- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

পর্তুগাল: ইউটিউবে সাধারণ ধর্মঘট বিষয়ে প্রতিষ্ঠানবিরোধী যাজকের “ধর্মোপদেশ”

বিষয়বস্তু: পশ্চিম ইউরোপ, পর্তুগাল, ইতিহাস, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, ধর্ম, নাগরিক মাধ্যম, রাজনীতি

এই নিবন্ধটি ইউরোপের সংকট [1] সংক্রান্ত আমাদের বিশেষ কাভারেজ এর অংশ।

[অন্যকিছু বলা না হলে সমস্ত লিংক পর্তুগীজ নিবন্ধগুলোকে নির্দেশ করবে]

এমাসে ৭৫তম জন্মদিন পালন করা যাজক এবং লেখক মারিও পাই দে অলিভিয়েরা [2] মনে করেন সমস্ত ধর্মকে বিপথগামী এবং সমস্ত আদর্শকে মিথ্যা মনে করেন। একই সাথে তিনি বর্তমান বিভিন্ন বিষয়ে তার সেই বিশেষ – এবং প্রতিষ্ঠানবিরোধী – চিন্তাকে শেয়ার করতে বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্ককে ধর্মীয়ভাবে ব্যবহার করেন।

মার্চ ২০০৯-এ একটি ইউটিউব চ্যানেল [3]তৈরী করে তিনি ইতোমধ্যে এক হাজার তিনশ’রও বেশি ভিডিও আপলোড করেন। এগুলো সত্যিকারের একটি কর্তৃত্বশীলতাবিরোধী ধর্মোপদেশকে বেশি করে উৎসাহিত করে এবং এগুলোতে সক্রেটিসের দার্শনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।

এছাড়াও প্রায় ৪,৫০০ বন্ধুসম্বলিত তার ফেসবুক প্রোফাইলে [4] তিনি প্রতিদিন তার মেয়্যুটিক (বিশেষ ধরনের গ্রীক দার্শনিক সত্যানুসন্ধান পদ্ধতি) রাজনৈতিক অনুশীলনজাত চিন্তা [5]শেয়ার করেন। তিনি নিজেকে একজন বিশ্বনাগরিক, প্রাক্তন সাংবাদিক এবং যাজক হিসেবে উপস্থাপন করে “খুশিমনে, কোনো যাজকীয় দপ্তর ছড়াই” পোর্তো গির্জার বিভিন্ন প্রার্থণায় উত্তর দেন।

ফেসবুকে লিউনাম ম্যাক্সের পাঠানো ছবি। [6]

মারিও পাই দে অলিভিয়েরা, এছাড়াও ফাদার মারিও দা লিক্সা (লুরোসা, সান্তা মারিয়া দা ফিয়েরা, ৮ই মার্চ ১৯৩৭) নামে পরিচিত। ফেসবুকে লিউনাম ম্যাক্সের পাঠানো ছবি।

De que vale fazer carreira eclesiástica, até ser bispo residencial ou papa, ou ser gestor de uma multinacional, se, para isso, temos de desistir de vez de sermos simplesmente Humanos, outros Jesus?!

নিদেনপক্ষে একজন স্থায়ী বিশপ, অথবা পোপ, অথবা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ব্যবস্থাপক হওয়ার আগে যাজকীয় কর্মজীবনের পিছনে ছুটার মানে কী, যদি এটা করতে গিয়ে আমাদের মনুষ্যত্ব আর অন্য যীশুদের হারাতে হয়?!

লুই গ্রাসিয়া এন্ড কামারেদাস দা গিনি’স ব্লগে তার জীবনী [7] অনুসারে, ১৯২৬ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত চলা পর্তুগালের স্বৈরশাসন [8] [ইংরেজী] আমলে তার খণ্ডিত স্বত্ত্বা এবং তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে (বিশেষভাবে তৎকালীন রাজনৈতিক শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক নিষিদ্ধ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন সমর্থন) সহযোগিতা করছেন সন্দেহে  ১৯৬৭ সালে পোর্তোর ডায়োসিস (যাজকীয় জেলা) তাকে পর্তুগীজ সেনাবাহিনীর একজন সামরিক চ্যাপলিন [9](যাজক) হিসেবে গিনি-বিসাউতে পাঠিয়ে দেয়।

তবে ঔপনিবেশিক যুদ্ধে তার অংশগ্রহণের স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র কয়েক মাস। ১৯৬৮ সালের মার্চে:

foi expulso de capelão militar, por ter ousado pregar, nas Missas, o direito dos povos colonizados à autonomia e independência, e regressou à sua Diocese, rotulado pelo Bispo castrense de então, D. António dos Reis Rodrigues, como padre irrecuperável.

প্রার্থণার সময় উপনিবেশের জনগণের স্বায়ত্ত্বশাসন এবং স্বাধীনতার প্রতি জোরালো বক্তব্যের কারণে তাকে সামরিক যাজকত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়। তৎকালীন সামরিক বিশপ ডি. আন্তোনিও দোস রড্রিগেজ তাকে চিরজীবনের জন্যে অধঃপতিত যাজক  আখ্যায়িত করেন এবং তিনি ডায়োসিসে ফিরে আসেন।

“আমাদের অবশ্যই সমাজ রূপান্তরের নতুন উপায় খূঁজে বের করতে হবে” 

আজকের সাধারণ ধর্মঘট – সরকার আরোপিত কৃচ্ছসাধন এবং কর্তননীতির বিরুদ্ধে গত দেড় বছরে তৃতীয় – আমাদেরকে ফাদার মারিও প্রকাশিত ২৪শে নভেম্বরের সাধারণ ধর্মঘট [10] [ইংরেজী] পরবর্তী ভিডিও [11]টির কথা মনে করিয়ে দেয়। এই ধর্মঘট সরকারী উপাত্ত মতে সরকারী পরিষেবার ১১%-এরও কম, অথবা আহবানকারী প্রধান দুইটি ইউনিয়নের (সিজিটিপি [12] [ইংরেজী] এবং ইউজিটি [13] [ইংরেজী]) হিসাব মতে তিন কোটিরও বেশি কর্মীকে থামিয়ে দেয়।

as centrais sindicais e os respectivos sindicatos que as integram parecem coincidir com as igrejas (…) que insistem sempre nos mesmos meios ano após ano para intervirem na sociedade. Não se está a revelar capacidade criativa, capacidade de inventar meios, processos, metodologias, conteúdos, posturas, práticas, que vão de encontro ao Grande Poder Financeiro, ao Grande Mercado Global, que está a arruinar-nos, que está a matar-nos, que está a asfixiar-nos, a levar-nos a pele e o osso. Não há. As centrais sindicais estão esgotadas, os seus líderes estão esgotados. Parece que a imaginação desapareceu. O sistema financeiro que nos mata, que nos asfixia, parece que esvazia as nossas mentes, não somos capazes já de gerar nenhuma saída, nenhuma solução que resulte, que o derrube, que o deite por terra, que o descredibilize. E de cada greve geral, o poder financeiro sai ainda mais fortalecido. (…)

Tenho pena porque a chamada Greve Geral não é Greve Geral coisa nenhuma. Grande parte da população continua a trabalhar. (…) Greve geral seria o país parar, parar! Ficarmos todos em casa, ninguém sair, ninguém fazer compras, ninguém frequentar os mercados, ninguém vir para a rua, não haver trânsito, nem carros particulares. NADA! Era greve geral: TODA a gente PÁRA! Ora enquanto a greve não for assim, não é sinal de nada. Só é sinal de reforçar o poder (…) é que a greve geral é autorizada pelo poder (…) quer dizer, o poder autoriza que se faça uma greve geral, se ele autoriza (…) é sinal de que percebe que essa greve geral – que de geral só tem o nome – é mais ficção do que realidade, por mais que mobilize muita gente a maior parte do país não é mobilizada porque não pára. Então o poder sai reforçado, porque tudo é consentido por ele. No início (…) as greves eram ilegais, não eram permitidas, era a perseguição na rua, a polícia, o poder tinham de mostrar a sua face e sair para a rua. (…) Eram greves a sério, assim não. Assim é um folclore (…). Parece mais uma romaria, uma procissão.

তাদের সংগঠিত করা প্রধান দুইটি ইউনিয়ন এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইউনিয়নকে একমত মনে হয় সেই চার্চের (…)সাথে, যেটি বছরের পর বছর ধরে সমাজে হস্তক্ষপের একই পদ্ধতি ব্যবহার করে এসেছে। তারা আমাদের চালানো, হত্যা করা, শ্বাসরোধ করা, এবং আমাদের অস্থিচর্মসার করে দেয়া বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিটির বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো সৃজনশীল সক্ষমতা, উপায়, রীতি-পদ্ধতি মনোভাব এবং চর্চা উদ্ভাবনের ক্ষমতা প্রকাশ করার জন্যে (নিবেদিত) নয়। না। প্রধান ইউনিয়নগুলো নিঃশেষিত এবং তাদের নেতারাও। আসতে পারে এমন কল্পনাও উধাও হয়ে গিয়েছে। আমাদের মেরে ফেলা, শ্বাসরোধ করা সেই একই অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটি আমাদের মনকে শুন্য করে দিচ্ছে যেন আমরা একটা বাঁচার উপায়, একটা সমাধান যা একে ধ্বসাতে, মাটিতে ফেলে দিতে, অসম্মানিত করতে পারে, সেটা বের করতে না পারি। এবং প্রতিটি সাধারণ ধর্মঘটের সাথে সাথে অর্থনৈতিক শক্তিটি আরো শক্তিশালী হচ্ছে। (…)

তথাকথিত সাধারণ ধর্মঘট যখন মোটেই সাধারণ ধর্মঘট হয় না, আমি দুঃখিত হই। জনগণের একটা বৃহদাংশ তখন কাজ চালিয়ে যায়। (…) একটা সাধারণ ধর্মঘট মানে হলো গোটা দেশটা থেমে যাওয়া। একদম থামা! আমরা সবাই বাড়িতে থাকবো, কেউই বাইরে যাবো না, বাজার-ঘাট করবো না, বাজারে কেউ ঘুরে বেড়াবে না, রাস্তায় কেউ থাকবে না, কোনো যানবাহন থাকবে না, কোনো গাড়ি থাকবে না। কিচ্ছু না! যদি এটা সাধারণ ধর্মঘট হতে হয়। সবাই থামবে! ধর্মঘটটি যদি এভাবে না হয়, এর কোনো মানে নেই। এতে শুধু শক্তিধরদেরই শক্তিশালী দেখায় (…) এবং সেটা হয় শক্তিধরদের অনুমোদিত সাধারণ ধর্মঘট। (…) অন্য কথায়, শক্তিধররা এই সাধারণ ধর্মঘটটি হতে দিয়েছে। (…) এই সাধারণ ধর্মঘটে (যা শুধু নামেই “সাধারণ”) দেখা যাবে: এটা বাস্তবতা যত বেশি আনে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যে, তার চেয়ে বেশি কাল্পনিক। তারা থামেনি কারণ তারা সংগঠিত নয়। এবং সেই জন্যে শক্তিধররা আরো শক্তিশালী হয়, কারণ সবকিছু তাদের মত নিয়ে ঘটছে। প্রথমে (…) ধর্মঘটগুলো ছিল অবৈধ, তাদের অনুমতি দেয়া হতো না; রাস্তায় চলতো পুলিশী নিপীড়ন, কারণ শক্তিধরদের তাদের চেহারা দেখাতে হতো। (…) আজ কালকার মতো নয়, সেগুলো হতো সত্যিকারের ধর্মঘট। এখন এগুলো লোক-সংস্কৃতির মতো। (…) এট অনেকটা একটা তীর্থযাত্রার মিছিলের মতো।

ফাদার মারিও এখনো জানুয়ারী ২০১১ থেকে শুধুমাত্র অনলাইনে প্রকাশিত মাসিক জর্ণাল ফ্রেটারনিজার [14] সম্পাদনা করেন। ২৪শে মার্চ তার প্রকাশিতব্য বই: “Evangelho de Jesus segundo Maria, Mãe de João Marcos, e Maria Madalena” [মেরী, জন মার্কের মাতা, এবং মারী ম্যাগদালেনা বর্ণিত যীশুর ধর্মবাণী]।

এই নিবন্ধটি ইউরোপের সংকট [1] সংক্রান্ত আমাদের বিশেষ কাভারেজ এর অংশ।