এক তরুণ জুটি ঘটনাক্রমে নিজেদের একটি ঘনিষ্ঠ ভিডিও তৈরী করে, যা ভুলক্রমে জনসম্মুখে ছড়িয়ে পড়ে, এই বিষয়ের ফলে তাদের জীবনে যে প্রভাব তৈরী হয় তার উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পুরস্কার বিজয়ী একটি নির্মাতা এবং অভিনেতা অভিনেত্রীর দল নিকারাগুয়ার একটি গ্রাম্য এলাকায় একত্রিত হয়েছে। উক্ত দল নিকারাগুয়ার, মাটাগালপা নামক এলাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ছবির শুটিং-এর খরচ বহন করার জন্য অতিরিক্ত ফান্ডের অনুসন্ধান করছে এবং এতে যে পরিমাণ টাকা সংগ্রহ হবে, তা উক্ত এলাকাতেই খরচ করা হবে।
লা পানটালা রোটা ( ভাঙ্গা স্ক্রিন বা দি ব্রোকেন স্ক্রিন) নামের চলচ্চিত্রটি, নিকারাগুয়ার স্থানীয় স্বাধীন চলচিত্র ও ভিডিও প্রোডাকশন কোম্পানী কামিলা ফিল্মস-এর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গত বছর, এই দলটি নিকারাগুয়া বিগত ২০ বছরের মধ্যে প্রথম চলচ্চিত্রের মুক্তি প্রদান করে, যে চলচ্চিত্রের নাম লা ইয়ুমা, এটি একটি তরুণীর জীবনী, যে তরুণী জীবনে একজন মুষ্টিযোদ্ধা হতে চেয়েছিল: জাতীয় পর্যায়ে এটি ব্যবসা সফল একটি চলচ্চিত্রে পরিণত হয়, যে সমস্ত হলে এটি মুক্তি পায়, তার সবকটিতে দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়ে এবং একই সময় কলম্বিয়ায় প্রদর্শিত হলিউডের ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র সমূহের চেয়ে এই চলচ্চিত্র বেশী টাকা আয় করে। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে একে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং এটি ভিন্ন ভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে এটি ১৫টি পুরস্কার লাভ করে। তবে এই ঘটনাও নিকারাগুয়ার চলচ্চিত্র শিল্পকে সক্রিয় করতে সাহায্য করেনি, আর এ কারণে ফান্ড তৈরীর জন্য কামিলা ফ্লিমস নামক প্রতিষ্ঠানের–এর, ফ্রাঙ্ক পিনেদা এবং ফ্লোরেন্স জুগে ক্রাউডসোর্সিং-এর প্রতি ঝুঁকেছে, যেমনটা মিজ.জুগেই নীচের ইন্ডিয়েগোগো প্রচারণা ভিডিও-তে এই বিষয়ে বলছে:
দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটি, একই ভাবে ও উদ্দেশ্যে নির্মিত হতে যাচ্ছে, দেশে অডিওভিজুয়াল প্রোডাকশনের অভাবের কারণে, এর পরিচয় নিয়ে যে শূন্যতা দেখা দিয়েছে, আমরা এই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা যে পৃথিবীকে দেখি এবং যে পৃথিবীতে কথা বলি, আরো একবার আমরা সেই পৃথিবীকে আমাদের মাঝে দেখতে চাই। আমরা বাস্তব ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম, একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য আমরা একবারে সমসাময়িক একটি ঘটনা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি, যা কিনা তরুণ একটা বিশ্বের সাথে যুক্ত।
এইবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা আপনাদের দৃষ্টিকে গ্রাম্য এক জীবনের কাছে নিয়ে যাব, উত্তরের ভূখণ্ডে, কাউবয়দের এলাকায়, যেখানে পূর্ব থেকে তৈরী হওয়া মূল্যবোধের শেকড় এই ভূখণ্ডের একবারে গভীরে অবস্থান করছে। আমরা এবার সাইবার জগতে অভিযান চালাতে চাই, যা কিনা ২১ শতকের তরুণদের সামাজিক সম্পর্ককে শাসন করছে।
জানুয়ারি ২০১৩-এ যে স্থানে এই চলচ্চিত্রের শুটিং হবে, সেখানকার ব্যায় নির্বাহ করার জন্য এই প্রচারণা থেকে ৩৫, ০০০ মার্কিন ডলারের একটি ফান্ড তৈরী হবার আশা করা হচ্ছে। এই টাকা আছে অভিনেতা অভিনেত্রীর খাবার, চলচ্চিত্রের এক্সটাদের জন্য ব্যায়, সজ্জা সামগ্রী (প্রপস), দৃশ্যায়ন (সিনারী), আবাসন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যায় করা হবে। এই ক্রাউড সোর্সিং থেকে অর্জিত অর্থ মাটাগালপার সম্প্রদায়ের মাঝেই ব্যায় করা হবে।
নীচে লা লা ইয়ামার প্রচারণার জন্য তৈরী করা সংক্ষিপ্ত অংশ প্রদর্শন করা হল, যা একই পরিচালকের এর আগের পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র:
ফান্ড তৈরীতে সাহায্য করার জন্য ইন্ডিয়েগোগো-এর পাতায় গিয়ে আপনি এই চলচ্চিত্রের প্রতি আপনার সমর্থন প্রকাশ করতে পারেন, আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রচারণার বিষয়টি ছড়িয়ে দিতে পারেন অনলাইন এবং অফলাইন উভয় জায়গায়। আপনার ব্যবসা ও এন্টারপ্রাইজ-এর মাধ্যমে এই চলচ্চিত্রকে স্পনসর করে এবং এই প্রজেক্ট সম্বন্ধে লেখা শব্দ চারপাশে ছড়িয়ে দিয়েও একে সাহায্য করতে পারেন