আমাদের এ পোস্ট টি তিউনিসিয়া বিপ্লব ২০১১ – সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ।
নাওয়াত.অর্গ- এর একজন সাংবাদিক ও সক্রিয়তাবাদী তিউনিসীয় রামজি বেত্তায়েব (ওরফে উইনস্টন স্মিথ) ষষ্ঠ দিনের মত অনশন ধর্মঘট পালন করছেন। “শহীদ মামলা” পরিচালনায় তিউনিসীয় সামরিক বাহিনীর বিচারকার্যে অস্বচ্ছতার বিষয়ে প্রতিবাদ করছেন তিনি। জেইন আল-আবিদিন এর ২৩ বছরের শাসন ভেঙ্গে দেয়া তিউনিসীয় গণ অভ্যুত্থানের সময় বিক্ষোভকারীদের খুনের “শহীদ মামলা”টি সামরিক বাহিনীর বিচারিক অনুসন্ধানের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
গন অভ্যুত্থানের সময় ৩০০ এরও বেশি ব্যক্তি নিহত হন। এদের অধিকাংশই বিক্ষোভকারী। সামরিক ন্যায়বিচার অস্বচ্ছতা এবং তদন্তের ধীর গতির জন্য নিন্দিত হলেও তারা এ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের হত্যার জন্য কোন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনি। ২১ মে বেত্তায়েব, আল-কেফ এর সামরিক আদালত থেকে “শহীদ মামলা”র একটি শুনানির চিত্রায়ন করেন, একজন আর্মি জেনারেল “বিদেশী বাহিনীর সহযোগী” বলে অভিযুক্ত করে তাঁর দু’টি ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করেন।

শৃঙ্খলিত ক্যামেরা। ছবি নাওয়াত. অর্গ
২১ মে নাওয়াত টুইট করেন :
ঘাতকদের বিচার কভার করার সময় সেনাবাহিনী @ নাওয়াতের কাছ থেকে দুইটি ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করেন। কমান্ডার বলেন, “আমরা @ নাওয়াত কে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি।”
২৯ মে লিলিয়া ওয়েসলাটি নামের নাওয়াত.অর্গের আর একজন সাংবাদিক কে ধারণকৃত ভিডিও ডিলিট করার জন্য জোর করেন একজন সেনা কর্মকর্তা ।তিনি টুইট করেন [ফরাসী ]:
Lors du procès des martyrs, les militaires m'ont obligé à supprimer mes vidéos et à signer un papier pour ne rien diffuser #Tunisie @nawaat
বেত্তায়েব তার অনশন ধর্মঘটের মাধ্যমে সামরিক কর্তৃপক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করতে চান যাতে সাংবাদিকরা কোন রকম বাধ্যবাধকতা ছাড়াই শহীদ মামলা চলাকালীন সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে। আদালত শুনানির প্রারম্ভে মাত্র তিন মিনিটের জন্য সাংবাদিকরা ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারেন।
৩১ মে প্রকাশিত নাওয়াতের একটি বিবৃতি। এতে বলা হয় [আরবী]:
أهمّها لأنّه تعلّق عليها آمال طوي صفحة مُظلمة من تاريخ تونس,، صفحة الطغيان و الظّلم و الدّيكتاتوريّة.
أغربها لأنّها تدار بعيدا عن أنظار الشّعب …في ظلّ تراكم عناصر و أدلّة تشير إلى إحتمال تورّط وحدات من الجيش في قمع المتظاهرين أيام الثورة.
على هذه الخلفية يعلن فريق نواة عن دخول الصحفيين رمزي بالطيبي و حسام الحجلاوي في إضراب جوع مفتوح بداية من يوم الإثنين الماضي 28 ماي 2012 إحتجاجا على حرمان الصحفيين من التوثيق المصوّر الكامل لأطوار هذه القضية التاريخية و مطالبة بسحب قضايا شهداء و جرحى الثورة من القضاء العسكري الذي أثبت أنّه قضاء إستثنائي، غير مستقلّ و مُختلّ،
অনশন ধর্মঘট পালনকারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি:
দ্রুত অনশন ধর্মঘটের খবর ছড়িয়ে পড়ে, তিউনিশিয়ান টুইটার ব্যবহারকারীরা তাদের সমর্থন জানানোর জন্য হ্যাশ ট্যাগ #رجع_الكاميرا (আরবী ‘ক্যামেরা ফেরত দাও’) এবং #Liberté_de_presse (ফরাসী ‘সাংবাদিকতার স্বাধীনতা’) ব্যবহার করে ।
সোফিয়েন সাউলহি (@সু_ফেই) টুইট করেন [আরবী]:
সেইফ আল্লাহ বাউনেব (@সেইফ_আল্লাহবি) বলেন [ফরাসী]:
je viens de revenir du local @nawaat et g rencontré Ramzi Bettaieb et il a tjrs le moral up !! courage man #Liberté_de_Presse رجع_الكاميرا#
একজন ব্লগার এবং সক্রিয়তাবাদী ইয়াসিন আয়ারী উইনস্টন স্মিথের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনশন ধর্মঘট পালন করছেন । তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে লিখেন:
এই অনশন ধর্মঘট স্বাধীন সাংবাদিকতাকে হুমকী প্রদানকারী সামরিক অবিচারের বিরুদ্ধে এবং রামজি বেত্তায়েবের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে উৎসর্গীকৃত।
রাজনৈতিক কার্টুনিস্টরা এই ঘটনায় যোগ দেন:
বেন আলীর আইন পতন থেকে বিকশিত তিউনিসীয় রাজনৈতিক কার্টুনিস্টরা বেত্তায়েব এর প্রতি সমর্থন জানান।
এই কার্টুনে দেখা যায় বাকুনায়ার (কার্টুনিস্ট সেইফ নেচির একটি চরিত্র) তার ডানা দিয়ে পাখির খাচা থেকে দু’টি ক্যামেরা মুক্ত করছেন । বাকুনায়ারের মন্তব্য:
[ক্যামেরা] দু’টিকে ক্যানারি পাখি হিসেবে বিবেচনা করুন! মানুষকে তিউনিসীয় প্লেট (একটি জনপ্রিয় তিউনিসীয় খাবার) থেকে বঞ্চিত করবেন না এবং বিপ্লবের সময় কি ঘটেছিল তা জানা থেকেও আমাদের বঞ্চিত করবেন না।
বেনামী রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট _জেড_ এর কার্টুনে তিউনিসীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান রাশিদ আম্মার একটি পুতুল নাচ দেখাচ্ছেন। এক হাতে তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ধরে আছেন অন্য হাতে একজন বিচারককে। তিনি একজন ভিডিও সাংবাদিকের দিকে তাকিয়ে আছেন।
বিক্ষোভ:
আশা করা যাচ্ছে আগামীকাল (৩ জুন) সকালে বেত্তাবের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। নাওয়াত কার্যালয়ের নিকটবর্তী বেব বিনেট এলাকা থেকে বিক্ষোভ শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে কসবাহ চত্বরে মিছিলটি যাবে।
আমাদের এ পোস্ট টি তিউনিসিয়া বিপ্লব ২০১১ - সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ।