এই প্রবন্ধটি সিরিয়া বিক্ষোভ ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
তিউনিশিয়ার অনুষ্ঠিত তৃতীয় আরব ব্লগার সম্মেলন-এ অনেক অংশ গ্রহণকারীর চিন্তায় এবং মুখে সিরিয়ার নাম উচ্চারিত হয়েছিল। তিউনিশিয়া ও মিশর বিপ্লবের চেতনা, সিরিয়ার আলোচনাকে হতোদ্যম করে ফেলে, যেখানে শাসকের দমন ক্রমশ বাড়ছে। ইতোমধ্যে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩,০০০ জনে পরিণত হয়েছে এবং অনেকে এই পরিস্থিতির শেষ কথায় তা দেখতে পাচ্ছে না।
এই সম্মেলনে বেশ কয়েকটি সভায় সিরিয়া নিয়ে আলোচনায় হয়েছে। বুধবারে ব্লগাররা সিরিয়ার ডিজিটাল এক্টিভিজম নিয়ে আলোচনা করেছে, বিশেষ করে তার সিরিয়ার ইলেক্ট্রনিক আর্মি সম্বন্ধে, সরকার-পন্থী এই হ্যাকিং গ্রুপ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট হ্যাক করে ফেলে, এতে আমিরা আল হোসাইনির মন্তব্য হচ্ছে, “তারা অসুস্থ”।
সিরিয়ার এক অংশগ্রহণকারী বর্ণনা করেছে যে সেখানে ডিজিটাল কার্যক্রম খুব সামান্য। @ওয়ড্ড্যাডি মন্তব্য করেছেন যে “#সিরিয়ার অনেক ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমের কার্যক্রম বিদেশী প্রচার মাধ্যমে প্রকাশে প্রচণ্ড সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেগুলোকে স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠিত করা হয় না।
এখানে সংবাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সিরিয়ার অভ্যন্তরে অবস্থান করা কিছু সিরীয় ব্লগাররা প্রবাসী নাগরিকদের কণ্ঠস্বরের বৈধতা দানের উপর গুরুত্ব প্রদান করে, যেমনটা @রেডরাজান টুইট করেছে:
সিরিয়ার অভ্যন্তরে যে কণ্ঠস্বর সেটিকে গ্রহণযোগ্য মানা, আর সিরিয়ার প্রবাসীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়, কি বিচিত্র এক ভাবনা#সিরিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরিয়ার এক অংশগ্রহণকারীর বক্তব্য উদ্ধৃতি করে @আহমেদ টুইট করেছে:
কি ভাবে প্রবাসী সিরীয় নাগরিকরা সিরিয়ার অভ্যন্তরে চলতে থাকা বিক্ষোভে সাহায্য করতে পারে? সাহায্য করার কোন উপায় আছে কি? #এবি১১
এছাড়াও ব্লগাররা সিরিয়ায় বিক্ষোভ সংগঠিত করার বিষয়ে আলোচনা করেছে, যেখানে বিক্ষোভ খুব দ্রুত ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং সেখানে অন্দোলন করার বিষয়টি সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। @আহমেদ, সিরীয় অংশগ্রহণকারীদের মন্তব্যের অনুবাদ এবং প্রতিলিপি তৈরি করেছে, এখানে প্রতিবাদ আয়োজন করার ক্ষেত্রে যে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সে বিষয়টি উল্লেখ করেছে এবং চিহ্নিত করেছে যে, সিরীয় নাগরিকরা দ্রুত এক বিক্ষোভের আয়োজন করে, দ্রুত ২ মিনিটের মধ্যে এক বিক্ষোভ সংগঠিত করা ও তার চিত্রায়ন করা এবং আপলোড করা হয়।
সিরিয়া “ আমার হৃদয়তন্ত্রীতে বাজছে”
বৃহস্পতিবার সকাল বেলা, সিরিয়ার কিছুদিন কাটিয়ে আসা এক সিরীয় অংশগ্রহণকারী দেশটির ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির বর্ণনা প্রদান করেছে। তার পরপরই জর্ডানের ব্লগার নাসিম তারওনাহ (@তারওনাহ) উল্লেখ করেন :
হাত নামান#সিরিয়া হচ্ছে #এবি১১ এর সবচেয়ে আবেগপ্রবণ আলোচনার বিষয় এবং জর্ডানের এক নাগরিক হিসেবে তা আমার হৃদয়ের তন্ত্রীতে ধ্বনিত হচ্ছে। #ব্লেসসিরিয়া
এখানে বক্তব্য উপস্থাপকের এক উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন যে, সাত মাস পার হয়ে গেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন বিরোধী দল এই শাসকের ক্ষমতা শৃঙ্খল ভাঙ্গার ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারেনি। তিনি প্রশ্ন করেছে “এখান থেকে আমরা কোথায় যাব”?
সিরিয়ান-স্প্যানিশ ব্লগার লেইলা নাচাওয়াতি উক্ত বক্তার বক্তব্য উদ্ধৃতি করেছে, সে ব্যাখ্যা করেছে:
সিরিয়ার অংশগ্রহণকারী ব্যাখ্যা করছে, কি ভাবে সিরীয় সরকার এক গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে দেবার জন্য সম্প্রদায়গত উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
যদিও পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর, তারপরেও সিরিয়ার উক্ত বক্তা আলোচনায় আশার বাণী শুনিয়েছে। লিলিয়ান উয়াগডি-এর মতে, ব্লগার দাবী করেছেন যে #সিরিয়ার একমাত্র আশা হচ্ছে #ইজিপ্ট ওরফে মিশরের বিপ্লব, যা সফল ভাবে সমাপ্ত হয়েছে। আর সিরিয়ার নাগরিকরা একসাথে যৌথ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায় না, তারা একসাথে বাঁচতে চায়।
এই প্রবন্ধটি সিরিয়া বিক্ষোভ ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ ।