যদি আপনি আপনার স্কুল বা কাজের জায়গায় একঘরে হয়ে থাকেন তাহলে ইন্টারনেট মুখ বাঁচানোর মাধ্যম হয়ে যায় – এটা লিঙ্গুয়া জাপানিজের ইজুমি মিহাশির সাথে আমার সাম্প্রতিক সাক্ষাতকারের একটা মন্তব্য ছিল। এটার কথা আমার মনে পড়েছে যখন আমি একটি বেনামী ব্লগের (জাপানী ভাষায়) লেখায় একটি আত্মচিৎকার দেখেছি।
স্কুলেই পিছনে লাগা বন্ধ হয়না।
টিকাঃ এই পোস্ট সামগ্রিকভাবে ভাষান্তর করা হয়েছে। মূল লেখায় কোন লিঙ্গের প্রতি কোন নির্দেশ করা হয়নি চরিত্রের কথা বলার সময়ে, কিন্তু ভাষান্তরের ক্ষেত্রে ধরে নেয়া হচ্ছে যে ব্লগার আর তার সহকর্মীরা পুরুষ।
আজকে আমি আবারো বুঝেছি যে আমার কাজের জায়গায় আমার সাথে যে ব্যবহার করা হয় তা খারাপ। সকালে কাজে গিয়ে আমি ইমেইল দেখেছি, আর প্রথম ঘন্টায় চারজন চারটা বিষয় নিয়ে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। যখন আমি একা হলাম তখন নিরবে এই খারাপ লাগা নিয়ে হেঁসে ফেলেছি।
আমার মনে হয় যদি একটা ভালো জিনিসের সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পারি, আমি এইসব ব্যাপারের কিছুটা কাজ করাতে পারব যদি নিজের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করি। বিষয়টা হচ্ছে যে আমি নিজেকে সম্পূর্ন রূপে বিচ্যুত না ভেবে পারিনা।
সকালের সমস্যার পরে, আমার হাতে কিছু সময় ছিল। আমার সাথে যারা রাগ করেছি তাদের একজনের কাছে গিয়ে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, “আমি তোমাকে কোন ব্যাপারে সাহায্য করতে পারি?” সে খুব ক্লান্ত মুখে আমাকে না বলল। আমাকে যে কোন কিছুতে সে বিশ্বাস করেনা তা তার মুখে লেখা ছিল।
আমার খুব দু:খিত, বিব্রত লাগছিল আর তার সাথে আরো অনেক আবেগ আমার মধ্যে কাজ করছিল। আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আমি বলতে চেয়েছিলাম, “তোমাকে এমন বোধ করাবার জন্য আমি সত্যি খুব দুখিত।“ আমি কোনক্রমে একটু হেসে বললাম, “কোন ভাবে সাহায্য করতে পারলে আমাকে দয়া করে বলবেন।“ জায়গায় ফিরে আমি আমার আগের কাজ আবার দেখলাম যে সেখানে কিছু করার আছে কিনা। অনেক ভুল ছিল, তাই আমি আবার তা ঠিক করতে লাগলাম।
জানালার পাশে আমার বসার জায়গাটায় ঠান্ডা হওয়ায় আমি ভেন্ডিং মেশিন থেকে চা নিয়ে গরম হয়ে বসার চেষ্টা করলাম। আমার পাশে বসা ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে চিৎকার করে উঠলেন, “গন্ধ বের হয় এমন কিছু তোমার জায়গায় আনবে না। তুমি কি ভাবছো?” আমি প্রায় হাঁটুতে বসে ক্ষমা প্রার্থনা করলাম- আর কফি রুমে পালিয়ে গেলাম।
হতাশ হয়ে কফি রুমের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আমি ভাবতে লাগলাম কি উপায়ে নিজেকে ভালো করা যায়। আমার বর্তমান অবস্থায় যে সমাধান আমি পেলাম সেটা খুব সাধারণ, আমি কিছুই করতে পারবো না, কেবল নিজের কাজের ব্যাপারে আরো সাবধান হয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।
এই ধরনের জীবন তিন মাসের বেশী সময় ধরে চলছে। সত্যি বললে আমি এই কোম্পানি ছাড়তে চাই। আমার মনে হয় সময় হয়ে গেছে।
মাঝেমাঝে মনে হয় আমার এখানে থাকা উচিত না। তারপরেও ব্যক্তিগত উন্নতি না ঘটিয়ে চলে গেলে সেটা পালিয়ে যাওয়া মনে হবে। এটা আমি করতে পারি না। আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরবো, না আমার সহকর্মীদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে- কোনটা আগে ঘটবে?
আমি খুবি দুখিত যে আমি এমন হতাশ একজন মানুষ। আমি আসলেই দু:খিত। আর আমার ঠান্ডা লেগেছে। কিন্তু আমি ছুটি নিতে পারবো না।