ব্রাজিল: মারানহাইও নামক এলাকার সাও লুইসে সাংবাদিক এবং ব্লগারকে খুন করা হয়েছে

[উল্লেখ ছাড়া সকল লিঙ্ক পর্তুগীজ ভাষায়]

সোমবার রাতে, ২৩ এপ্রিল, ২০১২ তারিখে, ব্রাজিলের সাংবাদিক এবং ব্লগার ডেচিও সাকে, সাও লুইসের একটি জনাকীর্ণ পানশালায় মাথায় পরপর দুবার গুলি করে হত্যা করা হয়। সাও লুইস ব্রাজিলের দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যের একটি শহর। ব্লগার ক্যানডিডো কুনহা ব্যাখ্যা করছেন:

Segundo testemunhas, ele estava sentado quando um homem caminhando apontou uma arma e atirou duas vezes contra a cabeça do jornalista, que morreu na hora. Depois, o matador saiu caminhando e fugiu.

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে যে তিনি যখন বসে ছিলেন তখন একজন ব্যক্তি তার দিকে হেঁটে আসে এবং সাংবাদিকের মাথা লক্ষ্য করে দুবার গুলি করেন। এরপর খুনি হেঁটে বের হয়ে যায় এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
Print of Décio's personal blog, with his last post

সর্বশেষ পোস্ট সহ, ডেচিওর নিজস্ব ব্লগের প্রিন্ট

এবং সে যোগ করেছে:

Décio Sá era repórter do jornal O Estado do Maranhão. No seu blog pessoal, colecionava milhares de acessos e algumas polêmicas pelo estilo crítico dos seus textos e dos assuntos que explorava. Ele dedicava o trabalho a cobrir a política do Maranhão e seu blog era o mais acessado no estado.

ডেচিও সা, ও এস্টাডো দো মারানহাইওর নামক দৈনিক পত্রিকার একজন সাংবাদিক ছিলেন। পাঠ্য ও বিষয় বৈচিত্র্য, এবং নানা ত্রুটি আবিষ্কার–এর মত জটিল এক ধারার কারণে তার নিজস্ব ব্লগে হাজার হাজার নাগরিক প্রবেশ করত। মারানহাইওর নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রদানে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং এই রাজ্যে তার ব্লগে সবচেয়ে বেশী নাগরিক প্রবেশ করত।

তার মৃত্যু বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন সূত্র ভিন্ন সংবাদ প্রদান করছে, কেউ কেউ বলছে যে তাকে দুইবার গুলি করা হয়েছে, অন্যদের মধ্যে কেউ কেউ বলছে যে তার মাথায় তিনবার গুলি করা হয়েছে এবং কেউ কেউ ছয়বার গুলি করার কথা বলছে, এর মধ্যে চারবার তার মাথায় এবং দুইবার তার পেছনে গুলি করা হয়েছে।

তিনি সে সময় আভেনদা লিটারানেয়া (উপকূলীয় মহাসড়ক) নামক পানশালায় অবস্থান করছিলেন। এটা সাও লুইস শহরের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ এবং জনাকীর্ণ কেন্দ্রস্থল, ব্লগার এবং সাংবাদিক রোজারিও টোমাজ জুনিয়র যাকে টুইটারে এভাবে বর্ণনা করেছেন:

@rogeriotomazjr: Litorânea é um dos principais espaços de lazer de São Luís. (em tese) Há viaturas da polícia circulando o tempo todo! Execução lá é surreal!

@রোজারিওটোমাজজআর:লিটারানেয়া [এভিনিউ] সাও লুইসের প্রধান বিনোদন সুবিধা সমৃদ্ধ কেন্দ্র। সেখানে সব সময় পুলিশের গাড়ি টহল দিচ্ছে! সেই রকম একটি জায়গায় খুন, পরাবাস্তব এক ঘটনা মনে হচ্ছে।

পুলিশ কর্মকর্তা কায়েটানো পাচেকো বলেন অত্যন্ত জনাকীর্ণ স্থানে খুনের ঘটনা ঘটেছে, এর পেছেন পরিষ্কার এক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবে অনলাইনের বিতর্কে ডেচিও সা-এর সাথে সারনেই পরিবারে যোগাযোগ-এর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, যারা দশক ধরে এই প্রদেশটি শাসন করে আসছেন, হোসে সারনেই [ইংরেজী ভাষায়], উক্ত পরিবারের প্রধান এবং বর্তমান ব্রাসিলিয়া সিনেটের সভাপতি, এবং তার কন্যা রোসেনা সারনেই [ইংরেজী ভাষায়] মারানহাইওর গর্ভণর।

সাও লুইস থেকে টুইটার ব্যবহারকারী আর্থার স্যান্টোস স্মরণ করছেন:

@arthurxside: nesse ponto é importante lembrar que Décio Sá era profundamente ligado à família Sarney.

@আর্থারএক্সসাইড: এই ক্ষেত্রে বিষয়টি স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে ডেচিও সা সারনেই পরিবারের সাথে গভীর ভাবে যুক্ত ছিল।

যদিও আর্থার বিশ্বাস করে ডেচিও সা-এর মৃত্যুর ঘটনায় সারনেই পরিবার যুক্ত এমন ভাবনা হয়ত অস্বাভাবিক, তবে সে একটি বিকল্প তত্ত্ব তৈরী করেছে এবং তা টুইটারে পোস্ট করেছে

ডেচিও, মিরানটে গ্রুপের দৈনিক সংবাদপত্র ‘ও এস্তাদোতে’ কাজ করত। মিরানেট গ্রুপ একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান যার মালিক সারনেই পরিবার, যারা গ্লোবো নেটওয়ার্কের সাথে মিলে রেডিও এবং টিভিস্টেশন পরিচালনা করে থাকে। ডেচিও, ‘ব্লগ ডো ডেচিও’-তে ব্লগিং করতেন এবং তার রাজ্যের শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতাদের ক্রমাগত আক্রমণ করতেন

রোজারিও টোমাজ জুনিয়র এর সাথে যোগ করেছে:

@rogeriotomazjr: Crime organizado do Maranhão, que deve a Sarney sua perpetuação há décadas, faz mais uma vítima. Desta vez, um jornalista.

@ রোজারিওটোমাজজেএর : মারানহাইওতে একটি সংগঠিত অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, যা দশক ধরে সারনেইদের ঋণ পরিশোধের ঘটনার পুনরায় আরেকটি শিকার। এবার একজন সাংবাদিক।

মারানহাইওর ইতিহাসবিদ, ওয়াগনার কাবরাল (@ওয়াগনার_কাবরাল) বলেন যে গ্রাম্য শ্রমিকদের উপর হামলা এবং তাদের খুন করা মারানহাইওতে এক সাধারণ ঘটনা… এবং যেমনটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে এবং তিনি এর সাথে যোগ করেছেন:

@wagner_cabral: Agora a violência alcança novo patamar quando blogueiro ligado à oligarquia é assassinado na capital… a sensibilidade da sociedade explode

@ ওয়াগনার_ কাবরাল: এখন হানাহানি এক নতুন মাত্রায় প্রবেশ করেছে, বিশেষ করে যখন ক্ষমতাশালীদের সাথে যুক্ত এক ব্লগার রাজধানী খুন হল…সমাজের সংবেদনশীলতা বিস্ফোরণোন্মুখ।

খুনের ঘটনার পরপরই সাংবাদিক রিকার্ডো নোবেল টুইটার এবং তার ব্লগে নিহত ডেচিও সা এর তৎক্ষণাৎ তোলা ছবি পোস্ট করেছে। পরে মিরানটে গ্রুপও একই কাজ করে, যারা তাদের মূল পাতায় (হোম পেজে) মৃতদেহের একটি ছবিটি পোস্ট করে। মৃত সাংবাদিকের ছবির লিঙ্ক প্রদান অথবা সাইট বা ব্লগের মূল পাতায় সেই ছবি রাখার বিষয়টির ইন্টারনেটে প্রচণ্ড সমালোচনা করা হয়েছে

সাংবাদিক রোজারিও টোমাজ জুনিয়র, নোবালাটকে চ্যালেঞ্জ করেছেন “ তার ব্লগে খুন হয়ে যাওয়া নাগরিকের ছবি রাখার বিষয়টিকে সবার আগে যৌক্তিকভাবে ন্যায়সঙ্গত হিসেবে প্রমাণ করতে হবে” এবং তিনি ডেচিওর পরিবারকে উক্ত ব্লগারের বিরুদ্ধে মামলা করার আহ্বান জানান

নোবলাটের টুইটার একাউন্টের সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে ডেচিওকে হত্যার জন্য .৪০ ক্যালিবার নামক পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিশেষ ভাবে পুলিশরা ব্যবহার করে থাকে

রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্স (সীমান্তবিহীন সাংবাদিকের দল) নামক এক আন্তর্জাতিক এনজিও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার দিক থেকে ব্রাজিলকে ৯৯ নম্বরে রেখেছে

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .