সোমবার, ইরানের আজারবাইযান এলাকার আরদাবিলে [1] বিক্ষোভকারীরা আবার রাস্তায় নেমে আসে [2], ইরান সরকারের কাছে তারা লেক উরমিয়া [3] নামক হ্রদ রক্ষার দাবী করে। ইরানের ব্লগাররা জানাচ্ছে যে এবারও বিক্ষোভ দমনের ঘটনা ঘটেছে এবং বেশ কয়েকজন আজেরী একটিভিস্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ লবণাক্ত পানির হ্রদকে বাঁচানোর জন্য ৯৫ মিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে [4]। এতে নদী থেকে পানি লেকে নিয়ে আসা হবে।
আরদাবিলে সোমবার কি ঘটেছিল, গাফতার সবজ তাঁর এক প্রত্যক্ষদর্শী। ব্লগার লিখেছে [5] [ফার্সী ভাষায়] :
সন্ধ্যা ঠিক ৬ টার সময় আমি আরাদাবিলের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম এবং সে সময় সেখানে ব্যাপক সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করলাম। যখন বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেওয়া শুরু করল, তখনই তাদের গ্রেফতার করা শুরু হয়। আমি শারিয়াতি স্কোয়ারের দিকে হেঁটে গেলাম এবং দেখলাম সেখান দশ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি শুনেছি যে শহরের অন্য অনেক এলাকাতেও নিরাপত্তা বাহিনীর আরো অনেককে গ্রেফতার করেছে।
সেভ-নিউজ ব্লগ লিখেছে [7] [ফার্সী ভাষায়]:
আরদাবিলে বেশ কয়েক ভাবে দমনের ঘটনা সংঘঠিত হয়েছিল, সেখানকার ইন্টারনেট-এর গতি ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায় এবং মোবাইল ফোন দিয়ে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব ছিল না। লোকজন ক্রমাগত তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যাচ্ছিল এবং লেক উরুমিয়া রক্ষার দাবীতে স্লোগান দিচ্ছিল।
কোলেখাবার লিখেছে [8] [ফার্সী ভাষায়] যে কয়েকদিন আগে নিরাপত্তা বাহিনী এই আন্দোলনের সাথে জড়িত একটিভিস্টদের তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের ব্যক্তিগত জিনিষপত্র জব্দ করেছে।
রাহ আজাদি বলছে [9] [ফার্সী ভাষায়] যে দেখে মনে হচ্ছে আরদাবিল এক দখলীকৃত নগরী এবং সব জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে।
উরমিয়া লেক-এর সমর্থক একটি ফেসবুক পাতা তৈরি করা হয়েছে [10], ইতোমধ্যে এই পাতার সমর্থকের সংখ্যা ৪৭০০ জন পার হয়ে গেছে। এই সমর্থক পাতায় যে ছবি (উপরে) তাতে লেখা রয়েছে “ নীলে থাকা”।
এ ছাড়াও বেশ কিছু সৃষ্টিশীল ফেসবুকের পাতা তৈরি করা হয়েছে। এ রকম একটি পাতায় (নীচে তার ছবি ছবি প্রদর্শন করে হয়েছে) লেখা রয়েছে (স্বর্গ আমাদের সাহায্য করুক, যখন মানুষ তা করতে ব্যর্থ এবং তারা উপেক্ষা করে)