মিশরীয় রাজনীতিতে নাটকীয় কয়েক সপ্তাহ চলছে। ৬ই এপ্রিল মিশরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং গোয়েন্দা প্রধান ওমর সুলেইমান রাষ্ট্রপতি পদের জন্যে তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। মিশরীয়দের অনেকে ওমর সুলেইমানকে প্রতিবিপ্লবের একটি ‘অবশেষ’, অথবা প্রাক্তন শাসকগোষ্ঠীর পুনর্গঠিত নয় এমন অনুগত হিসেবে গণ্য করেন। ১৩ই এপ্রিল সুলেইমানের প্রেসিডেন্ট পদে প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্যে দশ হাজার বিক্ষোভকারী তাহরির স্কোয়ারে জড়ো হয়েছিলো। তারপর ঘটনার একটি বিস্ময়কর মোড় পরিবর্তনের কারণে ১৪ই এপ্রিল আপাতভাবে প্রার্থীপদের জন্যে যথেষ্ট স্বাক্ষর পেতে ব্যর্থতার কারণে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অযোগ্য ঘোষিত দশজন প্রার্থীর একজন বিবেচিত হন।
১২ই এপ্রিল তারিখে ব্লগার রা’ফাত রোহাইয়েম সুলেইমানকে আক্রমণ করেন:
১৪ই এপ্রিল বিশিষ্ট ব্লগার এবং এক্টিভিস্ট মাইকেল নাবিল সানাদ “ওমর সুলেইমানের বিরুদ্ধে” শিরোনামের একটি ব্লগ পোস্টে লিখেছেন:
সুলেইমান মুসলিম ব্রাদারহুড দেশে একটি রক্ষণশীল ইসলামী উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট বলে যারা উদ্বিগ্ন তাদের (মিশরের খ্রিস্টানরাসহ) কাছে আবেদন করেছেন এবং যুক্তি করেন যে তিনি মিশরকে একটি “ধর্মীয় রাষ্ট্র” হয়ে ওঠা বন্ধ করবেন। আসলেই অনেকে মনে করেন যে তিনি একটি ভাল কাজ করবেন। তিম্মি টুইট করেছেন:
@তামেরহেগাব: সত্যিকারভাবেই আমি ওমর সুলেইমান প্রেসিডেন্ট হলে আমি কিছু মনে করবো না। দেশের উন্নতি হবে এবং বছরের পর বছর ধরে চলবে; ইখওয়ানরা [মুসলিম ভ্রাতৃত্ব] বিদায় হবে। খুব ভাল।
তবে মেনা মাকরাম টুইট করেছেন:
৭ই এপ্রিল সুলেইমান নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করার ঠিক পর পর রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট কার্লোস লাতুফ “ইতিহাসের আস্তাকুঁড়” থেকে তার উঠে আসার এই ছবিটি প্রকাশ করেন:
সুলেইমানের অযোগ্যতার সংবাদ প্রকাশের পরে চিত্রশিল্পী হাজেম আরাফা কিছু পরিবর্তন করেন:
মাহা আব্দু্যেলেনিন বিশ্বাস করেন যে এখনও সুলেইমানের আশা আছে:
@মাহাগাবের: ওমর সুলেইমানই একমাত্র প্রার্থী যিনি যোগ্যতা অর্জনের জন্যে তার কাগজ-পত্র পরিবর্তন করতে পারেন – তার অবশিষ্ট তা’ওকীল [সমর্থনকারী] পাওয়ার জন্যে ৪৮ ঘণ্টা সময় আছে
সুলেইমানের প্রচারাভিযানটি ঘোষণা করেছে যে নির্বাচন কমিটি সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার জন্যে সব ধরনের আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।