এই প্রবন্ধটি মিশর বিপ্লব ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
মিশরের সামরিক পুলিশ, আরব বিপ্লবের প্রথম বার্ষিকীতে তাহরির স্কোয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করতে থাকা নাগরিকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তিউনিশিয়া্র সিদি বউজিদ শহরে বোয়াজিজি নামক এক ব্যক্তির নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা থেকে এই বিপ্লবের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠে। এই মূহুর্তে সেখানে কি ঘটছে তা নিজে প্রত্যক্ষ করে সে বিষয়ে সরাসরি সংবাদ প্রদানের জন্য মিশরীয় নেট নাগরিকরা সেখান উপস্থিত রয়েছে।
গত দুইদিন ধরে #অকুপাইক্যাবিনেট বা সংসদ দখল নামক বিক্ষোভে সংঘর্ষের ঘটনা বৃদ্ধি ঘটেছে। এ মাসের শুরুতে সামরিক বাহিনী থেকে মিশরের প্রধান মন্ত্রী হিসাবে কামাল এল গানজোরিকে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে কায়রোয় অবস্থিত প্রধান সংসদ কার্যালয়ের সামনে বিগত তিন সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা এই বিক্ষোভের ঘটনায় আট জন নাগরিক নিহত হয়েছে এবং ৩০০ জন আহত হয়েছে
নিয়োগ পাবার সাথে সাথে এল গানজোরি এক সংবাদ সম্মেলন করেন, তাতে তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন যে সামরিক বাহিনী শান্তিপূর্ন বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায়নি। এর মাত্র কয়েক মিনিট পরে বিক্ষোভকারীদের প্রতি পুরোমাত্রার এক হামলা চলানো হয়।
ওয়ানরেভুলুশন টুইট করেছে:
@নাগোল১: এখন এই মূহূর্তে #তাহরির স্কোয়ারে গণহত্যা সংঘঠিত হচ্ছে,#নাও#ইজিপ্ট, #নোস্ক্যাফ#মিডিয়াব্লাকউট
এবং সে আর্তনাদ করে উঠছে:
@নাগোল১:আমরা সেই স্কোয়ার হারিয়ে ফেলেছি!#তাহরির#ইজিপ্ট,#নোস্ক্যাফ!
সে ব্যাখ্যা করছে :
@নাগোল১: #তাহরির-এর বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য তাজা বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্কোয়ার থেকে যাতে সংসদ ভবনের দিকে না যাইতে পারে, তার জন্য বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের পিছু হটতে বাধ্য করে।
এবং সে স্থানে থেকে তিনি সব দৃষ্টিগোচর করেন:
@নাগোল১: যেখানে এই সংঘর্ষ চলছিল, আমি তার থেকে মাত্র তিনটি গলি পরেই অবস্থান করছিলাম। এটা ছিল তীব্র এক সংঘর্ষ।
শরীফ কোউদাস এখন তাহরির স্কোয়ারের থেকে এই এলাকার উপর উপর তোলা তার এই ছবিটি টুইটারে প্রদান করেছে এবং ব্যাখ্যা করেছে
:
@শরীফকোউদাস: সেনার স্কোয়ারে ঘোরাফেরা করছে। বাছবিচারহীনভাবে নাগরিকদের পেটানো হচ্ছ। শিবিরগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহরিরকে দেখে মনে হচ্ছে,এটা একটা যুদ্ধক্ষেত্র।
এই সাংবাদিক এর সাথে যোগ করেছে:
@শরীফকোউদাস:আমরা যে সমস্ত অ্যাপার্টমেন্টে অবস্থান করছি, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এই মাত্র সেখানে প্রবেশ করল এবং আমাদের কাছে থাকা ক্যামেরাগুলো নিয়ে নিল।
স্বাভাবিকভাবে, বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালানোর সময় সাংবাদিকরাও বাদ যায়নি। হায়াত আল ইয়ামানি নামক ভদ্রমহিলা টুইট করেছেন যে আল জাজিরার মুবাশ্বার নামক টিভি চ্যানেলের কয়েকজন সহকর্মী এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে।
@হায়াতএলইয়ামানী: সামরিক পুলিশ, আমার, আল জাজিরার মুবাশ্বার-মিশরের সহকর্মীদের গ্রেফতার করেছে, যারা ঘটনার শুরুতে এই ঘটনার দৃশ্য চলচ্চিত্রে ধারণ করছিল।
@হায়াতএলইয়ামানী: ঘটনা শুরুর সময় আমরা, যেখান থেকে ঘটনার দৃশ্য চলচ্চিত্র ধারণ করছিলাম, সামরিক পুলিশ সেই এলাকায় প্রবেশ করে এবং আমাদের যন্ত্রপাতি জব্দ করে, আর সাথে তিন সহকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
বেল ট্রিউও, সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি টুইট করেছেন। যখন সংঘর্ষের বিষয়টি উন্মোচন হচ্ছিল সে সময় করা তার উন্মাদনা ভরা উল্লেখযোগ্য টুইটের কয়েকটি এখানে প্রদান করা হল:
@বেল ট্রিউ: এই ময়দানের [স্কোয়ারে] তাঁবু গুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেনা সদস্যরা সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে এবং ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। যে আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি, নিশ্চিত নই যে সে গুলো গুলির আওয়াজ কিনা। #তাহরির জুড়ে এক বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে।
@বেলট্রিউ: বিক্ষোভকারীদের ধরে ধরে ধাওয়া করা হছে, রাস্তায় গাড়ি চলাচল করার মধ্যে তাদের ধাওয়া করা হচ্ছে। খুব বাজে একটা বিষয়। #তাহরির
এবং এ্যাডাম মাকারি দাবী করছে:
@এ্যাডামমাকারি:মাত্র দশ মিনিট আগে প্রধানমন্ত্রী গানজোরি বলেছিলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের হামলা চালানো হবে না।#ইজিপ্ট।
এবং এর সাথে যোগ করেছে:
@এ্যাডামমাকারি:সামরিক পুলিশ তাহরির এবং কাসর এল এইনে অবস্থান গ্রহণ করেছে- তারা সকল বাড়ীর ছাদে এবং সড়কের প্রবেশ পথে অবস্থান গ্রহণ করে, সব জায়গা রুদ্ধ করে রেখেছে। বেদনাদায়ক এক দৃশ্য।
এবং তিনি এই দৃশ্যও তুলে ধরেছেন:
@এ্যাডামমাকারি:এটাই এখন #তাহরিরের দৃশ্য, আমি নির্বাক#ইজিপ্ট#অকুপাইক্যাবিনেট
তিনি ব্যাখ্যা করেন:
@এ্যাডামমাকারি: সামরিক পুলিশের চোখের সামনে পড়া অত্র এলাকার সকল তাবু তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে, সকল গাড়ি ভাংচুর করেছে, সবকিছু……সকল কিছু তারা তছনছ করেছে।#ইজিপ্ট
এই প্রবন্ধটি মিশর বিপ্লব ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।