১০ই মে আরব উত্থান শুরুর পর আলজেরিয়ার প্রথম সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট (এফএলএন) এবং তাদের সহযোগী দল জাতীয় গণতান্ত্রিক সমাবেশ একটি ইসলামী জোটকে পরাজিত করে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতেছে।
স্বাধীনতার পর থেকে আলজেরিয়ার রাজনৈতিক জীবন ক্ষমতাসীন এফএলএন প্রভাবিত। এই নির্বাচনগুলোকে ব্যবস্থাটির বৈধতার একটা পরীক্ষা হিসাবে দেখা হচ্ছে এবং সরকারী হিসেবে ভোটদানের হার ৪২.৯% যা ২০০৭ সালের নির্বাচনে ভোটদানের হার ৩৫% থেকে বেশি, তাই কেউ কেউ একে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন বলে দাবি করেছে। তবে আরব বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো আলজেরিয়াতে শাসকগোষ্ঠীবিরোধী বিক্ষোভ না থাকা সত্ত্বেও সরকার সম্পর্কে ব্যাপক অসন্তুষ্টি রয়েছে। অনেকেই নির্বাচন বয়কটের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচনের দিন আলজেরীয়রা #১০মায়তোজ হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট করেছে, “তোজ” মানে অর্থহীন।
ইয়াসমিন বুচেনে লিখেছেন:
@Yaspuppchen: Si dans d’autres pays, voter est un acte citoyen. En Algérie, ne pas le faire l’est apparemment d’avantage ! #10maiToz
“ফলাফল পরিবর্তন” এবং জালিয়াতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
ইয়ানিস চালুচে কৌতুক করেছেন:
@Mister16Five: Les actes de citoyenneté sont tellement ancrés dans notre culture et notre éducation, que même les morts ressuscitent pour voter. #10MaiToz
ব্লগার বাকি ৭(সা)ওয়ার টুইট করেছেন:
@7our: Proverbe algérien: “c'est quand le bureau de vote est vide que l'urne se remplit”. #10MaiToz #Fraude
সাংবাদিক বোর্জু দারাগাহি ভোটারদের অভাব লক্ষ্য করেছেন:
@বোর্জু: আলজেরিয়া: আলজিয়ার্স শহরের বাইরে লার্বাতাচে নির্বাচনী কেন্দ্রে খুব খুবই অল্প সংখ্যক ভোটার, অধিকাংশই বৃদ্ধ ; অল্পবয়েসীরা কোথায়?
জালিয়াতি সম্পর্কে রিপোর্ট করার জন্যে একটি নাগরিক-চালিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট পর্যন্ত গড়ে তোলা হয়েছিল। আলজেরিয়া জুড়ে ১৫০টির বেশি বিচ্যূতি নথিভুক্ত হয়েছে।
উপরের ভিডিওটিতে [আরবী] তারেক নামের একজন ২৩ বছর বয়েসী যুবক ব্যাখ্যা করেছেন যে আলজেরীয় জনগণ ১৯৯৯ সাল (আব্দেলাজিজ বুতেফিকা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর) থেকে তাদের জীবনকে সুন্দর করতে ব্যর্থ যথেষ্ট পরিমাণ রাজনীতিবিদদের দেখেছে। ক্লিপটির অন্যতম শক্তিশালী একটি মুহূর্ত হলো যখন তারেক বলেন যে তিনি বরং “চান ক্রিমি (দারিদ্র্য) তাকে খাওয়ার পরিবর্তে, মাছ তাকে খেয়ে ফেলুক।”