টুকটুক, বেকা, কুলিগিলিগ, ট্রাইশো, পেডিক্যাব, বেচাক, ট্রাইসাইকেল, এগুলো হচ্ছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিখ্যাত সব তিন চাকার যান। এগুলোকে এখানকার শহরের রাস্তা দেখা যায়, কিন্তু এই সমস্ত এলাকার সরকার সমূহ এখন শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায় এই অদ্বিতীয় তিন চাকার যান (পেডিক্যাব) এবং যন্ত্র চালিত রিকশা বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
ই-টুকটুক, যার খুচরা যন্ত্রাংশ থাইল্যান্ডে তৈরি হচ্ছে, শীঘ্রই তা ইউরোপে এসে হাজির হবে। এদিকে গত বছর ফিলিপাইনস-এ, ই-ট্রাইক নামক তিন চাকার যান চালু করা হয়েছে। নিচে ফিলিপাইনস-এর ডাভাও সিটিতে চালু হওয়া ই-টুকটুক- এর ছবি, যা জীবাশ্ম জ্বালনি ব্যবহার-এর পরিমাণ কমিয়ে আনার উদ্দেশ্য চালু করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার পেনাং-র ভ্রমণ করার সময় জান শিম, বেকা বা রিকশায় চড়েছেন,
পেনাং দেখার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে, আর এর মধ্যে কৌতূহল জনক এক উপায় হচ্ছে তিন চাকার যানে করে ঘোরা, যা স্থানীয়ভাবে বেকা বা রিকশা নামে পরিচিত। এটা পরিবহনের একটা ভালো উপায় , যার মধ্যে দিয়ে ফেরির যাত্রীরা অবসরে শান্তি মত পেনাং-এর রাস্তায় ঘুরে সময় কাটাতে পারে। মালয়েশিয়া সাইকেল রিকশা (মালয় ভাষায় বেকা) ক্রমশ পায়ে টানা রিকশার জায়গায় দখল করে নিচ্ছে। দ্রুত শহরায়ণ, ৭০ –এর দশকে সাইকেল রিকশা শহরগুলোতে একচেটিয়া ভাবে চলত। এরপর থেকে দ্রুত শহরায়ণ-এর ফলে আরো কার্যকর গণ পরিবহনের দাবী বাড়তে থাকে, যার ফলে সাইকেল রিকশার পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। আজকের দিনে মূলত পর্যটন এলাকাগুলোতে পায়ে টানা রিকশা দেখা, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য চলছে, মালাক্কা, পেনাং, কেলানতান এবং তেরেংগানু এলাকায় এগুলো দেখা যায়।
এম-এক্সপ্লোরার ইন্দোনেশিয়ার সিয়ানতার শহরের প্রাচীন মোটর সাইকেল পেডিক্যাব সিয়ানতার সম্বন্ধে লিখেছে। এডউইন ইন্দোনেশিয়ার এক আলাদা রকমের পেডিক্যাব সম্বন্ধে লিখেছে। এনচ্যান্টিং ইডেন উল্লেখ করেছে যে আধুনিক যান এসে বেকা নামক যানটিকে হটিয়ে দিচ্ছে।
যখন বেকা শহরে আগমন ঘটে তখন এগুলো ছিল খুব আলাদা এক ধরনের যান, এ কারণে দ্বীপরাষ্ট্রের শহরের পৌরসভাগুলো এগুলোর পুরোনো অবস্থা এবং অমানবিক প্রকৃতির দেখে এগুলোকে নিষিদ্ধ করে, তার বদলে থাইল্যান্ডের টুকটুকের মত যান্ত্রিক ট্রাইকস চালু করে। এটা একটা পরিহাসের বিষয় যে যখন ইন্দোনেশিয়া এই ঘটনা ঘটেছে তখন বাকী বিশ্ব, বিশেষ করে উন্নত দেশসমূহে “ পরিবেশ বান্ধব যুক্ত যে কোন কিছু গ্রহণ করেছে, তারা নতুন করে ভিন্ন চেহারার পেডিক্যাব গ্রহণ করছে।