১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১-এ ইরানের এভিন কারাগারে ৫০ টি বেত্রাঘাতের পর ইরানের নারী ব্লগার সোমাইয়ে তৌহিদলো তার ব্লগে এই কথা গুলো লিখেছে [ফার্সী ভাষায়]:
আপনারা সুখী হউন, যারা আমাকে অপমান করতে চেয়েছেন। আমি স্বীকার করছি যে এখন আমার পুরো শরীর অপমানে জর্জরতি।
সোমাইয়ে ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, প্রার্থী মীর হুসেন মৌসাভী-এর পক্ষে সক্রিয় ভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করছিল, এবং ২০০৯ সালে যখন ইরানে এক গণ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সে সময় তাকে ৭০ দিনের জন্য কারাগারে বন্দী রাখা হয়। পরে জামিনে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, কিন্তু ঘটনাক্রমে তাকে বেত্রাঘাত করা হল।
গ্রীন সিটি লিখেছে [ফার্সী ভাষায়]:
ইরানে সোমাইয়ে তৌহিদলোর মত পিএইচডি ডিগ্রীধারীকে বেত্রাঘাত করা হয়, সেখানে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতারণা ঘটনা ঘটেছে [ লেক উরমিয়া নামক হ্রদের ঘটনায়] এবং এই প্রতারণার ঘটনায় কাউকে শাস্তি প্রদান করা হয়নি।
গোমানামিয়ান ব্লগ লিখেছে [ফার্সী ভাষায়]:
সোমাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, সে আহমাদিনেজাদকে অপমান করেছে… আমি দেখতে পাচ্ছি, এক মানব্ এক অপরাধীর বিরুদ্ধে পোস্ট লেখার কারণে বেত্রাঘাতের মত শাস্তির শিকার হল।
আজারমেহের লিখেছে:
আজ সোমাইয়ে-এর ফেসবুকের পাতা, সমর্থকদের সমর্থন বার্তায় ভরে গেছে, খাতামির প্রাক্তন উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলি এবতাহি লিখেছে, “যারা সোমাইয়ে তৌহিদলোকে চেনে, তারা তাকে যৌক্তিক, বিনম্র এবং দৃঢ় চরিত্রের এক প্রতীক বলে মনে করে, আজ আমরা যখন শুনলাম যে ‘অত্যন্ত সম্মানিত রাষ্ট্রপতিকে’ অপমান করার জন্য তাকে ৫০ টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে, আমি মনে করি এতে সোমাইয়ে-এর দেহে নয়, ইরানের গর্বে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। সোমাইয়ে, কেবল তুমি একমাত্র ব্যক্তি যে এই শাস্তির ঘটনায় অপমানিত হওনি”।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান বেশ কিছু ব্লগারকে জেলে পাঠিয়েছে। ওমিদ রেজা মিরসায়াফি, ইরানের এক ব্লগার। ১৮ মার্চ, ২০০৯ সালে সে কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় এক রহস্যজনক ঘটনায় মৃত্যু বরণ করে।