এই পোস্টটি সিরিয়া বিক্ষোভ ২০১১/১২–এর বিষয়ে করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
সিরিয়ার হোউলায় এলাকায় সংগঠিত নির্মম গণহত্যার ঘটনা সারা বিশ্বে দ্রুত তীব্র এক আতঙ্কিত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। সিরিয়ায় ক্রমশ বাড়তে থাকা সহিংসতার প্রতিবাদে বিশ্বের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের সরকার উক্ত রাষ্ট্রে অবস্থানরত সিরীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
অবশেষে ২৬ মে তারিখে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল হোউলায় এসে পৌঁছে এবং ১০৮ জন ঘটনার শিকার হবার বিষয়টি নিশ্চিত করে, যাদের মধ্যে ৪৮ জন হচ্ছে শিশু। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরী সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি পরিষ্কার করা হয় যে, সিরিয়ার শাসকেরা সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে “তীব্র আক্রমনাত্মক অভিযান” পরিচালনা করছে, যার অর্থ হচ্ছে ঘটনার শিকার বেশীরভাগ নাগরিকরা নিহত হচ্ছে!
অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে প্রথম রাষ্ট্র যারা এই ঘটনায় সে দেশ থেকে সিরীয় কূটনীতিবিদকে বহিষ্কারের ঘোষণা প্রদান করে। এরপর ফরাসী রাষ্ট্রপতি ফ্রাসোয়া ওলান্দ ফ্রান্স থেক সিরীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের ঘোষণা প্রদান করেন এবং এরপর জার্মানী, স্পেন, যুক্তরাজ্য, ইতালী এবং বুলগেরিয়া এবং একই সাথে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা তাদেরকে অনুসরণ করে।
প্যারিস থেকে সাংবাদিক আম্মার আব্দে রাব্বো মন্তব্য করেছেন:@আম্মারপ্যারিস:কেউ কেউ এতে খুশি, কারণ বাথ পার্টির সব রাষ্ট্রদূত এখন ইউরোপ থেকে বহিষ্কার হতে যাচ্ছে, … আমি সত্যি খুব খুশী হব, যখন তারা সকলে সিরিয়া থেকে বহিষ্কৃত হবে!!!
ইসান্দার এল আমরানি বলছে:
@আরবিস্ট:এই সকল সিরীয় রাষ্ট্রদূত যাদের বহিষ্কার করা হবে, তারা ঘরের ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে আতঙ্ক অনুভব করবেন, এখন সময় হয়েছে পক্ষত্যাগ করার!
সাকিব আল জাবরি তার প্রতিক্রিয়া প্রদান করেছে:
@লেশাক: তারা তা পারবে না। গত বছরের আগস্ট মাসে এই সব রাষ্ট্রদূতদের বাধ্য করা হয়, যেন তারা নিজেদের পরিবারকে দেশে ফেরত পাঠায় এবং সেখানে তাদের যেন অনেকটা জিম্মি করা করে রাখা হয়েছে, নিজ দেশের সরকারের প্রতি এইসব রাষ্ট্রদূতদের বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করার জন্য তা করা হয়েছে।
লেবানন থেকে লেইলা উল্লেখ করছে:
@এলসাল১৯২: আমি বাজী রেখে বলতে পারি যে সমস্ত দেশগুলো সিরীয় রাষ্ট্রদূতকে বের করে দিয়েছে, তারা সকলে ইজরায়েলী রাষ্ট্রদূতকে ধারণ করে।
আমিনা একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে:
@@আমিনা_লেবানন: আমি আশা করছি যে আগামীতে গাজায় সংঘঠিত গণহত্যার সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইজরায়েলী রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করবে। হ্যাঁ ঠিক# সিরিয়া।
লন্ডনে বসবাসরত কার্ল শাররো টুইট করেছে:
@কার্লরিমার্কস:পশ্চিমের দেশগুলো থেকে সিরীয় রাষ্ট্রদূতদের বের করে দেওয়ার বিষয়টি আসলে ওই সরকারের অর্থহীন প্রচারণা, সিরিয়ার বিষয়ে তাদের কোন স্পষ্ট নীতি নেই# সিরিয়া।
একই সাথে তিনি রসিকতা করেছেন:
@কার্লরিমার্ক্স: দেখা যাচ্ছে তিনজন সিরীয় রাষ্ট্রদূত একটি পানশালায় প্রবেশ করছে…না, ওই বিষয়টি ভুলে যান, তারা ট্রাভেল এজেন্ট।
এই পোস্টটি সিরিয়া বিক্ষোভ ২০১১/১২–এর বিষয়ে করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।