এই পোস্টটি তিউনিশিয়া বিপ্লব ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ [1]।
সারা বিশ্বে যে অকুপাই মুভমেন্ট নামক আন্দোলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, মূলত সেই অকুপাই ওয়াল স্ট্রীট এবং সারা বিশ্বের এক সম্মিলিত আন্দোলন অকুপাই দি ওয়ার্ল্ড অন ১১/১১/১১ [2] নামক আন্দোলনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিউনিশিয়ার শত শত পুঁজিবাদ বিরোধী নাগরিক ১১ নভেম্বর #অকুপাইতিউনিশ [3] নামক আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাস্তায় স্লোগান দিতে থাকে।
#অকুপাইতিউনিশ নামক আন্দোলন রাজধানী তিউনিশের মূলকেন্দ্রে মানবাধিকার স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। এই এলাকায মূলত অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকগুলো একে অন্যের সাথে ঘেঁষাঘেঁষি করে অবস্থান করছে।
ডেজারবা দক্ষিণ তিউনিশিয়ার এক শহর এবং সোউসে হচ্ছে এক উপকূলীয় শহর। এই দুটি শহরেও পুঁজিবাদ বিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে রাজধানী তিউনিসে যে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে তা অনেক বেশী মনোযোগ এক আকর্ষণ করেছে, কারণ এটি ছিল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে এর পরিসমাপ্তি ঘটে।
আমাজিঘ ফরএভার টুইট করেছে: [6]
#অকুপাইতিউনিশ; তিউনিশ এবং ডেজেরবাতে বিক্ষোভকারী সমাবেত হয়েছে, এখানে তারা এই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে কেবল রাজনীতি স্বাধীনতার শত্রু নয়, অর্থনীতিও স্বাধীনতার শত্রু।
এই বিক্ষোভ সমাবেশে তারা “পুঁজিবাদকে না বলুন”, “এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলুন”, “আইএমএফ এ দেশ ছেড়ে চলে যাও” , “ মার্ক্স ঠিক বলেছেন”, এই সমস্ত স্লোগান প্রদান করে।
নীচের ইউটিউব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা স্কোয়ারে সমবেত হবার আগে কেন্দ্রস্থলে দিকে রওনা দিচ্ছে। পরে তারা এই স্কোয়ারে সমাবেত হয়ে স্লোগান দেয়, “ জনতা ঋণের শেষ দেখতে চায়”, তারা মূলত তিউনিশিয়ার গ্রহণ করা ঋণের ব্যাপারটি উল্লেখ করে এই স্লোগান দেয়। এর সাথে তারা স্লোগান দেয়, “জনতা ওয়াল স্ট্রিটের পতন দেখতে চায় এবং কর্মসংস্থান, স্বাধীনতাকে হ্যাঁ বলুন, এবং ঋণ গ্রহণকে না বলুন”।
#অকুপাইতিউনিশ নামক বিক্ষোভ এক সময় সংঘর্ষে পরিণত হয়, যখন পুলিশ এই সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করার উদ্যোগ নেয়। সামাজিক প্রচার মাধ্যমের সংবাদ অনুসারে, পুলিশে সে সময় লাঠি এবং কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করে, এবং সব শেষে তারা বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে।
@কেফতেজি [7]: আমি তিউনিশের কেন্দ্রস্থলে দাঙ্গা দমনকারী উপাদান হাতে পুলিশকে প্রায় ২০০ জন #অকুপাইতিউনিশ নামক বিক্ষোভকারীদের তাড়া করতে দেখেছি। #ওডাব্লিউএস #অকুপাইতিউনিস
تظاهرة “احتلال تونس” انتهت بقمع المتظاهرين بالعصي و الغاز المسيل للدموع #OccupyTunis #Tunis
@beirutelabdi [9]:أنباء عن اعتقال بعض الشباب المشاركين في تظاهرة “احتلال تونس”ـ #OccupyTunis #Tunis
@তিউনিশ _লাইভ [10]: শুরুতে পুলিশ প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা চালিয়েছিল, কিন্তু এখন বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। #তিউনিস#তিউনিশিয়া#অকুপাইওয়ালস্ট্রিট,
যদিও বিক্ষোভকারীরা সংখ্যা স্বল্প, কিন্তু বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি সবার নজর এড়িয়ে যায়নি:
@Liliopatra [12]: La police a dispersé tout le monde… #occypyTunis #Tunisie
@MedAliSouissi: [13] il parait bien que #OccupyTunis a été Occupied by la police #Tunisia #Occupation
তিউনিশিয়ার মূল ধারার প্রচার মাধ্যম #অকুপাইতিউনিশের সংবাদ তেমন একটা প্রচার করেনি। তবে এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল কযেকটি অনলাইন ম্যাগাজিন। যেমন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এই বিক্ষোভের ঘটনার উপর কোন সংবাদ প্রকাশ করেনি, অথবা বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ যে সমস্ত উপাদান ব্যবহার করেছে, সে বিষয়ে কোন সংবাদ প্রদান করেনি।
হিশাম জাওয়াদি টুইট করেছে [14]
Aucun mot au JTV #TTN sur #OccupyTunis et l'intervention violente des forces de l'ordre!
প্রচার মাধ্যমে কোন সংবাদ না প্রকাশিত না হওয়া এবং এই হামলা সত্ত্বেও, কেউ কেউ #অকুপাইতিউনিশের ইতিবাচক স্মৃতিতে উত্সাহিত।
খালিল চাটউয়ি টুইট করেছে [15]
Occupy Tunis : j'y étais c'était magnifique #occupytunis
এই পোস্টটি তিউনিশিয়া বিপ্লব ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ [1]।