এটি ছিল ১৯৯৯ সাল এবং শরিফ আবদেল-আজিম কানাডায় ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার প্রকৌশলে পিএইচডি অধ্যয়ন শেষে মিশরে ফিরে আসেন। তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল নীতিজ্ঞান পড়াতেন এবং ছাত্রদের সামনে মিশর ও কানাডার দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য উল্লেখ করতেন।
আবদেল আজিম এবং তার ছাত্ররা রিসালা (মিশন) নামে একটি দাতব্য গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণের মাঝে সেবা প্রদান শুরু করল- বিনামূল্যে শিক্ষাদান এবং এতিম ও হাসপাতালে সেবা প্রদান করা।
এক বছর পর, তার একজন ছাত্র এতিমখানা তৈরীর পরামর্শ দিল। তার একজন আত্মীয়া ইমারত তৈরীর জন্য জমি প্রদান করল। সেই মুহুর্তে তারা দাতব্য প্রতিষ্ঠানটিকে রেজিষ্ট্রেশন করার সিদ্ধান্ত নিল-নাম দেয়া হলো রিসালা [আরবী ভাষায়]।
এগার বছর পর এটি মিশরের অন্যতম সর্ববৃহৎ দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সারাদেশে যার ৫০টির অধিক শাখা রয়েছে, দশ হাজারের বেশী স্বেচ্ছাসেবক এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম যেমন, রক্তদান ও এতিমখানা থেকে শুরু করে নিরক্ষরতা মুক্ত করা পর্যন্ত।
এবং আরো অনেক ধরনের।
গত মে মাসে, টেডএক্সকায়রো রিসালার প্রতিষ্ঠাতা শরীফ আবদেল-আজিমকে সংগঠন, ঘটনাসমূহ যা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন এবং সাধারণের স্বেচ্ছাসেবকতা সম্পর্কে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল [আরবী ভাষায়]।
২০০৮ সালে, আশরাফ আল সাফাকি, একজন ব্লগার যিনি রেসালার স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন, দাতব্য ও অর্থ সংগ্রহের জন্য বার্ষিক উদ্যোগ হিসাবে ব্যবহৃত কাপড় সংগ্রহের সম্পর্কে ব্লগ লিখেছিলেন:
গত বছর রমজান মাসে (২০০৭), রিসালা কায়রোর ৭টি শাখা ও আলেকজান্দ্রিয়ার ২টি শাখার মাধ্যমে মিশরের জনগণের কাছ থেকে ১ লক্ষ পিস ব্যবহৃত কাপড় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। গতবছর রমজানের শেষে, রিসালা তার লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রান্ত করেছিল এবং প্রকৃতপক্ষে ২ লক্ষ পিস ব্যবহৃত কাপড় সংগৃহিত হয়েছিল!
তিনি তখন লিখেছিলেন কিভাবে রিসালা ২০০৮ সালে লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে ৩ লক্ষ পিস কাপড় সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছিল। আবারো রিসালা লক্ষ্যকে অতিক্রান্ত করেছিল এবং ৩০ দিনের কম সময়ের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে ১০ লক্ষ পিস ব্যবহৃত কাপড় সংগ্রহ করেছিল।
রিসালার স্বেচ্ছাসেবকরা ৫ লক্ষ পিস দানকৃত ব্যবহৃত কাপড় বাছাই, ধৌত এবং ইস্ত্রি করেন। বাকী ১০ লক্ষ পিস দানকৃত কাপড় সমস্ত মিশর জুড়ে গরীব জেলাগুলোর দরিদ্র মানুষগুলোর বাড়ির কাছে ৩ দিনের ছোট মেলার মাধ্যমে খুব কম মূল্যে বিক্রয় করা হবে। প্রত্যেকটি পিসের দাম ৫০ সেন্ট থেকে ১ ডলার এর মধ্যে এবং মূল্যবান দামী কাপড় সর্বোচ্চ ৩ ডলার এর নীচে নির্ধারণ করা হয়।এর ফলে দরিদ্র পরিবারগুলো প্রদর্শনীতে তাদের প্রয়োজন মাফিক যে কোন সংখ্যক কাপড় বাছাই ও পছন্দের সুযোগ পাবে। এটি তাদের মধ্যে এমন একটি অনুভূতির সৃষ্টি করবে যে, তারা তাদের নিজের টাকায় কাপড় ক্রয় করছে।
ব্যবহৃত কাপড় বিক্রয়লব্ধ অর্থ রিসালার বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়, একই সঙ্গে অর্থ সংগ্রহের কাজ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।