অ্যাপল কোম্পানির ভবিষ্যদ্রষ্টা নেতা স্টিভ জবসের মৃত্যুতে আরব বিশ্ব শোক প্রকাশ করেছে। যখন নেট নাগরিকরা তার মৃত্যুর সংবাদে সকালে জেগে উঠে, তখন সামাজিক প্রচার মাধ্যমে তার প্রতি সবাই একের পর এক শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে থাকে।
সৌদি আরব থেকে আজিজ সাহলান টুইট করেছে [আরবী ভাষায়]:
মিশরীয় নাগরিক আহমেদ নাগিব লিখেছেন:
@আহমেদনাগিব: আজকে ইন্টারনেটের সবটা জুড়ে স্টিভ জবস। আর এতে প্রমাণ হয় #স্টিভ জবস কতটা প্রভাবশালী ছিলেন।
আর সাদেন ফাওয়াজ, যিনিও মিশরের নাগরিক, তিনি এর সাথে যোগ করেছেন:
@সাদেনফাওয়াজ: “স্টিভ জবস এক অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করে, তাকে দত্তক সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে, পড়া সমাপ্ত না করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আসেন, এরপর সে বিশ্বকে পাল্টে ফেলে। আপনার অজুহাত কি?”
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সালেহ আল বারিক লিখেছেন:
@ফেয়ারলেসদুবাই: # আমাদের প্রজন্মকে স্বপ্ন ত্যাগ না করার প্রেরণা দেবার জন্য স্টিভ আপনাকে ধন্যবাদ। #আরআইপিস্টিভ
কিন্তু এতে যদি ধর্ম যুক্ত না করা হয়, তাহলে তা মধ্যপ্রাচ্য নয়।
মিশরীয় নাগরিক বাসেম সাবরী আমাদের জানাচ্ছে [আরবী ভাষায়]::
ডালিয়া ক্ষোভের সাথে বলছে :
@ডালুশ: প্রিয় #সালাফি: যদি আপনি স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা থেকে স্টিভ জবসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের বিষয়ে ফতোয়া জারী করতে চান, তাহলে তা আইফোন থেকে করবেন না।#রিডিকুলাস।
জর্ডানের ব্লগার রোবা আল আসির জন্য এই মৃত্যু, অনেক বেশী ব্যক্তিগত। সে ব্লগ করেছে:
কিছুক্ষন আগে আমার এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করে যে কোন সেলিব্রেটির মৃত্যুতে আমি কাঁদব কিনা। আমি বললাম, না আমি অবশ্যই কাঁদব না।
কিন্তু এই সপ্তাহে, আমি স্টিভ জবসের মৃত্যুর মত ভায়াবহ সংবাদ শুনে জেগে উঠলাম।
এবং আমি কেঁদে ফেললাম।
স্টিভ কোন সেলিব্রেটি ছিল না। সে ছিল এমন একজন মানুষ যে বিশ্বকে পাল্টে দিয়েছিল।
আমি কেবল একজন অসাধারণ মেধাবী মানুষের বিদায়ে কাঁদিনি, আমি মৃত্যুর জন্য কেঁদেছি, ক্যান্সারে একজনের মৃত্যুতে কেঁদেছি, লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর জন্য কেঁদেছি। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৬ বছর। আমি মনে করি না আমার এখানে এই বিষয়টি উল্লেখ করার দরকার ছিল, কিন্তু তিন বছর আগে লিভার ক্যান্সারে আমরা আমাদের পিতাকে হারিয়েছি। এটা ছিল এক হঠাৎ করে আসা এক মৃত্যু। সে সময় আমার পিতার বয়স ছিল ৫৩ বছর। আরেকজন অসাধারণ, দয়ালু মানুষ, চিরতরে হারিয়ে গেল।
শান্তিতে ঘুমাও স্টিভ জবস।