ধর্ষিতা হওয়ার পর ধর্ষককে বিয়ে করতে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যাকারী ১৬বছর বয়েসী আমিনা ফিলালির দুর্দশার প্রতিবাদে মরোক্কোবাসী আগামীকাল (১৭ই মার্চ) একটা অবস্থান কর্মসূচী আয়োজন করতে যাচ্ছে। ধর্ষকের সাথে আমিনার বিয়ের অনুমোদন দেয় একজন বিচারক। তার আত্মহত্যা সামাজিক নেটওয়ার্ক এবং দেশটিতে উভয়ক্ষেত্রেই প্রতিক্রিয়ার ঝড় তুলেছে।
আমিনার মতো অন্যান্য মহিলা, যাদের ধর্ষককেই বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় এবং এতে ধর্ষক শাস্তি এড়াতে সক্ষম হয় – এমন দূর্দশার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষনের জন্যে মরোক্কোবাসী আগামীকাল (১৭ই মার্চ, ২০১২) দুপুরে সংসদের সামনে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে।
‘রাস্ট্রের যোগসাজশে ধর্ষনের বিরুদ্ধে না’ শিরোনামের ফেসবুক পাতাটি বলছে [আরবী ভাষায়]:
এছাড়াও পাতাটিতে অবস্থান কর্মসূচীর আগামীকালের বিস্তারিত তালিকাভূক্ত রয়েছে, যা নিম্নরূপ:
১. সভার স্থান সংসদের সামনে দুপুরে। যেহেতু এটা মিছিল নয়, তাই আমরা সংসদের সামনে থেকে সরবো না।
২. সিট-ইন নির্দলীয়দের সংগঠিত একটি নাগরিক আন্দোলন, টি-শার্ট দেখে তাদের সনাক্ত করা যাবে (আমাদের অতিরিক্ত টি-শার্ট আছে, কেউ ইচ্ছে করলে সংগ্রহ করতে পারেন)
৩. দাবিসম্বলিত (দাবিসমূহ এই পাতাটির এবাউট অংশে পাওয়া যাবে) পোস্টার ও প্রচারপত্র অংশগ্রহণকারীদের কাছে বিতরণ করা হবে। আপনি ইচ্ছে করলে আপনার পরিচয় বহন করতে পারেন।
৪. কয়েকজন সুশীল সমাজের অ্যাক্টিভিস্ট, এনজিও কর্মী এবং শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন।
এসমস্ত কারণেই আমরা সবাই মরোক্কোর নারী ও পুরুষ এখানে সমবেত!
ইতোমধ্যে নেটনাগরিকরা আমিনার গল্পটির প্রচার অব্যহত রাখে। রাবাত থেকে রফিক আইউব ব্লগে জানান [আরবী ভাষায়]:
আমিনার গল্পটি আজকে সব মরোক্কোবাসীর কাছে একটা প্রণোদনা এবং সত্যিকার গনতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা নাগরিকদের কাছে সন্মানের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমিনা ও তার পরিবারের প্রতি ন্যায় বিচার এবং তার ভূলুণ্ঠিত মর্যাদা পুণঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা না করে সঠিক সংবিধানের খসড়া সম্পর্কেও কথা বলা প্রায় অসম্ভব। নিপীড়িতের বিরুদ্ধে অত্যাচারীকে সমর্থন করা ফৌজদারী আইনের অধ্যায়গুলোর উল্লেখ ছাড়া আমার কাছে বিচারবিভাগের পুণর্গঠণ এবং স্বাধীনতার বার বার গ্যারান্টির কোনো মূল্য নেই।