মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সে দেশের ৪০ লক্ষ নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোনো নারীই জমি রাখতে পারেন না, নিজে কোনো সম্পদ কিনতে বা বিক্রি করতে পারেন না। এমনকি পরিবারের কেউ মারা গেলে তার সম্পদের উত্তরাধিকারী হতে পারেন না।
জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া একজন নারী বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবা যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ভোটাধিকার এবং অন্যান্য মৌলিক সামাজিক অধিকারের মতো সুবিধাগুলো পান না। এজন্য সকল নারীকে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে নতুন একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
এই ক্যাম্পেইনের নাম হচ্ছে “আপনার পরিচয়, আপনার অধিকার” (ইউর আইডি, ইউর রাইটস)। এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মিশরের ২০ লক্ষ নারীকে বিনামূল্যে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া। তিনমাসের জন্য এই পাইলট প্রজেক্ট শুরু হবে।
ক্যাম্পেইনের ফেসবুক পেজ [আরবি ভাষায়] থেকে জানা গেছে:
المرحلة التجريبية سوف تشمل الـ 3 شهور القادمة (ابتداءا من مارس) و سوف تبدأ في محافظة القليوبية و هي تضم 14 مركز و تهدف أكثر من 40 ألف سيدة لا تملك بطاقة رقم قومي. تم أختيار المراكز التالية فى محافظة القليوبية للمرحلة التجريبية: مركز بنها، مركز قليوب، مركز شبين القناطر ومركز القناطر الخيرية

২০০৬ সালের জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে মিশরের প্রাপ্তবয়স্ক নারীর ৪১% নিরক্ষর। ছবিটি আইলেন পার্লম্যানের সৌজন্যে পাওয়া
এ ধরনের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে এটাই প্রথম ক্যাম্পেইন নয়। যদিও এবারের ক্যাম্পেইনটিতে সহযোগিতা করছে বিভিন্ন এনজিও, ইউএন উইমেন (ইউনাইটেড নেশনস এনটিটি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড ইমপাওয়ারমেন্ট অব উইমেন), ইউএনডিপি (ইউনাইটেড নেশনস ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম), এমএসএডি (মিনিস্ট্রি অব স্টেট ফর অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ ডেভলপমেন্ট), এসএফডি (সোশ্যাল ফান্ড ফর ডেভলপমেন্ট), এমওএফএ (মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স)-সহ আরো কিছু সংগঠন।
ক্যাম্পেইনের আয়োজকরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এই প্রজেক্ট সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তুলছেন। সচেতনতা বাড়াতে তারা ফেসবুক এবং টুইটারে ক্যাম্পেইন সম্পর্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। একই সঙ্গে তারা দেশের লিঙ্গ বৈষম্য নিয়েও সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
টুইটারে তারা ঘোষণা করেছেন:
পরিশেষে তারা চায়, মানুষজন তাদের ফেসবুক এবং টুইটারে এই ক্যাম্পেইন শেয়ার করার মধ্যে দিয়ে সচেতনতা তৈরি করুক।
এখানে নেটিজেনদের কাছে তারা কীভাবে আবেদন জানিয়েছে, সেটা আছে: