কোস্টারিকা: মেঘবনের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

এই পোস্টটি আমাদের আমাজন অরণ্যবৈশ্বিক উন্নতি ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশবিশেষ।

মন্টেভার্দ নাউ প্রকল্পে সংক্ষিপ্ত ভিডিও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মন্টেভার্দ সমাজের ১১ জনের বিবৃতি তুলে ধরা হযেছে যেখানে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাদের জীবন কিভাবে রুপান্তরিত হয়েছে এবং এ বিচিত্র ও সংবেদনশীল বাস্তুসংস্থানের সাথে তাদের কিভাবে খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করেছেন।

The key players of Monteverde Now.+

এবার মন্টেভার্দ প্রকল্পের মূল চরিত্ররা

মন্টেভার্দ কোস্টারিকার উত্তর-পশ্চিম পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি মূলত: সংরক্ষিত মেঘবনের জন্য খ্যাত যেটিও মন্টেভার্দ নামে পরিচিত। মন্টেভার্দ নামের অর্থ সবুজ পর্বত এবং এই নাম প্রায় ৬০ বছর আগে এ স্থানে বসতি গড়া কোয়েকার জনগোষ্ঠী দিয়েছিল। পানি নিষ্কাশনের পথ বাঁচাতে এবং এ বনের স্বতন্ত্র প্রাণিকুলকে রক্ষা করতে স্থানীয়দের উদ্যোগের কারণে এই মেঘবন আজ সংরক্ষিত ঘোষণা করা হযেছে।

লাকি ও উল্ফ গুইনডন দম্পতি হচ্ছে প্রথম কোয়েকার গ্রুপের অংশ যারা ১৯৫১ সালে এই পর্বতে নিজেদের ঘর গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এবং তারা তাদের আগের দিনের কথা ও এবং বর্তমান পর্যটনের বিকাশের কথা বলেছেন যেটা তারা প্রত্যাশা করেননি এবং উৎসাহ ও দেননি:

যদিও এ অঞ্চলটি মূলত দুগ্ধ উৎপাদন ও পনির উৎপাদনের অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল, এখন এ সম্প্রদায়ের মূল জীবিকা ধারণের উপায় হচ্ছে পর্যটন কারণ এ কুয়াশাচ্ছন্ন পর্বতশ্রেণীর ঠান্ডা ও সেঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বেড়ে ওঠা নানা প্রাণী যেমন উজ্জ্বল কেটজাল ও তিন কঞ্চির বেলবার্ড এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ দেখতে প্রচুর মানুষের আগমন ঘটে। এ প্রকল্পের অন্যতম সাক্ষাৎকারটি হচ্ছে প্রকৃতি প্রদর্শক মারিয়া সান্জ এর যেখানে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন কিভাবে অঞ্চলভেদে প্রাণীকুলের ধাঁচ ও পরিমানের উপর প্রভাব ফেলছে এবং উপকূল অঞ্চলের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে কিভাবে নিম্ন এলাকার প্রাণীরা ঠান্ডা আবহাওয়ার খোঁজে উচ্চ অঞ্চলে চলে আসছে সেটি বলেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে এখন মেঘবনের প্রাণীরা কোথায় যাবে? কারণ তারা এরইমধ্যে সবচেয়ে উঁচু জায়গায় বসবাস করে:

পরিবর্তন খুব সহজে আসেনি, প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার লক্ষ্যে মানুষরা তাদের ঐতিহ্য ও ধারণার পরিবর্তন করতে বাধ্য হযেছে। এলাদিও ক্রুজ এর জন্ম এ অঞ্চলেই এবং এখানেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। বর্তমানে এই সংরক্ষণ উদ্যোগের অংশ এবং মেঘবন রক্ষার্থে গঠিত সংগঠনের একজন সদস্য হিসেবে তিনি বলেন যে সংরক্ষণ উদ্যোগ সম্পর্কে জানার আগে তিনি যা করেছেন, মেঘবন সংরক্ষণ এর উদ্যোগে সামিল হওয়ার পর তিনি যা করছেন তার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। তার ভাষ্যে, “আমিই ছিলাম প্রকৃতির একজন বিশাল বিনাশকারী, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।”:

সৌভাগ্যবশত, আজকাল পরিবেশ সম্বন্ধে মানুষের সচেতনতা অনেক বেড়ে গেছে। কার্লোস নায়িরিন বলেন যে কিভাবে কয়েকজন স্কুলছাত্র পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্রচুর পরিমান আবর্জনাকে শক্তিতে রূপান্তর করার পদক্ষেপ নিয়েছে। মন্টেভার্দ এ পাহাড় থেকে আবর্জনা ট্রাকে করে পরিষ্কার করে নিতে হয় এবং এর খারাপ দিক হলো মানুষরা বাধ্য হয় এ আবর্জনার বিহিত করতে এবং পরিশ্রম বাঁচাতে মানুষ বর্জ্য যেমন ব্যবহত তেলের ক্ষতিকর উপায়ে নিষ্পত্তি ঘটাচ্ছে। এখন কেবল মাটিতে ফেলে নষ্ট না করে হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট থেকে ব্যবহত তেল স্কুলছাত্রদের কাছে পাঠানো হচ্ছে এবং তারা তাদের প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ তেলকে জৈব জ্বালানিতে পরিনত করছে, যার সাহায্যে তারা তাদের স্কুলবাস গুলি চালাতে পারছে:

অন্যান্য যাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হযেছে যারা এ পরিবর্তনের কথা বলেছেন যা ধীরে ধীরে মন্টেভার্দ এর রূপান্তর ঘটাচ্ছে তারা হচ্ছেন: একজন খামারি, একজন জীববিজ্ঞানী। একজন সফর চালনাকারী, একজন রাখাল, একজন শিক্ষাবিদ, একজন গবেষক এবং একজন কফি চাষী

এবার মন্টেভার্দ প্রকল্পটি হচ্ছে মন্টেভার্দ প্রতিষ্ঠান ও কোস্টারিকায় অবস্থিত জাতিসংঘ বাধ্যতামূলক শান্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের প্রবন্ধ। তাদের সাইটে আপনি এ প্রকল্প সম্বন্ধে এবং মেঘবন রক্ষার্থে করনীয় সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন এবং এটি (ভিডিও সহ) স্প্যানিশ ভাষাতেও রযেছে।

এই পোস্টটি আমাদের আমাজন অরণ্যবৈশ্বিক উন্নতি ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশবিশেষ।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .