৩রা মে সকালের দিকে নিরাপত্তা বাহিনী নোয়াকচটে বিরোধীদলীয় একটি অবস্থান-ধর্মঘট সহিংসভাবে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মৌরিতানিয়াতে সংঘটিত ধারাবাহিক বিক্ষোভগুলোর মধ্যে এটি সাম্প্রতিকতম ।
সামরিক সরকারের পতন চেয়ে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান করার উদ্দেশ্যে তাবু টাঙ্গিয়ে রসদ এবং পানির একটি ট্রাক নিয়ে এসেছে। বিরোধী, এক্টিভিস্ট এবং কমিউনিটির দলগুলো আয়োজিত এটাই প্রথম গণঅবস্থান-ধর্মঘট।
এক বছরের বেশি সময় ধরে মৌরিতানীয়রা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পুণর্গঠন এবং সামরিক শাসন অবসানের জন্যে বিক্ষোভ করছে। দেশটির পরিস্থিতি স্ফুটনাংকে (উত্তপ্ত অবস্থায়) রয়েছে বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট অনিতা হান্ট ৩রা মে সকালে কী হয়েছিলো সেটা বর্ণনা করেছেন:
অবস্থান-ধর্মঘটের চারপাশের এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে এবং রাস্তা বন্ধ করে অবরুদ্ধ করে, সেই শিবিরটির উপর ৩০টির মতো গাড়ির একটি বহর থেকে কাঁদানে গ্যাস, শব্দ-বোমা এবং জলকামান বৃষ্টি বর্ষণ করা হয়েছে। তারপর পালিয়ে যেতে চেষ্টা করার সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের পিটিয়েছে। দুই ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষে কয়েক কুড়ি জনগণ আহত এবং কয়েক ডজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আহতদের মধ্যে বিরোধীদলের একজন নেতা; বিরোধীদলের আরেকজন নেতা উলদ দাদ্দাহ’র অফিসের পরিচালক; কয়েকজন স্বাধীন রেডিও সাংবাদিক; কাঁদানে গ্যা্সে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর শ্বাসকষ্টে ভোগা একজন গর্ভবতী মহিলা; এবং অভ্যন্তরীণভাবে রক্তপাত হচ্ছে এমন একজন যুবক রয়েছেন। পুলিশকে ক্যাম্প এলাকা থেকে বিছানাপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করতে এবং পরে খাদ্য ও পানীয়গুলো নিজেদের মধ্যে বন্টন করতে দেখা যায়। পুলিশ টেবিল, চেয়ার ও টয়লেটের ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন জিনিষ যেগুলো সহজে সরিয়ে নিতে পারেনি সেগুলো তারা ধ্বংস করেছে। এরকম রিপোর্ট আছে যে আক্রমণ চলাকালে ঐ এলাকায় প্রেসিডেন্ট আজিজ এবং রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা রক্ষীদের নিরাপত্তা আয়োজনের একটি বিস্তারিত সনাক্ত করা হয়েছে, যার মানে হলো তিনি ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণটি তত্ত্বাবধান করছিলেন। সেই সকালে একটু পরে মন্ত্রিদের পরিষদটি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে দেখা করে, সেসময় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন একটি আক্রমণ চালিয়ে কয়েকজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে। (মন্ত্রী) পরিষদের বৈঠকটি শেষ হওয়ার পর দেয়া সরকারী বিবৃতিটিতে বিশাল বিক্ষোভ অথবা আক্রমণটির বিষয়ে কোন উল্লেখ ছিল না।
মৌরিতানিয়ার ব্লগার আহমেদ জেদু লিখেছেন:
من أحزاب وقوى سياسية وحركات شبابية مثل حركة 25 فبراير التي دخلت في سمر ليلي صاخب .
حيث قرضوا الشعر ورددوا شعارهم الاشهر “يسقط يسقط حكم العسكر “الذي رفعوه من أكثر من عام مع بداية الربيع العربي.
মার্কিনভিত্তিক মৌরিতানীয় এক্টিভিস্ট নাসের ওয়েদ্দাদি মন্তব্য করেছেন:
তিনি আরো বলেছেন:
@ওয়েদ্দাদি: বিরোধীরা কীভাবে গণপিটুনির প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সেটা আমরা এখন দেখবো। যথারীতি এটা নিয়ে কেউ বিশ্ব গণমাধ্যমে তেমন কিছু আশা করে না।
২রা মে তারিখের অবস্থান-ধর্মঘট দেখানো এই ভিডিওটি [আরবী] আপলোড করেছেন আহমেদজে৮৫:
৩রা মে তারিখ সকালের প্রথমদিকে আক্রমণের শিকার অবস্থান-ধর্মঘটটি দেখানো নিচের এই ভিডিওটি [আরবী] আপলোড করেছেন আলাআখবারইনফো: