সুইডেনঃ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ‘বর্ণবাদী কেক’ বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন

সংবাদ ওয়েবসাইট গ্রীও.কম-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সুইডিশ সংস্কৃতি মন্ত্রী লেনা অ্যান্ডারসন লিলজেরথ গত ১৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখ তারিখে ‘বিশ্ব শিল্প দিবস’ উপলক্ষে স্টকহোমে মডার্ন আর্ট মিউজিয়াম পরিদর্শনে যান।

এই পরিদর্শনের একটি ভিডিও ক্লিপ ইউটিউব এ পন্টাস রাউড-এর আপলোড করেন, যাতে দেখা যাচ্ছে যে একজন আফ্রিকান নারীর অবয়বের কেক সকলে উপভোগ করছেন:

শিল্পকর্মটি হল ম্যাকডে লিন্ডেএর। তিনি তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল-এ এই অনুষ্ঠানের একটি ছবি পোস্ট করেন এবং ব্যাখ্যা করেন:

এটি আজকে স্টকহোমের মোমাতে কেকের মধ্যে স্ত্রী জননাঙ্গ কাটার পরিবেশনার স্মারক। এই ছবিটি সাংস্কৃতিক মন্ত্রী, লেনা অ্যান্ডারসন লিলজেরথ কর্তৃক আমার স্ত্রী জনন অঙ্গহানির পরের চিত্র। তিনি আমাকে নীরবে বিদ্রূপ করে বলেছিলেন, “আপনার জীবন এর পরে আরও ভাল হবে”।

আর্ট ইনস্টলেশন- মাকোদে লিন্ডার ফেসবুকের পাতা থেকে নেওয়া

আর্ট ইনস্টলেশন- মাকোদে লিন্ডার ফেসবুকের পাতা থেকে নেওয়া

দি লোকাল” নামক একটি অনলাইন সংবাদ পোর্টাল-এর সূত্র মতে, এই ভিডিওটি কিতিম্বা সুবানির সহ কিছু সুইডিশ নাগরিকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। কিতিম্বা সুবানি জাতীয় আফ্রো- সুইডিশ এসোসিয়েশনের মুখপাত্র তিনি মন্ত্রীর পদত্যাগে দাবি করেছেন।

ফেসবুক ব্যবহারকারী লিলি সউরিস বিস্মিত:

Pardon, quel est le nom de l'artiste car j'aimerais comprendre sa démarche?
Cette recherche de compréhension n'annule pas mon sentiment d'indignation. Je ne veux pas me réfugier derrière l'idée qu'au nom de l'art on aurait le droit de tout faire. Je ne pense pas que c'est une polémique inutile qui est en train de se créer mais juste faire prendre conscient à cet artiste, à cette ministre de la culture et à tous les autres, qu'il est fini le temps où on laissait faire pour ne pas se faire remarquer et pour être accepté dans la société. Aujourd'hui nous sommes plutôt dans un mouvement : respectons nous!

দুঃখিত, শিল্পীর নামটা কি, আমি তার দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে চাই?

বোঝার জন্য আমার এই অনুসন্ধানে কি আমার অপমান অকার্যকর নয়! আমি এই ধারনার নামে এই বিষয়টি এটা লুকাতে চাইনা যে, শিল্পের নামে আমাদের যা খুশি তা করার অধিকার আছে। আমি মনে করি এটি একটি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে কিন্তু এই শিল্পী, এই শিল্প মন্ত্রণালয় এই সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। সময় চলে গেছে যখন আমরা সকলের নয়নগোচর এবং সমাজে স্বীকৃত হওয়ায় জন্যে কিছুই করিনি। এখন আমরা নামমাত্র আন্দোলনে নেমেছিঃ আমাদের নিজেদের প্রতি সম্মান থাকা উচিৎ।

ইউটিউবে দিডিডিইরালফ মন্তব্য করেছেঃ

Des blancs bouffant du negre a Stockholm. Jusqu ou les leucodermes vont-ils pousser leur haine contre le negre et la chosification du negre. Le comble est qu il y a toujours les negres de services qui se prettent a se jeu, en mettant leurs …service a la disposition de ces sales besognes.

শ্বেতাঙ্গ মানুষ স্টকহোমে একটা নিগ্রোর চেহারার কেক খাচ্ছে, এটা শ্বেতাঙ্গদের কতখানি ঘৃণা নিগ্রোদের প্রতি ও তাদের নিচু মানসিকতার বিরুদ্ধে ঠেলে দিবে? সবসময় এ পরিহাস করা হয়েছে নিগ্রোদের সেবার নামে এই নোংরা খেলার মাধ্যমে…।

লিন্ডে তাঁরফেসবুক প্রোফাইল এ একটি উন্মুক্ত বার্তা পান যা শিল্পী ডেমিয়েন মুরকে উৎসাহিত করেঃ

আমি আপনার শেষ কাজটি ভালবাসি। এটি মানুষকে বুঝিয়ে দেয় যে আক্ষরিক অর্থে ক্রীতদাসদের সাথে কি ঘটেছে…।।

২০০৯ এ আরবান লাইফ.সে নামক আফ্রো-ক্যারিবিয়ান সংস্কৃতির উপর একটি ওয়েবসাইেট লিন্ডের একটি উত্তেজক কাজের কথা মনে করিয়ে দেয়।

অন্যদের দৃষ্টি ভঙ্গীতে ভাল মানুষ ও ভাল জীবন সংক্রান্ত পশ্চিমী ধারণা কেমন সে সম্পর্কে মাকাদে চাতুর্যময় সারল্যে ও কৌতুকপূর্ণ মনভাবের সমন্বয়ে তাঁর শিল্প কর্মকে উপস্থাপন করেছেন। সমগ্র সেনাবাহিনীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রূপান্তরিত শিল্পকর্ম সৃষ্টি করা হয়েছে; যা পশ্চিমা ইতিহাসের সম্পূর্ণ এক রোম্যান্টিক উপস্থাপনা। এ ইতিহাসে চিহ্নিত করা হয়েছে সন্ত্রাস, দাসত্ব ও বর্ণপ্রথার মাধ্যমে।

মাক্সিট ওলসন একজন গুয়াডালুপিয়ান সুইডিশ শিল্পী, বলেন কিছু যুক্তি শিল্পির কাজ দমিত করেনাঃ

(…) Makode est un jeune homme noir. Il n´a peut-être rien contre les noirs mais est un noir suédois qui se croit immunisé contre le racisme comme beaucoup de noirs ici.

ম্যাকডে লিন্ডে একজন কালো যুবক। তিনি হয়ত কাল মানুষ দের বিপক্ষে নন, কিন্তু তিনি একজন সুইডিশ কৃষ্ণাঙ্গ যিনি অন্যান্য কৃষ্ণাঙ্গদের মত বর্ণবাদ বিরোধী।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .