গত প্রায় তিন দশক ধরে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের শাসকরা আর্ন্তজাতিক নারী দিবস পালনের বিষয়টি উপেক্ষা করে আসছে। তারা ৮ মার্চ তারিখটিকে স্বীকৃতি প্রদান করে না এবং এমনকি নারী সংগঠনের জন্য এই দিবস উদযাপন করাও নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু প্রতি বছর ইরানের নারীরা বাস্তব এবং ভার্চুয়াল জগতে এখনো এই দিবসটি উদযাপন করে থাকে।
যখন এ বছর পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে ইরান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মাঝে পড়ে গেছে এবং উত্তেজনার মাঝে অবস্থান করছে, তখন বেশ কয়েকজন একটিভিস্ট নারী অধিকারের জন্য তৈরি করা ওয়েবসাইট, “চেঞ্জ ফর ইকুয়ালিটি” (সাম্যের জন্য পরিবর্তন)–এ ভিডিও প্রকাশ করেছে, যার বিষয়বস্তু, “আমি এই যুদ্ধের বিপক্ষে”।
এই সমস্ত একটিভিস্টরা বলছে:
যুদ্ধ কেবল বোমা বর্ষণ এবং আমাদের ঘর ধ্বংস করার মত বিষয় নয়। এমনকি যুদ্ধে প্রবেশ করার আগে, তা নারীদের জীবন আরো কঠিন হয়ে উঠছে। যুদ্ধ ইতোমধ্যে নারীদের উপর চোখ রাঙাতে শুরু করেছে এবং তা ক্রমশ, ধীরে ধীরে কাছে এগিয়ে আসছে। আমরা এই দানবের নিরব শিকার হতে চাই না। ৮ মার্চ ২০১২-এ যখন রাস্তায় আমাদের এই দিবসকে উদযাপনের বিষয় অথবা রাস্তায় আমাদের দাবী প্রদর্শনের বিষয়টিকে অস্বীকার করা হয়, তখন যুদ্ধের বিরোধীতা করার জন্য আমরা এই সুযোগটি গ্রহণ করেছি এবং প্রতিটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে তুলে ধরছে কেন আমরা যুদ্ধের বিপক্ষে।
যুদ্ধের ছবির পেছনের বাস্তবতা
শিশুদের জন্য কোন চরম বিপদ সঙ্কেত নেই
যুদ্ধ নারীদের ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে
যুদ্ধ আসলেই এক দানব, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে স্বৈরতন্ত্র এবং কারাগারও তাই। ইরানের ব্লগার জারিচি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন [ ফারসী ভাষায়] যে সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারনে ইরানের ৪৭ জন নারী এখনো কারাগারে বন্দী।