মোজাম্বিক, আফ্রিকার গরীব দেশ যেখানে জনসংখ্যা ২ লক্ষ যার ৭০% ক্ষুদ্র চাষী, তার বন্য উত্তর নিয়ে আমাদের গল্প। মোজাম্বিকের স্বাধীনতা উত্তর ইতিহাস গৃহযুদ্ধের রোলার কোষ্টারের উত্থান পতনের মতো এবং পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক মডেল।
মি. জুলিও ডস স্যান্তোস পেসিগো, নিয়াসা প্রদেশের অধিবাসী, একজন জীবন সংগ্রামী। নিকটবর্তী শহর থেকে দূরে নদীর পাশে এক ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারে জন্মেছেন এবং তিনি তার শৈশবকে ”কঠিন” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। আজ, নিয়াসা প্রদেশে “ক্ষুদ্র চাষীদের আন্দোলন” এর অন্যতম নেতা, ভূমি অধিকার রক্ষা, অধিক খাদ্য উৎপাদন এবং কৃষক পরিবারের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন।
দীর্ঘ পথযাত্রা
পেসিগো স্মরণ করেন ১৯৭৫ এ স্বাধীনতার সময় তিনি ২য় শ্রেণীর বালক, একইসাথে একটি আন্তর্জাতিক কৃষি কোম্পানীতে বালাইনাশক স্প্রের কাজ করতেন। মোজাম্বিকের স্বাধীনতার প্রথম বছরগুলিতে, তিনি তার অধ্যয়ন ছাড়তে বাধ্য হন এবং হাইস্কুল উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরবর্তীতে, তিনি বলেন [পর্তুগীজ]:
Devido a guerra de resistência, abandonei o meu emprego no ex-complexo agro pecuário e refugie me no distrito de Cuamba onde aparentemente era seguro. Dediquei me na produção de hortícolas para a minha sustentabilidade. Com o fim da guerra, circundei as montanhas para uma zona denominada Mutaco.
মিউটাকোতে, ছাগল পালনের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৯ সালে তিনি এক কৃষি সমিতিতে যোগদান করেন। পেসিগো তার পায়ে দাঁড়ান এবং অর্থনৈতিকভাবে সফল হন, তথাপি স্বপ্ন ছিল, অন্য কৃষকদের তার মতো উন্নতি, বাধা উত্তরণে আন্তরিকভাবে মানুষকে সাহস যোগাতেন।
তার নিবেদিত দলের সাথে, বৃহৎ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীর অংশীদারিত্ব গড়ে তুললেন, ইউরোপীয় দাতাদের সাহায্য পরিচালনা করতেন এবং কৃষকদের পক্ষে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতেন। তিনি তার কাজের জন্য ইংল্যান্ডের চেয়ে চারগুণ বড় প্রদেশের মধ্যে আঁকাবাঁকা পথে চলতেন ।
Mas sublinhar que todo este tempo nunca abandonei a produção de alimentos. Principalmente hortícolas.
জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলা
আশির দশকের সমাজতন্ত্র থেকে মোজাম্বিকের সরকার বেরিয়ে আসায় রাষ্ট্রায়ত্ত সমবায় থেকে ক্ষুদ্র চাষীদের আন্দোলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। চাষীদের বোঝানো কঠিন ছিল যে, উপর থেকে চাপিয়ে না দিলে একত্রে কাজ করলে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
জাতীয় সমন্বয় সংগঠন ইউনেক, ক্ষুদ্র কৃষকদের জাতীয় ইউনিয়ন এবং গ্রামের স্ব-উদ্যোগী ক্ষুদ্র সংগঠন নিয়ে গঠিত।
পেসিগো, সাত সন্তানের পিতা এবং একজন প্রত্যয়ী মানুষ, নরম সুরে কথা বলেন এবং সমবেত গোষ্ঠীর মাঝে কথা বলার সময় নীতি বচন, লোককাহিনী এবং কৌতুক ব্যবহার করেন। পর্তুগীজ ভাষায় তার নামের অর্থ উচ্চ প্রশংসিত ব্যক্তি।
খরগোশ ও চিতাবাঘ নিয়ে আঞ্চলিক লোককাহিনী থেকে তার প্রিয় প্রবাদবাক্য বেছে নিয়েছেন: “আপনি যদি কিছু পছন্দ করেন, তা পেতে চেষ্টা করুন।” তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, নাগরিক অধিকার রক্ষায় নিষ্ঠুর শক্তির চেয়ে চাতুর্যের শক্তিশালী ব্যবহার এবং তাদের প্রয়োজন মেটাতে দুর্বলরা কৌশলে তাদের পরাস্ত করেন।