১১-১১-১১: ক্যামেরা হাতে নিন এবং জীবনের ছবি ধারণ করুন

১১/১/১১ তারিখের আর মাত্র এক দিন বাকি। এটি হবে এমন একটি দিন, যে দিনে সারা বিশ্বের কিছু নাগরিক তাদের জীবন চলচ্চিত্র এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে ধারণ করবে। ১১ ইলেভেন প্রজেক্ট এবং ওয়ান ডে অন আর্থ নামক প্রকল্পে অংশ গ্রহণ করুন এবং পৃথিবীর এমন একটি দিনে নিজের চিহ্ন রেখে যান।

সিসিবাই ছবি নাসা গোডার্ড ফোটো এবং ভিডিও

গ্লোবাল ভয়েসেস ১১ ইলেভেন প্রজেক্ট নামক প্রকল্পের সাথে যুক্ত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য মানব জীবনের অভিজ্ঞতার কিছু মুহূর্তকে ধারণ করতে সাহায্য করা। আমাদের জীবন কতটা আলাদা এবং কতটা অভিন্ন বলে প্রতীয়মান? সারা বিশ্বে এবং বিভিন্ন ভাষার মধ্যে দিয়ে, ১১ নভেম্বর ২০১১ তারিখে ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন দৃশ্য ধারণ করা হবে, যা এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে সাহায্য করবে।

১১ ইলেভেন নামক প্রকল্পের জন্য ১১ টি ভিন্ন বিষয় ঠিক করা হয়েছে, যে গুলোর উপর আপনারা মনোযোগ প্রদান করতে পারেন, আরাম্ভ, থামা (হার্টব্রেক), শুভ কামনা, বিশ্বাস, দিনলিপি [রুটিন], পানি, সাহস, ক্রীড়া, অন্ধকার, সৌন্দর্য এবং ভালবাসা। আর এই সব শুরুর বিষয়ের উপর ১১ নভেম্বরে ২০১১ -এ তৈরি করা ছবি, গান, শব্দ, ভিডিও, অনলাইনের উপাদান ইত্যাদি তারা গ্রহণ করবে। এরপর এগুলো দিয়ে বিশ্ব সঙ্গীতের এক সংগ্রহশালা, দুই ঘণ্টার এক তথ্য চিত্র এবং একটি ছবির বই তৈরি করে তা সারা বিশ্বে সরবরাহ করা হবে।

এগুলোকে ইন্টারনেটে আপলোড করতে হবে এবং সেগুলোকে #১১ইলেভেনলাইভ নামক হ্যাশট্যাগের সাথে যুক্ত করতে হবে। নিচের ভিডিওতে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে:

গ্র্যামি পুরষ্কার বিজয়ী গায়ক ইমোজেন হিপ, এক্সিকিউটিভ মিউজিক প্রোডিউসার (নির্বাহী সঙ্গীত প্রযোজক) হিসেবে এই দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। তিনি এই তথ্যচিত্রের জন্য সঙ্গীত তৈরি করবেন এবং একই সাথে সারা বিশ্ব থেকে যে সমস্ত সঙ্গীত সংগ্রহ করা হবে, তিনি সেই সঙ্গীত বাছাইকারী দলের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন।

সঙ্গীত, ছবির বই এবং তথ্যচিত্র তৈরির পর, সেগুলো বিক্রির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দাতব্য এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে কাজে লাগানো হবে, যার মধ্যে গ্লোবাল ভয়েসেস-ও অর্ন্তভুক্ত।

এই নিয়ে পর পর দ্বিতীয় বার একটি বিশেষ দিনে সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে। গত বছর ১০-১০-১০ তারিখে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যা ঘটেছে তা ধারণ করা হয়েছিল। আর এর মধ্যে একটি বিশ্ব সংযুক্ত ভিডিও সংগ্রহশালা (জিও ট্যাগ) এবং একই সাথে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে, যা ধাপে ধাপের বিশ্বের সকল দেশে প্রদর্শিত হবে। আর এর জন্য এই সংগঠনের সাথে যুক্ত জাতিসংঘকে ধন্যবাদ।

নীচের ভিডিওতে পর্দার অন্তরালের কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে, যে কি ভাবে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হল এবং এখানে কিছু কিছু তথ্যচিত্র যেমন, উত্তর কোরিয়া এবং কসোভোর একটি বিবাহ অনুষ্ঠানের প্রাপ্ত দৃশ্যকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।

নীচে এই তথ্যচিত্রের একটি সার-সংক্ষেপ ভিডিও রয়েছে, যা একই দিনে সারা বিশ্ব থেকে সংগৃহীত কিছু ফুটেজের প্রদর্শন।

আপনারা নভেম্বর ১১ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই উভয় প্রকল্পে অংশ গ্রহণ করতে পারেন। এর জন্য আপনার নাম নিবন্ধন করুন, আপনার ক্যামেরা চালু করুন, এই দিনের ঘটনা ধারণ করুন এবং আপনার সংগৃহীত উপাদান আপলোড করুন। এই বিষয়ে আরো তথ্যের জন্য বিশ্বে একটি দিন এবং ১১ ইলেভেন প্রজেক্ট নামক প্রকল্পের সাইটে প্রবেশ করুন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .