আইভোরি কোস্টের সাংবিধানিক আদালত ১১টি জেলার সাম্প্রতিক সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করতে চায়- এই কথা পত্রিকায় প্রকাশের কারণে গত ৩১ জানুয়ারি, ২০১২ আইভোরিয়ান সংবাদপত্র লে পেত্রিওতের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক চার্লস সাঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইভোরিয়ান সংবাদপত্র নর্ড-সুদ বলছে আইভরি কোস্টের গোয়েন্দা শাখা টেরিটোরিয়াল সার্ভেইল্যান্স অধিদপ্তর (ডিএসটি) তাকে ২৪-ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেয়।
গোয়েন্দা সংস্থাটি প্রতিবেদনের লেখক সাংবাদিক জাঁ-ক্লদ কুলিবালিকে তার তথ্যসূত্র জানাতেও বলেছে:
তার মুক্তির আগে রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডারস বলেছে:
লে পেত্রিওত যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানের রায় আঁচ করে তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে আইন ভেঙ্গেই থাকে তাহলে একে শাস্তি দেয়া যেতে পারে, তবে এর সম্পাদক বা এর প্রতিবেদনের লেখককে (…) জেল দিয়ে নয়। আইভোরি কোস্টের ২০০৪ সালের প্রচার মাধ্যম আইন অনুসারে, প্রচার মাধ্যম সংক্রান্ত অপরাধের জন্যে সাংবাদিকদের আটক করে রাখা যাবে না। তাই চার্লস সাঙ্গাকে অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। তাকে তথ্যসূত্র জানাতে বাধ্য করতে ডিএসটি‘র চেষ্টা প্রচার মাধ্যমের মৌলিক নীতিমালার লংঘন।
বেনামী আক্রমণ?
সাঙ্গাকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর সংবাদ ওয়েবসাইট লে গ্র্যান্ড ওরেই (বড় কান) জানায় যে হ্যাকাররা নিজেদের বৈশ্বিক, বিকেন্দ্রীভূত “বেনামী (ছদ্মনাম) “সম্মেলনের অংশ দাবি করে ডিটিএস'কে আক্রমণের হুমকি দেয় এই বলে যে, সম্পাদককে মুক্তি না দেয়া হলে তারা গোয়েন্দা সংস্থাটির গোপন নথিপত্র প্রকাশ করে দিবে”। ৩০-এর কম সমর্থক আছে এমন একটি নতুন বেনামী টুইটার একাউন্ট (@ এ্যানোনিমাসলিডার) বলেছে:
@: Libérez Charles Sanga, directeur du journal Le Patriote. Dans 24H nous publierons des documents de la DST ivoirienne #anonymous #cotedivoire
টুইটার একাউন্টটির দাবি অনুসারে ডিটিএস থেকে বের করা অভিযুক্ত ডিটিএসের গোয়েন্দাদের নামের এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গাড়ির লাইসেন্স প্লেট নম্বরের তালিকাসহ নথিপত্রগুলো পেস্টিবান.কম (যেখানে যে কেউ লেখা পোস্ট করতে পারে) পোস্ট করা হয়েছে। টুইটার একাউন্টটির শেষ বার্তাটি ছিল ১ ফেব্রুয়ারির।
চার্লস সাঙ্গার গ্রেপ্তার বিষয়ক এক লেখায় নর্ড-সুদ বলেছে [ফরাসী ভাষায়]:
A quand la fin de l’arrestation des journalistes pour leurs écrits en Côte d’Ivoire ? Le gérant et directeur de publication du quotidien Le Patriote, Charles Sanga, a été relâché, hier, après 24h de détention à la Direction de la surveillance du territoire (Dst), au Plateau. Ce, après une audition qui a duré plus de deux heures. (..) La situation a inquiété de nombreux hommes de presse qui se posent des questions sur la liberté de la presse sous le régime Ouattara.