপন করছি, মোরসির জয় নয়।
তিনি এর সাথে যোগ করেছেন:
@আইয়াদ_এলবাগদাদি: এমন কি কেউ একজন মোরসির জয়ের বিষয়ে মন্তব্য করেছে এই বলে যে “স্বাগত অন্ধকার যুগ”, যেন আমরা সামরিক শাসনের অধীনে রেনেসাঁর যুগে বাস করছি।
মিশরের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হতে যাচ্ছেন এই বিষয় নিয়ে যে পরস্পর বিপরীত সংবাদ প্রদান করা হয়, সিরিয়ার নাগরিক করিম লায়লাহ তাই নিয়ে রসিকতা করেছে:
@কারমিলায়লাহ: [ কাতারি টেলিভিশন] আলজাজিরাঃ মোরসি জিততে চলেছে- [সৌদি আরবের টেলিভিশন] আলআরবিয়াঃ- শফিক জিততে চলেছে- [সিরিয়ার টেলিভিশন] আদদুনিয়া টিভিঃ মুবারক ফিরে এসেছে।
শফিকের সদর দপ্তরের সামনের পরিবেশ সম্বন্ধে সাংবাদিক শেহরিন তাদরস সংবাদ প্রদান করেছেন:
@শেহরিনটি: #শফিক এর সদর দপ্তরে সামনে পুরুষেরা মারামারি করছে, যখন #এমবি (মুসলিম ব্রাদারহুড-এর) জয়ের সংবাদ ঘোষণা করেছে এই সংবাদে দ্রুত উত্তেজনার সৃষ্টি করে এবং শঙ্কা বাড়তে থাকে।
এবং মানাস ম্যাকমানাস, মিশরের ঘটনাবলিকে আলজেরিয়ার সাথে তুলনা করেছেন, তিনি টুইট করেন:
@মানাসম্যাকমানাস: #মিশরীয় সামরিক জান্তা আলজেরিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে যথেষ্ট শিক্ষা লাভ করেছে। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানকে কি ভাবে খারিজ করে দিতে হয়, সেই শিল্পটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদ-সেবী সুলতান আল কাশেমী মন্তব্য করেছেন:
@ সুলতানআলকাশেমী : মোরসির বিজয়ে একটি ভালো দিক হচ্ছে তিনি #মিশরের ৬০ বছরের ইতিহাসের প্রথম বেসামরিক নেতা হতে যাচ্ছেন ( যদিও তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের ক্ষেত্রে উত্তর প্রদানের যোগ্য)।
তিনি একই সাথে উল্লেখ করেছেন :
@সুলতানআলকাসেমী: আধা-ইসলামিক মিশর প্রজাতন্ত্র।
গান্নার-এর টুইটে এই বিষয়টি প্রমাণিত হয় যে অনেকে ইসলাম-পন্থীদের ক্ষমতা নিয়ে নেবার আশঙ্কা করছে:
@জিজিসাইদ: আসুন আমরা সবাই এক মূহুর্তের জন্য নিরবতা পালন করি, মিশরের যে সমস্ত পানশালা এবং ক্লাব বন্ধ হয়ে যাবে সেগুলোর জন্য।
এদিকে ফরিদা সুলতান এই ঘটনায় কোন পরিবর্তন দেখছেন না, তিনি টুইট করেছেন:
@ফরিদাসুল: যতক্ষণ পর্যন্ত এসসিএএফ #ইজিইলেকশন [মিশরীয় সামরিক বাহিনী এবং তার অধীনে নির্বাচন] ক্ষমতায় আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আগামী সকল রাষ্ট্রপতি হবে পুতুল রাষ্ট্রপতি।
এবং রীম আবদেললাতিফ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন:
@রীম_আবদেললাতিফ: আদালতের এখনো সিদ্ধান্ত প্রদান করেনি, এনজিও হিসেবে মুসলিম ব্রাদারহুডের বৈধতার বিষয়ে আদালত আগামি মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত প্রদান করবে। #ইখওয়ানকে জোর করে ছত্রভঙ্গ করা হতে পারে। #মিশর #ইজিপ্রেসলেক্স
উপসংহারে, বেল ট্রেও লিখেছে:
@বেলট্রেও:আমি মনে করি যে টুইটারস্ফিয়ার অবশেষে অনুধাবন করেছে যে মিশরীয় নির্বাচনে যেই জিতুক না কেন, আগামী রাষ্ট্রপতির হাতে কোন ক্ষমতা থাকবে না। #ইজিইলেকশন- #ইজিপ্রেসিডেন্ট
আরো প্রতিক্রিয়ার জন্য #ইজিইলেকশন এবং #ইজিপ্রেসইলেএক্স হ্যাশট্যাগ দেখুন।
এই প্রবন্ধটি মিশরের নির্বাচন ২০১১/২০১২-এর বিষয়ে করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।