কয়েক সপ্তাহ ধরে তিউনিসের বিক্ষোভে একটা নতুন ইভেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে, এর নাম দেওয়া হয়েছে “লভেন্যু তা৯রা” , অথবা “(পড়ুয়া এভেন্যু”)।
এর পরিকল্পনা ছিল রাজধানীর সবচাইতে চিন্তাশীল এলাকা হাবিব বরগুইবা এভেন্যুতে তিউনিসীয়রা বই নিয়ে আসবেন এবং যৌথ পাঠ চক্রে অংশগ্রহণ করবেন।
ফেসবুকের ইভেন্ট পাতার ঘোষণায় বলা হয়েছে:
Et si on envahissait l'avenue ? Pas avec nos cris ni nos manifs mais avec nos livres.
L’idée est, comme d'habitude, simple: le mercredi 18 avril à 17h, on se déplace vers l'avenue, on s'installe dans les cafés, sur les bancs publics, sur les marches des escaliers, un livre à la main pendant une heure.
Pas la peine que l'on se connaisse, que l’on se parle…on va se reconnaitre par le fait d'avoir un livre à la main
Ça sera la première manif silencieuse sur l'avenue, sans revendication politique; prouver et montrer que les Tunisiens lisent, que ceux qui vont changer le monde sont ceux qui lisent.
Il est temps de rappeler que notre peuple est impliqué, cultivé et lettré.
Invitez vos amis, soyez nombreux, créons l'événement.
Tous à vos livres !!!!!
এভেন্যুতে এটাই হবে প্রথম মৌন প্রদর্শনী, এতে কোন রাজনৈতিক দাবি থাকবেনা; আমরা প্রমান করতে চাই যে তিউনিসীয়রা পড়তে জানে, তাঁরাই দুনিয়াকে বদলাতে পারে যারা পড়তে জানে।এখন সময় এসেছে একথা স্মরণ করার যে আমাদের জনগণ কর্মব্যস্ত, শিক্ষিত এবং অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন। আপনার বন্ধুদের আমন্ত্রন জানান, বিপুল সংখ্যায় যোগদান করুন, আসুন আমরা সবাই ইভেন্টকে সফল করে তুলি। আপনার বইগুলো সাথে নিয়ে আসুন!!!
সম্প্রতি হাবিব বরগুইবা এভেন্যুতে বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশী নির্মমতার পর এ কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। সম্প্রতি সরকার বিরোধী র্যালির ব্যাতিক্রমী এ আয়োজনকে অরাজনৈতিক বলে দাবি করা হচ্ছে।
তিউনিসীয় ব্লগার আব্দেলকরিম বেনাব্দাল্লাহ “লে আমিস দ্যু লিভর” ( বইয়ের বন্ধু) নামে একই ধরণের আরেকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ফেসবুকে এর সদস্যরা বই সম্পর্কিত পরামর্শ ভাগাভাগি করা, তাঁদের পছন্দের বিষয়ে আলোচনা এবং পরবর্তী জমায়েতের স্থান কোথায় হবে সে সম্পর্কে ভোটের আয়োজন করেছিলেন।
২০১১ সালের গণজাগরণের পর তিউনিসিয়ায় অল্প কিছু সাংস্কৃতিক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। তরুণ তিউনিসীয়রা আবারও নেতৃত্বে চলে এসেছেন এবং দেশ জুড়ে ঘন ঘন যৌথ পাঠচক্রের আয়োজন করছেন।