মেসিডোনিয়া: দেওয়াল-চিত্রে “পুনরুজ্জীবিত অতীতকাল”

রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প/ নির্মাণ খাতে সফলতার প্রেক্ষাপটে মেসিডোনিয়ার দেওয়াল-চিত্রের দৃশ্যের উপর দুই মহিলা বিজ্ঞানী ও ব্লগার ভাসিল্কা দিমিত্রোভস্কা এবং ইলিনা ইয়াকিমোভস্কা নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র বহুল পরিচিত প্রত্নতাত্ত্বিক সম্মেলন মোষ ট্যাগ (টেকনিক ডি’আভ গার্দ) ২০১২–তে প্রদর্শিত হয়েছে।

“সিংহ, যোদ্ধা এবং দেওয়ালচিত্র শিল্পী: পুনরুজ্জীবিত অতীতকালে প্রতি-সংস্কৃতি” শিরোনামের তথ্যচিত্রটি দেওয়াল-চিত্রের দৃশ্যপটে গৃহিত জনগণের সাক্ষাৎকারসহ স্কোপিয়ে ২০১৪ প্রকল্পের (ব্রোঞ্জের সিংহ প্রদর্শিত) মাধ্যমে মেসিডোনিয়ার রাজধানীর কেন্দ্রটির উপর সরকারের নতুন, পরিশীলিত শাস্ত্রবাদী/ বলিষ্ঠভাবে দৃশ্যমান পরিচয় আরোপের প্রাণবন্ত প্রচেষ্টা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যকে পাশাপাশি স্থাপন করেছে (দৃশ্যমান শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব শব্দ!)।

সহ-রচয়িতাদের একজন প্রত্নতাত্ত্বিক দিমি্ত্রোভস্কা মেসিডোনিয়াতে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস করা জনগণের প্রায়ই শুনতে পাওয়া একটি ডিসক্লেইমার [দাবিত্যাগ] ঢুকিয়ে দিয়ে তার ব্লগে এটি লিখেছেন [মাকেদনস্কি ইয়াজিক – মেসিডোনিয়ার ভাষা]:

আমরা এই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছি… আমাদের দেশে নতুন শহুরে পদ্ধতি – মূলতঃ স্কোপিয়ে – বাস্তবায়নের কারণে দেওয়াল-চিত্রটির অন্তর্হিত হওয়া বা হতে যাওয়া অংশটি ভালবাসার সাথে নথিবদ্ধ করার জন্যে। প্রকল্পটির কোন রাজনৈতিক মাত্রা নেই, বা আমরা এর সঙ্গে কোন রাজনৈতিক যোগাযোগ প্রত্যাশাও করি না। মেসিডোনিয়ার দেওয়াল-চিত্রটির উপর এই ছোট্ট প্রকল্পটি সামান্য অর্থায়নে নেয়া হয়েছে, এবং আমরা দেওয়াল-চিত্রটির শিল্পীদের যারা এই উপ-সংস্কৃতির দৃশ্যমান অংশটিকে আকার দিয়েছেন বা এখনো দিচ্ছেন যা আইনতঃ দণ্ডনীয় হলেও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শ্রেণী কর্তৃক ব্যবহৃত (অপব্যবহৃত নয়), তাদের কণ্ঠ এবং মতামত – কোনরকম সেন্সরশীপ বা বিবৃতির কোন জগাখিচুড়ি ছাড়াই – উপস্থাপন করার প্রত্যাশা করি।

চলচ্চিত্রটিতে সাক্ষাৎকার নেয়া শিল্পীরাও রাজনৈতিক জীবনের প্রতি যে কোন ধরনের আগ্রহকে অস্বীকারের প্রয়োজন বোধ করেন। তারা স্ব-উদ্যোগে “লিখে” ধরা পড়ে শাস্তির (অন্তত ৫০ ইউরো)  হুমকি এবং বাণিজ্যিক কারণে বা বৈধভাবে সুনির্দিষ্ট সরকারী দালান অলংকৃত করার জন্যে অধিগ্রহণ করে নেয়া দেওয়াল-চিত্র শিল্পীদের জড়িত করে স্থানীয় সরকার প্রকল্পের কারণে বিক্রয় অযোগ্য হয়ে যাওয়ার ভয়ের মধ্যে টুটে যাওয়ার কথা বলেছেন। তারা দ্রুত গড়ে উঠা একটি প্রজন্মগত ব্যবধানের কথাও উল্লেখ করছেন।

অপর সহ-রচয়িতা জাতিতত্ত্বিক ইয়াকিমোভস্কা তার ব্লগের একটি পোস্টে ২০০৭ সালে ব্রায়ানের জীবন চলচ্চিত্রের বিখ্যাত দৃশ্যটি নির্দেশ করে এটা লিখেছিলেন [মেসিডোনিয়ার ভাষায়]:

শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও দেওয়াল-চিত্র কিন্তু – লোকশিল্প! শহরের দেয়ালে যারা এগুলো তৈরী করেন এবং যারা এগুলো পড়েন তাদের জন্যে দেওয়াল-চিত্রের আঁকা বা লেখাতে কোন বার্তা থাকুক বা নাই থাকুক, এগুলো একধরনের অভিব্যক্তি এবং যোগাযোগ। আপনার গভীরে লুকানো কিছু থাকেলে, আপনাকে ব্যাথা দিলে, পোড়ালে সেটা দেয়ালে লিখুন এবং এটা সেকথা প্রকাশ করবে… স্কোপিয়ে’তে আমার প্রিয় কয়েকটির মধ্যে রয়েছে “কোন নারীই নারী নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সে একজন নারী হয়,”  “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী নই”…

এর আগে এলেক্স [মেসিডোনিয়ার ভাষায়] বা দিয়াঙ্গোর [মেসিডোনিয়ার ভাষায়] মতো আরো অন্যান্য ব্লগার  স্কোপিয়ে  দেওয়াল-চিত্র সম্পর্কে লিখেছেন। তথ্যচিত্রটিতে দেখানো শিল্পীদের প্রকাশ্য ইন্টারনেটে অনলাইন উপস্থিতি নেই, তবে কখনো কখনো ফেসবুকে তাদের কাজের আলোকচিত্র প্রকাশ করেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .