বিশ্বের যে কোন দেশে নেটনাগরিকরা টুইটার ব্যবহার করছে, আর প্রতিদিন, প্রতি ঘন্টা এবং এমনকি কখনো কখনো প্রতি মিনিটে হ্যাশ ট্যাগ তৈরী করা হচ্ছে। কুয়েতে, একজন টুইটার ব্যবহারকারী #بطارية (আরবী ভাষায় যার মানে ব্যাটারী) নামক একটি হ্যাশ ট্যাগ সৃষ্টি করেছে এবং এর ফলে সকল নরকের দ্বার যেন খুলে গেছে।
অনেক টুইটার ব্যবহারকারী মনে করেন যে এই হ্যাশ ট্যাগের জন্য একজন লেখক দায়ী, অনেকে যে টুইটের স্ক্রিনশট তুলে ধরেছে, যাকে অনেকে মনে করছে দেশের শাসককে অপমান করার উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়েছে। তবে এটি এখন আর উক্ত লেখকের টাইমলাইনে দেখা যাচ্ছে না।
এই ‘অপমান’ এর বিষয়টি হচ্ছে যে দেশটির আমীর শেখ সাবা আল আহমেদ আল সাবাহর হৃদযন্ত্রে একটি পেসমেকার বসানো আছে যা ব্যাটারী দ্বারা পরিচালিত।
এদিকে, উক্ত লেখক যাকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে, সেই মোহাম্মদ আলআজমি, এর সূত্রপাতের স্বীকার বা অস্বীকার কোনটাই করেননি এবং তিনি এই ধরনের টুইট পোস্ট করেছেন [ আরবী ভাষায়]:
এবং:
যখন অনেকে ভাবছেন যে ব্যাটারী নামক মূল টুইট হচ্ছে কুয়েতের আমীরকে অপমান করার উদ্দেশ্য, আর তা হলে সেটি কুয়েতি আইনে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
খুব ক্ষুদ্র একদল ব্যবহারকারীর মধ্যে এই হ্যাশ ট্যাগটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, দৃশ্যত যারা এই বার্তার সাথে একমত পোষণ করেছে। এদিকে, সংখ্যাগরিষ্ঠ টুইটারকারী এই ঘটনাটি ডাইনি শিকারে (মুলত কাউকে ধরার জন্য) পরিণত করতে যাচ্ছেন, তারা দেশের শাসককে অপমান করার মত দুঃসাহসিকতা প্রদর্শনকারীকে জেলে পোরার আহ্বান জানাচ্ছে।
টেলিভিশনের এক উপস্থাপক আবদুলওয়াহাব এলএসসা, টুইট করেছেন:
একজন আইনজীবী এবং একটি বেসরকারী চ্যানেলের সিইও (প্রধান নির্বাহী) আবদুলআজিজ আলইয়াহইয়া-এর সাথে যোগ করেছেন:
আরেকজন আইনজীবী এবং সাংবাদিক হুসাইন আলআবদুল্লাহ, লিখেছেন:
সবশেষে, হামাদ আলনাকি, যিনি নিজেকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সদস্য এবং বাহরাইনের নাগরিকদের রক্ষাকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, তিনি বলছেন: