বলিভিয়া: মহিলা কাউন্সিল সদস্য হত্যাকান্ড, অনেক প্রশ্নের জবাব নেই

হুয়ানা কিসপে হত্যাকাণ্ডের ফলে বহুজাতিভিত্তিক গণপরিষদে (বলিভিয়ার সংসদ) বলিভীয় সুশীল সমাজ এবং অনেক বেসামরিক সংগঠনের “লিঙ্গভিত্তিক রাজনৈতিক সহিংসতা এবং হয়রানির বিরুদ্ধে” আইন পাশের দাবিটি জোরদার হয়েছে।

এল আলতো শহরের কাছাকাছি একটি গ্রামীণ পৌরসভা এঙ্কোরাইমিস থেকে ২০১০ সালে নির্বাচিত কাউন্সিল সদস্য আদিবাসী নারী হুয়ানা কিসপে নিজে এই আইনের একজন সক্রিয় প্রবর্তক ছিলেন।

২০১২ সালের মার্চ মাসে খুন হয়ে যাওয়ার আগে, ক্ষমতাসীন দল এমএএস বিরোধী একটি রাজনৈতিক আন্দোলন ফেডারেসিওন পুয়েবলো ইন্ডিঘেনা’র (আদিবাসী ফেডারেশন) সদস্য কিসপে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার ছিলেন। অপরাধটির মাত্র এক মাসের মধ্যে নির্বাচিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই কিসপে এমএএস সদস্যদের দ্বারা সীমাবদ্ধ তার রাজনৈতিক অধিকারটিকে পুনরুদ্ধার করেন।

বিগত ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে এনলারেদ হুয়ানা কিসপের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানি সম্পর্কে জানান [স্প্যানিশ]।

La concejala Quispe Apaza, de la agrupación Federación Pueblo Indígena, señaló a Enlared-Onda Local, que desde la posesión de las autoridades ediles, el pasado 30 de mayo, no se le permitió participar de las sesiones del concejo, y que en varias oportunidades incluso le pidieron que renuncie a su curul.

[…]

Ante esta situación, indicó que determinó acudir a la fiscalía e iniciar un proceso judicial, por incumplimiento de fallos.

“Yo voy a seguir luchando, por las mujeres y no sólo por mí. Las mujeres somos muy calladas, yo misma he callado muchos meses, pero ahora tengo el valor para denunciar”, remarcó.

আদিবাসী ফেডারেশনের রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাউন্সিল সদস্য আপাজা কিসপে স্থানীয় এনলারেদ ওন্দাকে বলেন যে ৩০শে মে পৌরকর্তৃপক্ষের স্থান দখল নেয়ার পর থেকে তাকে কাউন্সিলের সভায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হয় নি এবং এমনকি কয়েকবার তাকে তার আসন থেকে পদত্যাগ করার কথা বলা হয়।

[…]

এই পরিস্থিতিতে তিনি আইনীজীবীর কাছে গিয়ে চুক্তি ভঙ্গের জন্যে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।

“আমি শুধু নিজের জন্যে নয় নারীদের জন্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাব। নারীরা খুব শান্ত, অনেক মাস আমি নিজে নীরব থেকেছি। কিন্তু এখন আমার সমালোচনা করার সাহস আছে,” তিনি বলেছিলেন।

একই নিবন্ধ আরো বলা হয়:

Pero este no es el único caso. La concejala del MAS del municipio de Licoma (La Paz), Noemí Nina Chávez indicó que por no tener una formación educativa y ser madre soltera fue discriminada por la misma población.

“Una vez, en el desfile del 16 de julio, no tenía dónde dejar mi guagua y cargada misma tuve que entrar; la gente me criticó, me dijo que cómo voy a andar con mi guagua así, con el cargo que tengo”, relató.

কিন্তু এটাই একমাত্র ঘটনা নয়। লিকোমা (লা পাজ) পৌরসভার এমএএস কাউন্সিল সদস্যা নোয়েমি নিনা শ্যাভেজ জানান যে তার প্রথাগত শিক্ষা না থাকার অভাব এবং একক মা হওয়ার কারণে জনগণ তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে।

“১৬ই জুলাই প্যারেডের একটি সময়ে আমার শিশুকে কোথাও রাখার জায়গা না পেয়ে আমি তাকে আমার সাথে বহন করলে তারা আমার সমালোচনা করে জিজ্ঞাসা করে আমার অবস্থান বিবেচনা না করে কোন সাহসে আমি আমার বাচ্চাটিকে এভাবে বহন করেছি”, তিনি বলেন।

পেরিওদিসমো উমানো’র একটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে গ্লোবাল ভয়েসেস [স্প্যানিশ] সম্প্রতি একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে যাতে স্বীকার করা হয় বলিভিয়াতে “আপনার সবচেয়ে খারাপ যা হতে পারে তা হলো আপনি একাধারে একজন নারী এবং আদিবাসী।” ব্লগার এদুয়ার্দো বো’লেস [স্প্যানিশ]একই প্রতিবেদনকে নির্দেশ করে উল্লেখ করেন, “এই দুঃখজনক ব্যাপারটি হুয়ানা কিসপের জীবনে পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়েছে।”

এপর্যন্ত বলিভীয় কর্তৃপক্ষ কিসপে হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে; তবে তার হত্যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। জাতিসংঘের নারীরা যেমন আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে [স্প্যানিশ] উল্লেখ করেছেন:

Expresamos, además, nuestra profunda preocupación ante la posibilidad de que este suceso pudiera tratarse de un caso de violencia política de género, según indicarían investigaciones preliminares adelantadas por la Fuerza Especial de Lucha Contra el Crimen.

আমরা আরো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি কারণ ক্রাইম টাস্ক ফোর্সের (পুলিস) প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে এই ঘটনাটি একটি লিঙ্গ রাজনৈতিক সহিংসতার মামলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

লিঙ্গ বিষয়সংক্রান্ত ব্লগ খ্রেনেরো ক্লিক করুন, এতে আইনের খসড়াটির উপর রিপোর্ট করা হয়েছে [স্প্যানিশ]:

La Red Nacional de Trabajadoras de la Información y Comunicación (Red-Ada) el 2011, mediante una encuesta, concluyó que en Sucre, La Paz, Beni y El Alto, el 27 por ciento de las mujeres en cargos públicos se “asustan y callan”.

“Violencia política son acciones que van en contra de la integridad física de las personas. Hay secuestros o golpes para que dejen sus cargos y estos hechos no son denunciados”

তথ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে নারী কর্মীদের জাতীয় নেটওয়ার্ক (রেড-এডা) একটি জরিপ করার পর এই সিদ্ধান্তে আসে যে সুক্রে, লা পাজ, বেনি এবং এল আলতোর পাবলিক অবস্থানে থাকা ২৭ শতাংশ নারী “ভীত-সন্ত্রস্ত এবং চুপ থাকেন”।

“রাজনৈতিক সহিংসতা হলো জনগণের বাহ্যিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে যায় এমন কর্মকাণ্ড। কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করার জন্যে অপহরণ বা আঘাত এবং এসব ঘটনা রিপোর্ট করা হয় না”

পালাক্রমে নারী তথ্য এবং উন্নয়ন কেন্দ্র (সিআইডিইএম [স্প্যানিশ] স্প্যানিশ ভাষায়) রিপোর্ট করে [স্প্যানিশ]:

En la gestión 2010 y entre Enero y Agosto de 2011 se registraron 249 asesinatos de mujeres, de los cuales 154 fueron casos de feminicidio (CIDEM, Observatorio Manuela).

El Estado debe tomar medidas urgentes para garantizar la adecuada y oportuna investigación, garantizando que este lamentable suceso no quede en la impunidad

২০১০ সাল এবং ২০১১ সালের জানুয়ারী থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ২৪৯ নারী খুন হয়েছে যাদের মধ্যে ১৫৪ জনই নারীহত্যার শিকার।

এই দুঃখজনক ঘটনাটি যেন দায়মুক্ত থেকে না যায়, সেজন্যে রাষ্ট্রকে  যথাযথ এবং সময়মত তদন্ত নিশ্চিত করতে অবশ্যই জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .