সিরিয়া: সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চলছেই

এই প্রবন্ধটি সিরিয়া বিক্ষোভ ২০১১/১২-এর উপর করা আমদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

যখন হাজার হাজার নাগরিক খুন, গ্রেফতার এবং অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে, সেই প্রেক্ষাপটে এক অভূতপূর্ব নির্মম পরিস্থিতির মাঝে সিরিয়ার সংগ্রাম চলছেই। বিক্ষোভকারীদের কার্যক্রমকে নীরব করে দেবার পদক্ষেপ হিসেবে সিরিয়া সরকার, সাংবাদিক, ব্লগার এবং ভিডিও একটিভিস্টদের উপর দমন অভিযান পরিচালনা করছে। সালমা ইয়াফি, সাংবাদিকতা বিভাগের একজন ছাত্র এবং ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট পার্টির সদস্য, সে সরকারের সাম্প্রতিকতম এক শিকার।

ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট পার্টির সদস্য হবার পর ইয়াফি একবার গ্রেফতারের শিকার হয়েছিল। এই দলটি, সরকারের নতুন “বহুদলীয় সংস্কার”-এর অধীনে আনুষ্ঠানিক ও বৈধভাবে নিবন্ধন করা একটি দল। ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে সিরীয় সরকার ঘোষণা প্রদান করে যে রাজনৈতিক দল সমূহের নিবন্ধনকারী সংস্থা হয়ত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি নামের একটি নতুন রাজনৈতিক দলকে লাইসেন্স প্রদান করতে পারে। আর এর ফলে দেশটির রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বেড়ে ছয়ে পরিণত হয়। এই দলের এক সদস্যের মতে, দলের একটিভিস্টরা বিক্ষোভকারীদের মূল দাবিগুলো প্রদর্শন করেছে, কিন্তু তারা রাজনৈতিক ভাবে এবং আইনের মাধ্যমে এই সমস্ত দাবী আদায়ে সচেষ্ট।

সরকার ঘোষিত সংস্কার এবং তাতে সে সমস্ত নাগরিক অংশগ্রহণ করার শপথ করেছে, সরকার দ্বারা তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি, একটিভিস্টরা গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করছে। @গাব টুইট করেছে:

@গাব: #আসাদ এ সবের জন্য দায়ী: সরকার ঘোষিত সংস্কারের অংশ হিসেবে তরুণ সালমা ইয়াফি রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে নিজের নাম নিবন্ধন করেছিল। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দয়া করে #সালমাইয়াফি নামক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।

যখন থেকে সিরিয়ার গণ জাগরণ শুরু হয়েছে তখন থেকে সংস্কারের ঘোষণা প্রদান করে নিপীড়ন চলানো সরকারের একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এখন থেকে এক বছর আগের ঠিক এই দিন থেকে তা শুরু হয়েছে, এখন ক্রমশ আরো অনেক সাংবাদিক সরকারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সিরিয়ায় অবস্থান করা তুরস্কের সাংবাদিক আদেম অজকোশে এবং হামিত কোসকুনকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, যা অনলাইনে এক ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, বিশেষ করে তুরস্কের নেট নাগরিকদের মাঝে।

সাংবাদিক জামাল এল শাহাইয়াল টুইট করেছে:

@জামালআলজাজিরা: ফ্লোটিলার উপর হামলা পর আমি এবং #আদামজকোসে, # ইজারয়েলের এক কারগারে একই কক্ষে বন্দী ছিলাম। # সিরিয়া থেকে যে দুই জন সাংবাদিক, সেখানকার তোলা ছবি পাচার করত, সে ছিল তার মধ্যে একজন।

Source: facebook.com/UniteforSyria

ছবির সূত্র: ফেসবুক.কম/ ইউনাইটফরসিরিয়া

যখন সিরিয়ায় এই ভাবে নিপীড়ন চলছে, তখন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের দেখে মনে হচ্ছে না, তারা এই ধরনের গণহত্যা কি ভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে একমত হতে পারছে। তবে সিরিয়ার নাগরিকরা একা নয়। সিরীয় নাগরিকদের এই অন্দোলন সারা বিশ্বের নাগরিকদের সমর্থন লাভ করেছে এবং সিরিয়ায় বছর ধরে চলা রক্তপাত বন্ধের জন্য আজকে (১৫ মার্চ) বিশ্ব জুড়ে ইউনাইট ফর সিরিয়া নামের এক প্রচারণার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এই প্রবন্ধটি সিরিয়া বিক্ষোভ ২০১১/১২-এর উপর করা আমদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .