- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইরানঃ ” আমাদের কি ভোট দেওয়া উচিত?”

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইরান, নাগরিক মাধ্যম, নির্বাচন, প্রতিবাদ, মানবাধিকার, রাজনীতি, সরকার

শুক্রবার ২ মার্চ ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে সংসদীয় (মজলিশ) নির্বাচন [1] সংগঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্রম বর্ধমান গণ- আন্দোলন ও ২০০৯ সালের বিতর্কিত রাস্ট্রপতি নির্বাচনের [2] পর এটা জাতীয় নির্বাচন। যদিও কিছু বিরোধী দল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে তারপরেও ইরানী সরকার পশ্চিমা বিরোধী প্রচারনার মাধ্যমে [3] নাগরিকদের নির্বাচনমূখী করতে চাইছে।

প্রতিবাদের সময় নিহত নেদা [4] নামের একজন তরুণীর ছবিকে পোস্টারে প্রকাশ [5] করে সিতারে ইরান [ফার্সি] নামের একটি সংগঠন লিখে, ”আমি ভোট দিব না”।

নেদাঃ আমি ভোট দিব না [6]

নেদাঃ আমি ভোট দিব না

এই ব্লগার বলেনঃ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ জরুরি কিনা সে প্রশ্নের চাইতে জরুরি হল এত শহীদের রক্ত ও হাজারো নিষ্পাপ মানুষের কারাবন্দিত্বের মধ্যে কি করে একজন মানুষ ভোট দিতে যাবে? শুক্রবারের এ নির্বাচন আমাদের জন্য সম্মান বয়ে আনবে না। বর্তমান শাসনামলে যারা জনগণের বুদ্ধিমত্তাকে অগ্রাহ্য করে এ নির্বাচন তাদের জন্য একটা পরীক্ষা। নেদার নিষ্পাপ চাহনি আমাদের সম্মানকে স্বৈরাচারের কাছে বিক্রি হতে নিষেধ করে।

আজারাকান বলেন [7] [ফারসি]:

দেশটির বর্তমান সময়ের শাসকগোষ্ঠী এ বলে প্রচারণা চালায় যে যদি ইরানের জনগণ ভোট প্রদান না করে তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে আক্রমণ করবে, নির্বাচন বয়কটের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত যে তাদের কোন বৈধতা নেই। নির্বাচন বয়কট হলে পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কে সরকার চ্যালেঞ্জ করা থেকে বিরত হতে বাধ্য হবে।

একটি ১- মিনিটের চলচ্চিত্রে সংসদ সদস্যরা গত প্রতারণামূলক নির্বাচনের বিষয় গুলোকে স্মরণ করেন এবং বলে যে ঐ নির্বাচন দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

ভিডিওটির মূল বার্তা ছিল “আমাদের কি আবারো ভোট দেওয়া উচিত?”

যদিও নিশ্চিত ভাবেই সব ইরানী ব্লগার নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন না। আহেস্তান মনে করেন [8] নির্বাচনে অংশ না নিলে সমস্যার সমাধান হবে না বরং জনগণের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ শত্রুদের অন্য মোক্ষম জবাব বলে বিবেচিত হতে পারে (“তাদের মুখে ঘুষি”)। তিনি বলেন  “যদি তারা [শত্রুরা] জনগণকে ভোট না দিতে উৎসাহিত করে তবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র কেন তাদের ভোট দানে উৎসাহিত করতে পারবে না?”

ভোট হবে কি হবে না সেটা কোন চূড়ান্ত প্রশ্ন নয়। শুক্রবারের নির্বাচনে যাই ঘটুক না কেন কোন কোন বিশ্লেষক ভবিষ্যতবাণী [3] করেন সরকার নির্বাচনের বিষয়ে ৬০ শতাংশ বা তার বেশী ভোট পড়েছে বলে সরকার দাবি করবে।