- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মিশর : বিপ্লব পরবর্তী মিশরে সামরিক আদালতে বিচারের উপর স্বাধীন বক্তব্য

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., মিশর, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, তাজা খবর, নাগরিক মাধ্যম, প্রতিবাদ, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, রাজনীতি

এই প্রবন্ধটি মিশর বিপ্লব ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ [1]

মিশরের ব্লগার, বাক স্বাধীনতাকামী এবং মানবাধিকার কর্মীরা আজ রুদ্ধশ্বাসে মিশরের সামরিক আদালতে দুই ব্লগারের বিচারের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে। মাইকেল নাবিল সানাদ-এর আজ বিচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একই সাথে এক সামরিক আদালতের বিচারক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে যে আলা আব্দে এল ফাত্তাহকে ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি তাকে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত স্থগিত রযেছে, যার রক্ষাকারীরা বলছে যে, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সব অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে।

লুইস লোভালাক আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে:

@লেলোভালাক [2]:মিশরের বাক স্বাধীনতার জন্য এক গুরুত্বপূর্ন দিন, #ইজিপ্ট [3]: আদালতে #মাইকেনাবিলের [4] মামলার শুনানি এবং #আলা [5] আব্দেলফাত্তাহের তদন্ত কার্যক্রম উভয়ে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সারাহ আব্দেলরাহমান ব্যাখ্যা করছে :

@সারাহওয়ার্ল্ড [6]:আজকের দিনটা বড় জটিল এক দিন। মাইকেল নাবিলের মামলার রায় প্রদান করা হবে। আবার আজই আলা আব্দেলফাত্তাহ-এর অপরাধের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

হোসাম ঈদ এই শুনানীর ক্ষেত্রে প্রভাব সৃষ্টির জন্য অভিযুক্তদের প্রতি সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে। সে টুইট করেছে:

@ঈদএদইচ: [7] যদি আপনি, আলা এবং সামরিক আদালতে যে সব বেসামরিক মিশরীয় নাগরিকদের বিচার চলছে তাদের সমর্থনে এস-২৮ নামক জায়গায় এসে উপস্থিত হন, তাহলে এক দারুণ ব্যাপার হবে।

এবং রাশা আবদুল্লাহ এই মামলা যে আদালতে অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে যাবার জন্য রওনা দিয়েছেন। তার সাথে রয়েছেন আব্দে আল ফাত্তাহ-এর স্ত্রী, যে কিনা নয় মাসের গর্ভবতী। তারা সি২৮-এতে যাবে, যা সামরিক বিচারকের প্রধান কার্যালয়।

@রাশাআবদুল্লাহ [8]: এখন এস-২৮ যেখানে আলার মমলার শুনানি হবার কথা, সেখানে যাবার পথে @মানাল [9] @আজ্জা_শাবানকে [10] নিয়ে নেব। নাসর সিটি নামক যে এলাকায মাইক্রোবাস থামে, সেখানে এসে সবাই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সানাদ এবং আব্দে আল ফাত্তাহ সামরিক আদালতের সামনে নিজের বিচার প্রত্যাখান করেছে। যে দিন মিশরের রাষ্ট্রপতি পদ থেকে হোসনি মুবারক অপসারিত হল, তার পরের দিন সানাদকে গ্রেফতার করা হয় [11]এবং তার ব্লগে প্রকাশিত তাঁর নিজের লেখা জন্য তাকে এপ্রিল মাসে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

সানাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে সামরিক বাহিনীকে অপমান করেছে, তার নিজের ব্লগে সে এই বাহিনী সম্বন্ধে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে এবং জন নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে। গত মাসে সর্বোচ্চ সামরিক আপীল আদালত তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খারিজ করে দেয়, কিন্তু তারা সানাদকে মুক্তি প্রদান করেনি। এরপর সানাদ অনশন শুরু করে, কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে তাকে পাগলা গারদ-এ পাঠিয়ে দেয়।

কারাগারে ফিরিয়ে আনার পরও সানাদ তার অনশন চালিয়ে যেতে থাকে এবং সামরিক আদালতে নিজের বিচার প্রত্যাখান করে যেতে থাকে। সে আব্দে আল ফাত্তাহ-এর মত একই অবস্থান গ্রহণ করেছে, যে ফাত্তাহকে ৩০ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় [12] সামরিক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে অস্বীকার করার জন্য। ফাত্তাহ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, সে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিন্দাসূচক বক্তব্য প্রদান করেছে, সেনাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে এবং সামরিক বাহিনীর যন্ত্রপাতির ক্ষতি সাধন করেছে।

এ বছরের ২৮ জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত ১২,০০০ হাজার বেসামরিক নাগরিকের বিচার কার্যক্রম সামরিক আদালতে করা হচ্ছে।

এই প্রবন্ধটি মিশর বিপ্লব ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ [1]