জাম্বিয়া: জনপ্রিয় সস্তা স্পিরিটের “পোটলা” নিষিদ্ধ

দুই বছর আগে একজন ব্লগার “তুজিলিজিলি” নামে পরিচিত ৬০ মি.লি. মোড়কে তীব্র এক এলকোহলিক স্পিরিটের পোটলা নিষিদ্ধ করার আহবান জানান। সরকারি কর্মকর্তারা ব্লগারের আবেদন দেখে থাকতে পারেন আবার নাও পারেন – তবে অন্তত স্থানীয় সরকার এবং গৃহায়ণ মন্ত্রী অধ্যাপক ঙ্কান্দু লুয়ো ১৫ই মার্চ, ২০১২ তারিখে ঠিক সেই কাজটিই করেছেন

রাস্তার বিক্রেতারা মূলত: “তুনতেম্বা” নামে পরিচিত অনিবন্ধিত দোকান থেকে এই স্পিরিট বিক্রি করা হয়ে থাকে যেখান থেকে ধনী-দরিদ্র উভয়েই ভোগ করে থাকে। পোটলাগুলো সহজেই হাতের তালুতে লুকিয়ে রাখা এবং লুকিয়ে লুকিয়ে পান করা যায়।

একটি কানতেম্বাতে তুজিলিজিলি বিক্রয়।

একটি কানতেম্বাতে তুজিলিজিলি বিক্রয়। ছবির সৌজন্যে ঙ্কানি.কম।

ব্লগার হেনরি নাসিলেলে সেই সময় লিখেছিলেন:

আমাদের শহর এবং নগরগুলিতে শহরের খুব সহজেই বিক্রি করা এলকোহল পাওয়া যায়। অনেক বোতলের দোকান এবং বার আছে যেখানে যে কেউ ঢুকে কোন প্রশ্ন ছাড়াই সেখান থেকে বিয়ার বা স্পিরিট কিনতে পারেন।

সাম্প্রতিক সমস্যা্টি হলো “তুজিলি জিলি” হিসেবে পরিচিত ৬০মি.লি. প্লাস্টিকের পোটলাগুলোতে বিক্রি করা স্পিরিটের সহজলভ্যতা। এগুলো  রাস্তাতেই বিক্রি হয় এবং যুবসমাজ এই ধরনের অ্যালকোহলের প্রধান ভোক্তা।

খাওয়ার পর ছূঁড়ে ফেলা এই ৬০মি.লি. ব্র্যান্ডির খালি পোটলাগুলো, রাস্তার পাশে এবং ফুটপাথের একটি সাধারণ দৃশ্য।

“তুজিলিজিলি”র প্যাকেজিং খালি প্যাকেট হিসেবে শুধু পরিবেশগত বিপত্তি নয়, মদের বিষক্রিয়ার অথবা মাতলামোর কারণে দুর্ঘটনার মাধ্যমে ভোক্তাদের মৃত্যুর কারণও বটে।

নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পর নাসিলেলে তার ফেসবুক পৃষ্ঠায় বলেন:

প্রায় দুই বছর পর আমি কুখ্যাত “তুজিলিজিলি” নিয়ে লিখছি, সরকার দ্বারা হত্যাকারী পানীয়টি নিষিদ্ধ করণের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রার্থণা শুনেছেন।
এই মন্দ থেকে কারা লাভবান হতেন সেটা ভেবে কেউ কেউ অবাক হন?

নাসিলেলের মন্তব্যের প্রতি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মুবাঙ্গালালা মুম্বা বলেন:

এটি অনেক দীর্ঘ সময় বিলম্বিত!

উইনস্টেম বান্দা (তার সাথে) একমত পোষণ করেন:

খুব সস্তা এবং শক্তিশালী হওয়ার কারণে আসলেই সরকারের এই তথাকথিত তুজিলিজিলি নিষিদ্ধ করা উচিৎ।

লুসাকা টাইমস প্রকাশিত গল্পের প্রতিক্রিয়া হিসেবে শ্যারন লিখেছেন:

বোকার মতো চিন্তা, নিষিদ্ধ না করে নিয়ন্ত্রণ করে ধীরে ধীরে উঠিয়ে দিলেই হতো, সমস্ত চাকুরীর, এখনো থেকে যাওয়া সব মজুদের কী হবে? মেশিনগুলির কী হবে? দুর্বল পরিকল্পনা, আপনি পিপোকে একটি লাইসেন্স দিয়ে থাকলে তবে আপনাকে তাদের ব্যবসা ঘুরানোর সময় দিতে হবে। ইতোমধ্যে আপনাকে কর দশগুণ করে দিতে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে পণ্যটি ব্যয়বহুল হয়ে উঠে। আর এভাবেই আমরা একটি দেশ চালাই।

আরেকজন বর্ষীয়ান প্রদায়ক এর মধ্যে একটি বৈষম্যের উপাদান এনেছেন:

অবাস্তব!, বিশ্বে তুজিলিজিলি রপ্তানী করে জাম্বিয়া লক্ষ লক্ষ (টাকা) করতে পারে! যা করা প্রয়োজন তা হলো শুধু উন্নত প্যাকেজিং এবং প্রত্যয়ন। তুজিলিজিলি নিষিদ্ধ করে সেই মহিলা আমদানী করা স্পিরিট এবং মদ খাবেন! অবিশ্বাস্য!

টুইটারের একটি টুইপ এটাকে সরকারের দ্বিতীয়বার তুজিলিজিলি বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ ভেবেছিল:

@লুচি৭: জাম্বিয়া সরকারের তুজিলিজিলি নিষিদ্ধকরণ….. এটা শুধু কি আমার কাছেই, নাকি এটা দ্বিতীয়বার #জাম্বিয়া

অন্য একটি টুইপ সস্তা কিন্তু জনপ্রিয় মাদক পানীয়টি নিষিদ্ধের প্রতি কিছুটা কৌতুক যোগ করেছেন:

@সালি_ফায়াঞ্জি: ওখানে ইমাও আছেন, সব ঠিক হয়ে যাবে আরটি @এমউইম্বু: তুজিলিজিলি নিষিদ্ধ! আমাকে কেউ সান্তনা দিতে পেরবে না, কেউ আমার বন্ধ করতে পারবে না #জাম্বিয়া

বর্তমানে ফেসবুকে দু’টি তুজিলিজিলিবিরোধী গ্রুপ আছে: ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের মঙ্গলের জন্যে তুজিলিজি পান বন্ধ এবং তুজিলিজির বিরুদ্ধে যুবসমাজ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .