গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার মসজিদ বোর্ডের (ইন্দোনেশিয়ান বোর্ড অফ মস্ক বা ডিএমআই) এক জাতীয় আলোচনা সভায় বক্তৃতা প্রদান করার সময় দেশটির উপরাষ্ট্রপতি বয়েদিনো একটি বিতর্কের সূত্রপাত করেন, যখন তিনি পরামর্শ প্রদান করেন যে মসজিদসমূহের উচিত প্রতিদিন আজানের সময় মাইকের আওয়াজ একটি কম করে রাখা।
নামাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ার মসজিদগুলোতে প্রতিদিন পাঁচবার “আজান” দেওয়া হয়। বয়েদিনো সতর্ক করে দেন যে জোরে আওয়াজ সৃষ্টি হয়ত অন্যদের বিরক্ত করতে পারে, এমনকি তা অন্য মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য। তিনি এর সাথে যোগ করেন যে নামাজের জন্য এই আহ্বানের আওয়াজ যদি মোলায়েম হয়, তাহলে তা জোরালো আওয়াজের চেয়ে অনেক বেশী একজন মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করবে।
তবে অনেক ইন্দোনেশীয় নাগরিক বয়েদিনোকে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেছে। ব্লগার হ্যাপিডিএসএফ, তার চিন্তা ব্যাক্ত করেছে:
Sungguh disayangkan, bahkan sepertinya negara ini ingin mengintimidasi kebebasan warga muslim, di negaranya sendiri, yang notabene juga di sebut negara dengan jumlah penduduk muslim yang mayoritas. masih banyak hal yang harus diselesaikan para wakil rakyat daripada harus mengurusi pengeras suara untuk panggilan sholat.
টোটোটাপালনাইজ নামের আরেক ব্লগার, উপরাষ্ট্রপতির বাণীর অর্থ অনুধাবন করার চেষ্টা:
Namun, kalau kita coba cermati dengan hati dan kepala dingin, perkataan wapres tersebut merupakan teguran halus buat kita kaum musliman dalam menjaga kualitas para muadzin sekaligus kualitas sound system di masjid-masjid….
…Lalu kenapa kita umat muslim harus memasang muka marah dengan ucapan tersebut dan langsung naik pitam? Apakah sedemikian reaktifkah umat muslim Indonesia yang merupakan mayoritas di negeri ini dengan sebuah kritikan atau masukan?
যদি আমরা খুব সতর্কতার সাথে এই বিষয়ে চিন্তা করি, তাহলে উপলব্ধি করব যে এটা মুসলমান নাগরিকদের জন্য একটা একটা হালকা সতর্কবার্তা, যাতে আজানের এবং একই সাথে মসজিদের সাউন্ড সিস্টেমের গুণগত মান বজায় রাখা হয়…
…আর কেন আমরা এই কারণে ক্ষুব্ধ হব এবং আমাদের মেজাজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাব? যখন এটি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম, তখন সমালোচনার ক্ষেত্রে কেন আমরা এত ক্ষুদ্ধ হই?
হারিস এল সালমান বলছে যে বাস্তব জগতে মাইকের আওয়াজ কখনোই কোন বিষয় নয়:
Bukankan selama ini tenggang rasa antar pemeluk agama masih dalam tahapan yang baik? Bahkan di daerah saya masih ada masjid dan gereja yang hanya dipisahkan oleh sebuah dinding, namun belum pernah saya melihat atau mendengar terjadi pertentangan antara jemaat masjid dan gereja ditempat tersebut, mereka akur-akur saja menjalankan ibadah masing-masing…
…Bukankah ini hanya akan menimbulkan perdebatan-perdebatan yang tidak esensial? Mungkin maksud beliau baik, tapi tidak pada tepatnya. Great idea in the wrong place?
এখনো ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের ক্ষেত্রে আমাদের মাঝে দারুণ এক সহিষ্ণুতা বজায় রয়েছে। আমি যেখানে বাস করি সেখানে একটি মসজিদ এবং এক চার্চ রয়েছে, যাদের মাঝে একটি পাতলা দেওয়াল রয়েছে। কিন্তু এখানে আমি দুটি সম্প্রদায়ের মাঝে কোনদিন কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে দেখিনি। তারা একই সময়ে আলাদা আলাদা ভাবে নিজ নিজ ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করে থাকে…
…এটা কেবল এক অপ্রয়োজনীয় এক যুক্তি তৈরী করবে। তার অভিপ্রায় হয়ত ঠিক, কিন্তু সঠিক জায়গায় তিনি তা উপস্থাপন করেননি। দারুণ এক চিন্তাকে তিনি ভুল জায়গায় উপস্থাপন করেছেন?
এই বিষয়ে টুইটারে প্রতিক্রিয়া মিশ্র:
@fgaban Dalam soal TOA, pernyataan Pak Boed itu otokritik bagus bagi Muslim Indonesia.
@anatriyana Knp jd msalah? Selama ini kan adzan gak ganggu? RT @Yahoo_ID: Wakil Presiden Boediono meminta suara azan diatur supaya tdk trlalu kncang
@gitaputrid Sayah senang Wapres Boediono ngomong soal TOA masjid u/azan; minimal ada nyali berani buka front versus suara mayoritas.