- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ভিডিওঃ রোবট আমাদের দেখাচ্ছে, কি ভাবে অনলাইনে নিরাপদ থাকা যায়

বিষয়বস্তু: কৌতুক, চলচ্চিত্র, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, প্রযুক্তি, শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি

Ono the Robot, mascot for teaching digital safety [1]

ওনো নামে রোবটটি

অনলাইন নিরাপত্তা একটি জটিল বিষয়, যা উপলব্ধি করা বা কিভাবে একে মোকাবেলা করা যাবে সে সম্বন্ধে জানা বেশ কঠিন। একটি মিষ্টি অ্যানিমেটেড রোবট ব্যবহার করে, ট্যাকটিক্যাল টেক কালেকটিভ [1] স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিওর মাধ্যমে আরো অনেক নাগরিককে সচেতন করার চেষ্টা করছে যে, কিভাবে এই বিষয়ে অনলাইনে নিরাপদ থাকা যায়। এই সমস্ত ভিডিও অনলাইনের দেখা যাবে বা এগুলোকে সেখান থেকে নামানো যাবে।

সারভাইভাল ইন দি ডিজিটাল এজ (ডিজিটাল যুগে টিকে থাকা) নামে সপ্তাহান্তে প্রকাশিত নতুন ৮টি সিরিজ ভিডিওর মাধ্যমে ওনো নামক রোবট আমাদের ইমেইল, ফেসবুক নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত ব্রাউজিং এবং আরো অনেক কিছুর বিষয়ে জানাচ্ছে। এই নতুন সিরিজের প্রথম ভিডিও হচ্ছে হেই ইয়াহু! এইচটিটিপিএস ইজ মাই ইমেইল’ [2] (‘ওহে ইয়াহু! এইচটিটিপিএস হচ্ছে আমার ইমেইল!)। এই ভিডিওতে কি ভাবে একটি নিরাপদ ইমেইল সরবরাহকারীকে বেছে নিতে হবে সেই বিষয়ে বলা হয়েছে। এই সংগঠনটি যতগুলো সম্ভব ভাষায় ভিডিওর অনুবাদ করার প্রচেষ্টা হিসেবে ক্রাউডসোর্সিং-এর ব্যবহার করছে।

২০১০ সালে ওনো ইন্টারনেটে প্রথম আবির্ভুত হয়, আমরা ইন্টারনেটে যে ডিজিটাল চিহ্ন [3] ও যোগাযোগ করার উপায় রেখে যাই সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করার জন্য এবং মোবাইল ফোন, ক্যামেরা অথবা ইন্টারনেটে ব্যাবহারের সময় ব্যক্তিগত তথ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা কি ভাবে নিরাপদ রাখা যায়, সেই বিষয়ে জানানোর জন্য। ইতোমধ্যে এই সিরিজের অতীতের বেশ কিছু ভিডিওর অনেকগুলো ভাষায় সাব-টাইটেল করা হয়েছে।

ওনোর চোখ দিয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমরা ইন্টারনেট-এ যে ডিজিটাল চিহ্ন রেখে আসছি, তাঁর মাধ্যমে আমাদের চিহ্নিত করে ফেলা হচ্ছে। বেশীর ভাগ সময় এই বিষয়টি হয়ত আমাদের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে আমরা যা গোপন রাখতে চাই এবং দেখা, রেকর্ড করা, অথবা তথ্য অনুসন্ধান-এর সময়, এ সবের ক্ষেত্রে আমাদের খুব সামান্যই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এই বিষয়টি একটিভিস্ট এবং সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যারা হয়ত নজরদারির মাঝে রয়েছে এবং সে ক্ষেত্রে যে কোন ডিজিটাল কর্মকাণ্ড তাদের বিপদে ফেলে দিতে পারে। ওনো দেখাচ্ছে [4], বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে যার মধ্যে দিয়ে নাগরিকরা তাদের পরিচয় এবং তাদের ভিন্নতা লুকিয়ে ফেলতে পারে বা নিজদের নিরাপদ রাখতে পারে। তারা আসলে কে, তারা কি করছে, যেমন নাম পরিচয় লুকিয়ে ফেলা এবং প্রচলিত পদ্ধতিকে পাশ কাটিয়ে কাজ করা যায় এমন উপাদান (সারকামভেনশন টুলস) এবং কোড আকারে (এনক্রিপ্টিং) ইন্টারনেট ব্যবহার করা। ওনো আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছে, যে আমাদের জানা প্রয়োজন আমরা কি করছি, বিশেষ করে যখন আমরা আরো অগ্রগামী গোপনীয়তা বিষয়ক প্রযুক্তি ব্যবহার করি, এবং এই ক্ষেত্রে সেরা কাজটি অনুশীলনের জন্য আমাদের কি কি করণীয় সে বিষয়ে ওনো আমাদের একটি তালিকা প্রদান করেছে, যা কিনা আমরা সবাই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, ইমেইল, মোবাইল ফোন, এবং অনলাইন সেবার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারব।

গ্লোবাল ভয়েসেস অ্যাডভোকেসি এ্যাকসেস ডিনাইড ম্যাপের [5] এক আহ্বানের মাধ্যমে, ওনো'স গাইড টু সেফ সার্ভিং [6], কি ভাবে অনলাইনে কাজ করার সময় নিরাপদ থাকা যায়, সেই বিষয়ে নাগরিকদের জানাচ্ছে, বিশেষ করে যখন এমন কোন সাইটে প্রবেশ করা, যেটা হয়ত বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

ফেসবুক [7], টুইটার-এর (@ওনোরোবট) মাধ্যমে ওনো সম্বন্ধে এবং ট্যাকটিকাল টেক সাইটের [8]মাধ্যমে অনলাইন নিরাপত্তার বিষয়ে আপনি আরো অনেক কিছু জানতে পারেন।