ইরান: নির্বাচনে ভোট প্রদান করার জন্য কার্টুনিস্টরা খাতামির উপর ক্ষিপ্ত

কেবল ভোট দেবার কারণে আপনি কি ভাবে একটি নির্বাচনে বিশাল এক পরাজয়ের মুখোমুখি হতে পারেন? ইরানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ খাতামি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।

মোহাম্মদ খাতামি, শুক্রবার, ২ মার্চ ২০১২-এ অনুষ্ঠিত ইরানের সংসদ নির্বাচনে নিজের অংশগ্রহণের শর্ত হিসেবে যে সব শর্তাবলী প্রদান করেছিলে তিনি নিজে তা উপেক্ষা করে ভোট প্রদান করেন; যার মধ্যে ছিল [রাজনৈতিক] বন্দীদের মুক্তি প্রদান এবং সকল নাগরিক ও দলের জন্য এক মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে কর্তৃপক্ষ সংবিধানকে শ্রদ্ধা করবে এবং সুন্দর ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সকল সুবিধাসহ এক পরিবেশের সৃষ্টি করবে।

নির্বাচন বয়কট করার মত এক জনপ্রিয় আহ্বান জানিয়ে খাতামি নিজে তার কথার বরখেলাফ করায় অনেক সংস্কারবাদী হতাশ।

পরে তিনি তার এই কাজের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন এই বলে যে, তার এই ভোট দানের ঘটনা “সংস্কারের প্রতি তার একাত্মতাকে” বিঘ্নিত করবে না। সংবাদে জানা গেছে যে তিনি আভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক চাপের মত “জটিলতার” মাঝে রয়েছেন এবং তিনি “ সবাইকে এই সব জটিলতা উপলব্ধি করার আহ্বান জানান”।

এক সময় বেশ জনপ্রিয় খাতামির এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেটে বেশ কিছু কার্টুন প্রকাশিত হয়েছে যেগুলোতে তার প্রতি ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ পেয়েছে।

ইরানের অন্যতম এক কার্টুনিস্ট এবং ব্লগার নিকহঙ্গ বিবেচনা করছেন, এর মাধ্যমে ২০০৯ সালের প্রতিবাদের সময় যে রক্তপাত সংঘঠিত হয়েছিল, সেটিকে খাতামি উপেক্ষা করল।

ইরানের অন্যতম আরেক কার্টুনিস্ট মানা নেইয়াস্তানি দেখাচ্ছেন যে, একটি বিশেষ চরিত্র খাতামির মাথায় একটি জানালা ভেঙ্গেছে।


খোদনেভেশি. অর্গ-এ নামহীন এক অতিথি কার্টুনিস্ট, “খাতামির বিরুদ্ধে কার্টুন” নামক প্রচারণায়, এই কার্টুন নিয়ে অংশ নেয়:


আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .