এই প্রবন্ধটি সিরিয়া গণজাগরণ ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
যখন সিরিয়ার গণ জাগরণ আট মাসে পদার্পন করল, তখন একটিভিস্টরা নিজেদের সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাইছে যে এই ঘটনার থেকে উপর বিশ্বের মনোযোগ যেন সরে না যায়। সাম নিউজ নেটওয়ার্ক মাঠ পর্যায়ের এক জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা, যা সিরীয় বিপ্লবের সময় ক্রমশ বিস্তৃত হয়েছে এবং বিপ্লবের সংবাদ ফুটেজ প্রদান করেছে, তারা এক উদ্যোগে গ্রহণ করেছে। তারা সিরিয়ার বিক্ষোভকারীদের সাথে একাত্মতা প্রদান করে নাগরিকদের ভিডিও জমা দেবার আহ্বান জানিয়েছে। এই সমস্ত ভিডিও যে গুলো ইউটিইউবের সিরিয়ানসিটইন নামক একাউন্টে পোস্ট করা হবে, সে ভিডিও গুলো হবে একটি বিবৃতির নানা সংস্করণ হবে:
আমি সিরিয়ার নাগরিকদের সাথে নিজের একাত্মতা ঘোষণা করছি। সিরিয়ার নিরস্ত্র নাগরিকদের প্রতি সেদেশের সরকার যে নির্মমতা প্রদর্শন করেছে এবং তাদের হত্যা করছে, আমি তাদের প্রত্যাখান করছি। যেহেতু নিরব থাকার অর্থ হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডে সম্মতি প্রদান, সে ক্ষেত্রে আমি ইউটিউবে সিরিয়ার জন্য সিরিয়ান-সিট-ইন (অবস্থান ধর্মঘটে )-এ নিজের অংশ গ্রহণের কথা ঘোষণা করলাম।
এই ভিডিওতে [আরবী ভাষায়], ইজরায়েলের দখলকৃত গোলান মালভূমি থেকে এক সিরীয় নাগরিক এই গণ জাগরণের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করছে:
আলজেরিয়ার এক তরুণী, যার পেছনে সিরিয়া এবং তার নিজ দেশের পতাকা রয়েছে, সে এই গণ জাগরণের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করছে [আরবী ভাষায়]:
মূলত ইংরেজী এবং আরবী ভাষায় ভিডিও জমা দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল।জমা পড়া কয়েকটি ভিডিওতে জমাদানকারীরা ক্যামেরার উল্টো দিকে মুখ করে রেখেছিল অথবা তারা মুখোশ পড়েছিল, ধারণা করা হচ্ছে, উক্ত ব্যক্তিরা সিরিয়ার নাগরিক এবং তারা চায় না তাদের পরিচয় উন্মোচন হয়ে পড়ুক। বেশীর ভাগ ভিডিও জমাদানকারী বিবৃতি মোতাবেক ভিডিও জমা প্রদান করেছে, তবে অনেকে এই ক্ষেত্রে নিজস্ব চিন্তা বা শুভ কামনা যুক্ত করেছে। এখন পর্যন্ত সারা আরব বিশ্ব, এবং একই সাথে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, আইসল্যান্ড এবং কানাডা থেকে প্রায় ২৫০ টির মত ভিডিও জমা পড়েছে।
কানাডার টরোন্টো থেকে ‘দি আগলি ট্রুথ’ এই গণ জাগরণের প্রতি একাত্মতা প্রদর্শন করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে:
আইসল্যান্ডের এক সংসদ এবং ন্যাটোর সংসদীয় কমিটির সদস্য ব্রিজিতা জোনসডোট্টির-এর সমর্থনে একটি ভিডিও প্রদান করেছে:
“সিরিয়ার যে সমস্ত সাহসী নাগরিকরা, সকল কষ্ট সত্ত্বেও, যে ভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে, সে কারণে তাদের সাথে নিজেকে একাত্ম ঘোষণা করলাম এবং তাদের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করলাম।”
সিরিয়ান-স্প্যানিশ নাগরিক এবং গ্লোবাল ভয়েসেস-এর লেখিকা লেইলা নাচেওয়াতিও তার প্রচেষ্টা এখানে যুক্ত করেছে:
“আমি সিরিয়ান সিট-ইনে যোগ দিয়েছে কারণ, যে সমস্ত নাগরিকরা স্বাধীনতা এবং ন্যায় বিচার এবং মানবাধিকারে বিশ্বাস করে, তাদের সিরিয়ার নাগরিকরা অনুপ্রাণিত করছে। আর আমি আমার স্বদেশী সিরিয়ার নাগরিকদের জন্য আমি গর্বিত এবং সিরিয়ার সরকার যে নির্মমতা প্রদর্শন তাতে আমি আতঙ্কিত।”
যারা সিরিয়ার সিট-ইন-এ যোগ দিতে চায়, তারা এতে অংশগ্রহণ করতে পারে, এ জন্য তাদের ভিডিও SyrianHub@Gmail.com- এই ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
এই প্রবন্ধটি সিরিয়া গণজাগরণ ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।