যখন আমি এই লেখাটা লিখছি [ ৭মঙ্গলবার,২০১২] তখন আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস-এ চারটি দল টিকে আছে, যারা সকলেই পশ্চিমা আফ্রিকার।ইকুয়াতোরিয়াল গিনির বাটায় (ঘানা) এবং গ্যাবনের লিব্রাভিলের (মালি বনাম (আইভরি কোস্ট)-এর মাঝে। তারা সকলে সেমিফাইনালে খেলছে, যাদের সাথে ১৬ বছর পর সেমিফাইনালে যোগ দিচ্ছে জাম্বিয়া নামক দেশটি।
কোয়াটার ফাইনালে জাম্বিয়া সুদানকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে তাদের সমর্থকদের আশা জিইয়ে রাখে। খেলা শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে রক্ষনভাগের খেলোয়াড় স্টোপিলা সুনজুর গোলের পর ৬৬ মিনিটে অধিনায়ক ক্রিস কাতোঙ্গা দ্বিতীয় গোল করে এবং খেলা শেষ হবার চার মিনিট আগে জেমস চামাঙ্গার গোলে জাম্বিয়া ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়।
ফিফা.কমে (www.fifa.com)-এ এগুনিডয়ু মন্তব্য করেছে:
জাম্বিয়াকে অভিনন্দন। তোমরা এই জয়ের যোগ্য:)। এটা হয়ত সুদানের জন্য হতাশার (আরেকটি দল, যারা খেলায় দারুণ উন্নতি করেছে), কিন্তু জাম্বিয়া এখন দারুণ দক্ষতা দেখিয়ে বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। সুন্দর কাজ।
দক্ষিণ আফ্রিকার সিলভানোরসা৭ এর সাথে যোগ করেছেন:
আমরা সকল ভাবে তোমাদের সাথে আছি জাম্বিয়া… আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলের একটি মাত্র দেশ, যা এখনো এই প্রতিযগিতায় টিকে আছে! ক্রিস কাটাঙ্গোর জয় হোক!
ভিনসেন্ট ভিজো নাগবোনিও টুইট করেছে:
মাহুন্টসু: মানুষজন জাম্বিয়াকে হিসেবের মধ্যে রাখেনি। #আফকন২০১২
এবং শিপো মাজিবুকি উত্তর করছে:
এমশিপোলা:তাদেরকে দারুণ সংঘবদ্ধ, তারা একটা সুযোগ লাভ করেছে। ঘানার খেলায় মুগ্ধ হওয়া যাচ্ছে না
এদিকে থেকে আইভরি কোস্ট নামক দলটি ১৯৭০ সাল থেকে এইবার নিয়ে সপ্তমবারের মত সেমিফাইনালে খেলছে। কোয়াটার ফাইনালে তারা অন্যতম আয়োজক ইকুয়াটোরিয়াল গিনিকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে।
ঈগল নামে পরিচিত মালির ফুটবল দল প্যান্থারকে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টি শুট আউটে ৫-৪ গোলে পরাজিত করেছে।
জন মেনশাহ এবং আন্দ্রে আয়ুইর গোলে ২-১ গোলে তিউনিশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে তাদের স্থান নিশ্চিত করে। নির্ধারিত সময়ের খেলা পর্যন্ত তিউনিশিয়া ১-১ গোলে ঘানাকে ঠেকিয়ে রাখে, অতিরিক্ত সময়ের ১০১ মিনিটে তাদের গোলরক্ষক আইমান মাথুলাথির এক হাস্যকর ভুলে ঘানা তাদের জয়সুচক গোলটি পেয়ে যায়।
এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে জাম্বিয়ার নাগরিকদের উদযাপন এবং আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মালি থেকে জাম্বিয়া পর্যন্ত, সমর্থকরা তাদের উত্তেজনা প্রদর্শন করেছে এবং একই সাথে তারা ২৮ তম আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস-এর ফাইনালে কারা খেলবে সেই নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। যা রোববার, ১২ ফেব্রুয়ারি-২০১২-এ, গ্যাবনের রাজধানী লিব্রাভিলের স্টাডে ডে লা আমিটে নামক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
সমর্থকরা টুইটারে তাদের প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছে [ফরাসী ভাষায়]:
@Monsieur__K: Moi je dis la finale c'est Ghana/Cote d'ivoire
#can2012
@Ceschod: Football Africain: qui s'attend comme moi à une finale #GhanaVS #CôtedIvoire,
#can2012 ? #afcon
@aliounedia:
#can2012 ça sent 1 finale Ghana Côte d'Ivoire … heureusement que yayah est la @miezanezo
ফেসবুকে, সুইথিন সোয়ারি আরো এক ধা এগিয়ে গিয়েছেন, তিনি ঘানার ফুটবল দলের কিছু দুর্বল দিক তুলে ধরছেন:
কান২০১২ নামক প্রতিযোগিতাটি জেতার জন্য যা দরকার, ঘানার ব্লাক স্টার নামক দলটির তা নেই… ৩০ বছর ধরে অপেক্ষা করে যাচ্ছে, এখনো আমরা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছি। আক্রমণ ভাগে চিন্তার অভাব, খেলায় কোন ধার নাই, ১৮ গজের মধ্যে গিয়ে গোলে শট নেবার কারো সাহস নেই।
ঘানা এবং মালি উভয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে দুর্বল দলকে পেয়েছিল, যাদেরকে হারাতে তাদের ১২০ মিনিট বা তার চেয়ে দীর্ঘ সময় খেলতে হয়, তাদের কি জাম্বিয়ায় এবং আইভরি কোস্টকে হারানোর মত শক্তি এবং উদ্দীপনা রয়েছে?
বুধবার ৮ ফ্রেব্রুয়ারি তারিখে সেমিফাইনালে তার উত্তর পাওয়া যাবে।