কিউবাঃ মানবাধিকারের মূলনীতি

কিউবায় মানবাধিকারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ব্যাপারে জাতিসংঘ নির্যাতনবিরোধী কমিটির তথ্য প্রদানের অনুরোধের ব্যাপারটি ব্লগারদের আলোচনায় এসেছে।

প্রবাসী ব্লগার আনকমন সেন্স বলেছেন যে “জাতিসংঘের ক্যাস্ট্রোকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একনায়ক শাসন ও শোষণের জন্য দায়ী করা…অত্যাচারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কমিটির হাততালি প্রাপ্যতা…” আসলে, কেন? কেউ “তার অধিকার আদায়ে সফল বা নির্যাতিত হয়েছে, সাথে মতপ্রকাশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা আছে কিনা” তা কিউবান সরকার দ্বারা প্রত্যাখান করার জন্য – যার উত্তর ঐ ব্লগার দিয়েছেনঃ

আর কেউ নয়, অতীত ও বর্তমানের হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দীরাই ক্যাস্ট্রোর সময়ে নির্বাসিত হয়েছিলেন কারণ তারা ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার ভোগ করেছিলেন।

আর কেউ নয়, কর্মীরাই তাদের সামান্যতম অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিটি দিনে ঝুঁকি নিয়েছিলেন যাতে তারা ও তাদের সাফল্য সেই অধিকার স্বাধীনভাবে ভোগ করতে পারেন।

আর কেউ নয়, জাপাতা ও ভিলারের মত কিউবানরাই চিরতরে নীরব হয়েছেন, যারা ক্যাস্ট্রো বাহিনী দ্বারা নিহত হয়েছিলেন কারণ তারা, তাদের অধিকার আদায়ের অঙ্গীকার একনায়কত্বের উপর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

একনায়কত্বের চাটুকারদের একজন বিশ্বের সামনে দাঁড়াবে এবং অপ্রত্যাখ্যাত ব্যাপারটি প্রত্যাখ্যান করবে, এটাই যথেষ্ট প্রমাণ যে, যখনই সাম্প্রতিক অনুসন্ধানের জাতিসংঘ কিউবার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, তখনই ক্যাস্ট্রোরা ভীত হবেন যে তাদের সময় শেষ।

কিউবান সরকার ঐ দ্বীপে মানবাধিকারের অবস্থা নিয়ে দুটি ভিন্ন প্রতিবেদন দ্বারা বেকায়দায় রয়েছে, একটি মার্কিন রাষ্ট্রীয় বিভাগের এবং অপরটি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালেরহাভানা টাইমস অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন নিয়ে ব্লগ লিখেছেঃ

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুসারে, কিউবান সরকার শত শত গ্রেফতার ও সাময়িক আটকের মাধ্যমে মতপ্রকাশ, সংগঠন ও একতার স্বাধীনতার উপর ‘শোষণ’ বজায় রেখেছে, যদিও ২০০৩ সালেই ১১ বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, এবং সাথে ৬২ ‘রাজনৈতিক বন্দীদেরও’, যাদের কয়েকজন ১৯৯০ সাল থেকে কারাবন্দী।

এনজিওটি মানবাধিকার রক্ষাকারী, যা ১৯৯০ সাল থেকে ঐ দেশে নিষিদ্ধ, তা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতি বিরোধিতাও দেখিয়েছে এবং স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব দেখিয়েছে, বিশেষ করে কম গুরুত্বপূর্ণ দলগুলো।

কিউবান নির্বাসন কোয়ার্টারের বার্তা থেকে, এর মধ্যে বলা হয়েছে “কমিটিতে অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্যাস্ট্রো বাহিনীর দুটি (অনেকগুলোর মধ্যে) ভুল বক্তব্য”:

প্রথম ভুল বক্তব্য, “এই প্রশ্নে এবং বাকি প্রশ্নগুলোতে ‘মানবাধিকার রক্ষক’ হিসেবে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ ১৯৮৮ সালের ৯ ডিসেম্বর অনুচ্ছেদ ৩ এ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক” গৃহীত মানবাধিকার রক্ষার ঘোষণা প্রতিষ্ঠায় এর যোগ্য নন।

২০০৩ এ কিউবান কালো বসন্তে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে বর্তমান কিউবান সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া হিসেবে ভ্যারেলা প্রকল্পের পরিচালকদের অধিকাংশ কারাবন্দী ও বিচারাধীন হয়েছেন এবং সংবিধান অনুসারে বৈধ অধিকার আদায়ের জন্য ২৮ বছর পর্যন্ত কারাভোগ করেছেন রাফায়েল পিনো বেকের বিরোধীদের কারাদণ্ড ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠার জন্য একনায়কত্বের উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন।

দ্বিতীয় মিথ্যা বক্তব্য, সরকারপক্ষের প্রতিনিধির বক্তব্য অনুসারে, এই ব্যাপারগুলো প্রতারণার ছায়ায় প্রচারিত হয় নি। একই সময়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের বিশেষ অনুসন্ধানমূলক সংস্থা ২০০৯ এর ২৮ জানুয়ারি সরকার কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়েছিল এবং বর্তমানে একনায়ক শাসনে এর জন্য সম্মতি দেয়া হয় নি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো দ্বীপটি সফর এবং মানবাধিকার অবস্থার উপর তাদের পর্যবেক্ষণ ও উপসংহারের জন্য অনুমতির আবেদন করেছে, কিন্তু কিউবান সরকার দ্বীপটি সফরের জন্য তাদের সব অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো কিউবার ভেতরে ও বাইরে একনায়কত্বের দ্বারা অভিযুক্ত ও নিন্দিত মানবাধিকার দলগুলোর প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করছে।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো হয়তো উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে, কিন্তু প্রবাসী ব্লগাররা শোষণনিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা অব্যাহত রেখেছেন।

এই অনুচ্ছেদে ব্যবহৃত ছবি, “জাতিসংঘ”, ক্রিস্টোফার চ্যানের সৌজন্যে, an Attribution-NonCommercial-NoDerivs 2.0 Generic (CC BY-NC-ND 2.0) Creative Commons license এর অধীনে। Visit ফ্লিকারে ক্রিস্টোফার চ্যানের ছবি দেখুন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .