এই প্রবন্ধটি মিশর বিপ্লব ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আজ মিশরের রাজধানী কায়রোর কেন্দ্রে অবস্থিত বিপ্লবের প্রাণকেন্দ্র তাহরির স্কোয়ারে অবস্থান গ্রহণ করে। তাদের আজকের বিক্ষোভ ছিল সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভ শুরু হবার পর পর একদল তরুণ দল বেঁধে ইজরায়েলি দূতাবাসের দিকে এগুতে শুরু করে। সেখানে পৌঁছে তারা ইজরায়েলি দূতাবাসের একটি নিরাপত্তা দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে, যা দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল এবং তারা ইজরায়েলের পতাকা নামিয়ে ফেলে। রাতের বেলায় এই গোলমাল চলতে থাকে। এই ঘটনা টুইটারে কি ধরনের প্রভাব বিস্তার করেছিল, তাঁর কিছু নমুনা এখানে পেশ করা হল।
এই মাসে এই রকম ঘটনা দুবার ঘটল, যখন বিক্ষোভকারীরা পতাকা অপসারণের জন্য ১৫ তলার এই দূতাবাস ভবনে চড়ল। সংবাদে জানা গেছে আজ চারজন ব্যক্তি ভবনে চড়েছিল।
পাঁচ ঘন্টা আগে আল জাজিরার সংবাদদাতা শেহরিন তাদ্রোস সংবাদ প্রদান করেছে:
@ শেহরিনটি: ইজারায়েলি দূতাবাসের দিকে যাচ্ছি, সংবাদ পাওয়া গেছে, বিক্ষোভকারীরা সেখানকার দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করছে #ইজিপ্ট

মোহাম্মদ আবু সরকাহ, একটি ছবি প্রদর্শন করছে, যাতে দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা ইজরায়েলি দূতাবাসের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলছে
এক ঘণ্টা পরে ভদ্রমহিলা উল্লেখ করেন:
@শেহরিনটি: বিধ্বস্ত দেওয়ালের উপর, ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে # প্যালেস্টাইনের পতাকা উড়ছে, # ইজিপ্ট
এখ থেকে দুই ঘন্টা আগে, ভদ্রমহিলা এর সাথে যোগ করেন:
@ শেহরিনটি : শত শত নাগরিক ইজরায়েলি দূতাবাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, রাস্তার সকল পাশের মানুষ চিৎকার করছে এবং স্লোগান দিচ্ছে #মিশর #তাহরির
এর কয়েক মিনিট পরে, তাদ্রোস টুইট করেছে:
@ শেহরিনটি : বিক্ষোভকারীরা সেই ভবনে উড়তে থাকা ইজরায়েলের পতাকা খুলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়, যে ভবনে #ইজরায়েলি দূতাবাস অবস্থিত।
সালামসসাইদ কুইপ (টুইট) করেছে:

লোবনা দারউয়িশ টুইটারে এই ছবিটা প্রদর্শন করেছে, এতে দেখা যাচ্ছে মিশরীয় এক নাগরিক ইজরায়েলি দূতাবাসের নামফলক বহন করছে
এবং মোশাদ এলসাহমী এর সাথে যোগ করেছে:
@মোসাব্বিররাইজিং: সেখানে যেক এক পার্টি চলছে। #ইজরায়েলী দূতাবাসের নীচের বারান্দায় পতাকাবাহক বিক্ষোভকারীদের দিকে পতাকা নাড়ছে, পটকা ফুটছে এবং আনন্দ চলছে।.
রাফাত ঠাট্টা করছে [আরবী ভাষায়]:
তবে টুইটারে অন্যেরা এতটা উত্তেজিত নয়।
গিগি ইব্রাহিম টুইট করেছে:
@জিস্কোয়ার৮৬: আজ রাতে #ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে থাকার কোন মানে নেই: পতাকা ছিড়ে ফেলা হয়েছে, দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, জনতা প্রায় দূতাবাসের মধ্যে ঢুকে পড়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এবং কায়রো থেকে দিনা সালেহ, এর সাথে যোগ করেছে:
@সোনাদিনা: আমি বলব যে এই ঘটনায় আমি মুগ্ধ নই, আমি চাই না আমার প্রদান করা করের পয়সা দিয়ে আগামীকাল সকালে আরব ঠিকাদাররা #ইজরায়েলীদূতাবাসের পুনরায় তৈরি করে দিক
এই ঘটনার উপর আরো সংবাদ এসেছে.
গিগি সংবাদ প্রদান করেছে:
@জিস্কোয়ার৮৬: #ইজরায়েলীদূতাবাস যেখানে অবস্থিত তাঁর নীচের ফ্লাট থেকে কাগজপত্র ফেলে দেওয়া হয়েছে…যখন তারা নীচে নেমে আসে তখন তারা কাগজে আগুন ধরিয়ে দেয়#হাস্যকর
হিশাম আল মিরাট এর সাথে যোগ করেছে:
@_হিশাম: আল জাজিরার সংবাদাতা বলছে যে ইজরায়েলি দূতাবাস তছনছ করা হয়নি, তাঁর বদলে নীচের এক ফ্লোর এলোমেলো করা হয়েছে, যা দূতাবাসের কাগজপত্র সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়। পুলিশ ঠায় দাঁড়িয়ে।
ওমার উল্লেখ করেছে:
@বেইরুতহোয়াট: রিড(পাঠ করা হয়ছে): কায়রোতে অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাস। এসসিএএফ, প্রতিটি পশ্চিমী রাষ্ট্র এ ভিডিওটি দেখাবে, রাজনীতির উপর তাদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য
এবং ফরেন পলিসি পত্রিকার সম্পাদক ব্লেক হাউনশেল ব্যাখ্যা করেন:
@ ব্লেকহাউনশেল: আজ রাতে মিশরে অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাসের কাছে যে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে, এতে অনেকের কাছে মিশর বিপ্লবের একটি তিক্ত দিক ধরা পড়বে। এর প্রতিক্রিয়া, এখনো পরিষ্কার নয়।
এই প্রবন্ধটি মিশর বিপ্লব ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।