প্রকৃতপক্ষে পোলিশ চিত্রগ্রাহক এবং কবি পিওতর জারস্কির [পোলিশ] (পোলিশ ভাষায় তার জীবনীর জন্যে উইকিপিডিয়া দেখুন) লেখা ‘ওয়েব কিডস ইশতেহার‘টি পোলিশ সংবাদপত্র দ্যযিয়েনিক বাল্টিচকিতে ১১ই ফেব্রুয়ারী, ২০১২-তে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এটা এখন আরো অন্যান্য ভাষায় ওয়েবে আবির্ভূত হচ্ছে।
ইশতেহারটি নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের পাশাপাশি জন্ম নেয়া একটি পুরো প্রজন্মের কমিউনিটি চিন্তাকে প্রকাশ করে। এছাড়াও এটি একটি প্রকৃত বৈশ্বিক সংস্কৃতির উদ্ভবের সাথে সাথে এর প্রতি বিশ্বের তরুণদের ঝোঁক এবং এলোমেলোভাবে প্রযুক্ত আইনী এবং ভৌগোলিক সীমারেখার বাইরে সাংস্কৃতিক পণ্য প্রচারে অংশগ্রহণের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করে।
জারস্কির মতে, এই ইশতেহারটিতে প্রতিষ্ঠিত কর্তৃপক্ষসমূহ থেকে উত্তরাধিকা্রসূত্রে পাওয়া ক্ষমতার সম্পর্কগুলো [পোলিশ] থেকে এই প্রজন্মটির নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখা ইচ্ছের প্রমাণ:
Nie ma w nas tej wynikającej z onieśmielenia pokornej akceptacji, jaka cechowała naszych rodziców – przekonanych o nadzwyczajnej wadze spraw urzędowych i odświętnym charakterze interakcji z państwem. Nie czujemy tego respektu, który brał się z odległości między samotnym obywatelem, a majestatycznymi szczytami „władzy”, majaczącymi gdzieś pośród mgieł.
এই প্রজন্ম ব্যক্তিগত স্বার্থবাদী বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রাতিষ্ঠানিক বিধি-বিধান এবং এসব গোষ্ঠীর ব্যক্তিগত তথ্য ও সাধারণ সাংস্কৃতিক পণ্যের উপর নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করে । এছাড়াও এটি এর স্বচ্ছতা, স্বাধীনতা এবং একটি “সঠিক ও প্রকৃত গণতন্ত্র” [পোলিশ]-এর প্রয়োজনীয়তার কথা বলে:
Być może nie nazwaliśmy tego dotąd, być może jeszcze sami nie zdajemy sobie z tego sprawy – ale tym, czego chcemy, jest chyba po prostu prawdziwa, realna demokracja. Demokracja, o której być może nie śniło się nawet waszym publicystom.
এটা এসিটিএ চুক্তি বিরোধিতা প্রসঙ্গে সর্বাধুনিক একটি দাবি যেখানে বিশেষ করে, পূর্ব ইউরোপে [ফরাসী],স্বাধীনতা খর্বের ঝুঁকি বেশি করে অনুভূত।
- পোলিশ ভাষায় ইশতেহারটির আদি সংস্করণ ‘Mi dzieci sieci‘
- ইংরেজী: ‘আমরা ওয়েব শিশু’
- ফরাসি: ‘Nous les enfants du Web‘
- জার্মান: ‘Wir, die Netz-Kinder‘
- স্প্যানিশ: ‘Nosotros, los hijos de la Web‘
- এস্তোনীয়: ‘Meie, võrgulapsed‘
- সুইডিশ: ‘Vi, nätbarnen‘
- চেক: ‘My, děti Sítě‘
এই ইশতেহারটি এবং এত অল্প সময়ে বিশ্বের সর্বত্র এর তৈরী করা প্রতিক্রিয়াই স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং স্বচ্ছতার আকাঙ্ক্ষার প্রমাণ – যা আমাদের সমাজগুলোকে গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যারা এই আকাঙ্ক্ষাটি প্রকাশ করেছে তারাই এখন থেকে বিশ্বায়নের স্বপ্রণোদিত নায়ক এবং তারাই হবেন আগামী দশকগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েব নাগরিক। সন্দেহ নেই, স্রোত দিক বদলেছে।